বেকারি ব্যবসার আইডিয়া, বর্তমান অবস্থা এবং সম্ভাবনা

বেকারি ব্যবসার আইডিয়া : অনেকেই স্বল্পপুজি তে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুজেন।তাদের জন্য পারফেক্ট একটি বিজনেস আইডিয়া হচ্ছে বেকারি ব্যবসা।বর্তমানে ৪-৫ লক্ষ পুজি নিয়ে বেশ ভালো ভাবে বেকারি ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব।দিন দিন বেকারি পন্যের চাহিদা বাড়ছে তাই এই ইন্ডাস্ট্রি তে তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে।

বেকারি ব্যবসার আইডিয়া

দেশের বর্তমান বেকারি ইন্ডাস্ট্রি – বেকারি ফুড আমাদের ট্রেডিশনাল আইটেম না হলেও দেশের মানুষ এর মধ্যে এর চাহিদা গত কয়েক দশকে বেশ ভালোই বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে লোকাল,নামীদামী সব ব্র‍্যান্ড মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজারের মতো বেকারি কোম্পানি আছে দেশে।প্রতিবছর এই ইন্ডাস্ট্রির গ্রোথ ও বেশ ভালো।

যেভাবে শুরু করবেন (বেকারি ব্যবসার আইডিয়া) – মোটামুটি পাচ-দশ জন দক্ষ শ্রমিক নিয়ে একটি বেকারি কারখানা স্থাপন করা যায়। প্রথমে বিভিন্ন দোকান এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠান গুলো তে খাবার সরবরাহ করতে হবে এরপরে ধীরে ধীরে ব্যবসায় লাভবান হলে নিজেদের দোকান বা বিক্রয়কেন্দ্র দেয়া যেতে পারে।

মূল কাচামাল- সাধারণত ঐতিহ্যবাহী বেকারি গুলো গুলো রুটি, বান, কেক এবং বিস্কুট উৎপাদন করে। ময়দা হল প্রধান কাঁচা উপাদান যা এই পণ্যগুলি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে ডিম, চিনি, লবণ, একটি খামির এজেন্ট, একটি তরল এবং ছোট করা। এছাড়াও, বিভিন্ন অন্যান্য উপাদান যেমন চকোলেট, বাদাম, মশলা, বা শুকনো ফল বিভিন্নতার জন্য ব্যবহার করা হয়।

উত্পাদিত রুটি দুটি মৌলিক বিভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে: 1) দ্রুত রুটি এবং 2) খামির রুটি। রাসায়নিক লেভেনিং এজেন্টগুলি দ্রুত রুটির ময়দা প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয় এবং মেশানোর সাথে সাথেই বেক করা হয়। খামির দ্বারা কার্বন ডাই অক্সাইড উত্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় গাঁজন সময়ের কারণে খামিরের রুটি তৈরি করা বরং একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।

এই ক্ষেত্রে, তাপমাত্রা 46 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে হবে। সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া যায় যখন আকৃতির ময়দা, যা আয়তনের দ্বিগুণ হয় একটি প্রিহিটেড ওভেনে স্থাপন করা হয়।

<

বিস্কুট তৈরির জন্য যে পদক্ষেপগুলি জড়িত তা হল উপাদানগুলিকে মিশ্রিত করা, যেমন, গমের আটা, চিনি, চর্বি, খামির এজেন্ট, লবণ, এবং স্বাদ তৈরি করা, তারপরে মাখানো, চাদর তৈরি করা, আকার দেওয়া এবং বেক করা।
বেকারি ব্যবসা শুরু করার জন্য যেসব মেশিন লাগবে

বেকারি ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার বিভিন্ন ধরণের মেশিন লাগবে। এসব বেকারি মেশিনের মধ্যে রয়েছে –

  • মিকশ্চার মেশিন
  • ওভেন
  • বিশেষ ধরনের টেবিল
  • পাতা মেশিন ( এখানে বিস্কুট কেটে রাখা হয়)
  • ডো মেকিং মেশিন (ময়দা মাখার মেশিন)
  • ডাইস
  • প্যাকেজিং মেশিন

বেকারি ব্যবসার পুঁজির পরিমাণ – আনুমানিক চার থেকে পাচ লক্ষ টাকা থাকলে এই ব্যবসা শুরু করে দেয়া সম্ভব। পুজির একটা বড় অংশ যাবে কারখানা প্রতিস্থাপন করতে।জায়গা ভেদে কারখানার ভাড়া একেকরকম হতে পারে। তবে নিজ বাড়ি বা জায়গায় কারখানা স্থাপন করতে পারলে এই খাতের খরচ অনেকাংশে কমে যাবে।

সবচেয়ে বেশি খরচ হয় বেকারি মেশিন ক্রয় করার পেছনে। বেকারি মেশিনের দাম যথেষ্ট বেশি। সবচেয়ে বেশি দাম হচ্ছে ইলেকট্রিক ওভেনের। একটি ওভেনের দাম ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় থেকে পৌনে চার লাখ টাকা পর্যন্ত দামের ওভেন আছে। তবে মান এবং দোকান ভেদে দামের তারতম্য হয়ে থাকে।

একটা মিকশ্চার মেশিনের দাম ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আছে। এছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও আপনাকে ক্রয় করতে হবে।

বেকারি ব্যবসায় মূল খরচ যেহেতু বেকারি মেশিন কেনায় হয় তাই এই ব্যবসা শুরু করার আগে বেকারি মেশিনের দাম সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিতে হবে।

পরিশেষে আশা করি বেকারি ব্যবসা সম্পর্কে আপনি ভাল একটি ধারণা পেলেন। কিভাবে বেকারি ব্যবসা শুরু করবেন, বেকারি পণ্যের তালিকা, বেকারি মেশিনের দাম, বেকারি প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে যে ধারণা পেয়েছেন তা আপনাকে একটি বেকারি ব্যবসা শুরু করতে অনেক সাহস যোগাবে।

সর্বশেষ একটা পরামর্শ দিয়ে লেখাটি শেষ করব তা হচ্ছে ওভেন ব্যবহার করার সময় তাপমাত্রার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে কারণ সহনীয় তাপমাত্রার বেশি তাপমাত্রা যদি আপনি সেট করেন তাহলে বেকারি পণ্য পুড়ে যেতে পারে আর পুড়ে যাওয়া জিনিস যেহেতু কেউ কিনতে চাইবে না তাই সেটা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই এই ব্যাপারে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন।

Related Posts