এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে মোবাইলে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল বাজারে সবচেয়ে বেশী চাহিদা ও সুলভমূল্যে ক্রেতার নিকট বিক্রয় করা হয়ে থাকে। গুগল প্রতিষ্ঠানের অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এন্ড্রয়েড। এছাড়াও প্লে স্টোর মার্কেটপ্লেসে অসংখ্য অ্যাপস ও গেমসের মাধ্যমে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম গ্রাহকের নিকট বিশেষ চাহিদা অর্জন করেছে। এন্ড্রয়েড ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং গ্রাহক খুব সহজেই তাদের স্মার্ট ফোনে এই অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে অপারেট করতে পারে। তবে বিশেষ কিছু কৈাশল ও দক্ষতা থাকলে এন্ড্রয়েড সিস্টেম খুব সহজেই পরিচালনা করা সম্ভব। এবং আপনি এই বিষয়ে নিজে থেকেই সাধারণ ধারণা অর্জন করতে পারবেন।
এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে পরিচালনা করবেন ও ব্যবহারের কৈাশল:
অনেকের কাছে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা খুবই কঠিন মনে হয়। এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম পরিচালনা করতে আপনার প্রয়োজন এই সম্পর্কে সাধারণ দক্ষতা ও ধারণা। এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও দক্ষতা আপনি কিভাবে অর্জন করবেন। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কিছু কোর্স ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনার এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম পরিচালনা করতে পারবেন। বর্তমানে এন্ড্রয়েড ১০, এন্ড্রয়েড ১১ ও এন্ড্রয়েড ১২ বেটা বার্সনের অপারেটিং সিস্টেম বাজারের স্মার্ট ফোনে বেশী ব্যবহার করা হচ্ছে। এন্ড্রয়েড ১০ থেকে যেকোন ভার্সনে আপগ্রেড করলে মোবাইলে বিশেষ পরিবর্তন দেখা যায়। মোবাইলের আইকন, থিম ও সেটিংস পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যায়।
আপনি তখন আপনার স্মার্ট ফোন ব্যবহারে বিভ্রান্তিবোধ করতে পারেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটিংসে নতুন কিছু টুল অ্যাড করা হবে। তখন আপনি নতুন টুলগুলোর মাধ্যমে আপনার ফোনের ব্যবহার পূর্ব থেকে আরো সহজতর করে নিতে পারবেন। আপনার স্মার্ট ফোনে আপনি খুব সহজেই অ্যপগ্রেড করে নিতে পারবেন।
এইজন্য আপনাকে ফোনের সেটিংসে গিয়ে এবাউটে যেতে হবে এবং সেখান থেকে আপনার ফোন ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে আপগ্রেড করে নিতে হবে। অ্যাপগ্রেড করার পরবর্তীতে আপনার ফোন পুরোপুরি রিস্টোর হয়ে যেতে পারে যার কারণে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কন্ট্রাক ও মোবাইলের যাবতীয় ইনফরমেশন গুগল ক্লাউড অথবা আপনার ইমেইলে সংরক্ষিত করে রাখতে পারেন।
এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম পরিচালনায় কিছু টিপস:
মাঝে মাঝে আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল হ্যান্ডসেট খুবই স্লো কাজ করে এবং তখন আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহারে খুবই বিভ্রান্তিকর লাগতে পারে। এইজন্য আপনার মোবাইলে ক্লিনার অথবা এন্টিভাইরাস অ্যাপ ইনিস্টল করে নিতে হবে যার মাধ্যমে আপনার ফোনের যাবতীয় সব অকেজো ডাচা ও ফাইল নিমিষেই মুছে ফেলতে পারবেন। এছাড়াও অপ্রয়োজনীয় সব অ্যাপ মুছে দিয়েও আপনার এন্ড্রয়েড হ্যান্ডসেট দ্রুক ও ফাস্ট করে নিতে পারবেন।
টিপস ও টেকনিকগুলো ফলো করে আপনি আপনার এন্ড্রয়েড সিস্টেমকে সুরক্ষিত করে নিতে পারবেন।