আসলামুওয়ালাইকুম পাঠক ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন আপনারা ? আশাকরছি মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে আপানরা সবাই ভালোই আছেন। আমি আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছি।
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমদের মধ্যে যার যারা ওয়েব সিরিজ দেখতে পছন্দ করেন। তাদের জন্য একটি নতুন সিরিজ নিয়ে হাজির হলাম। তাই যারা যারা ওয়েব সিরিজ লাভার ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পরুন।
সিরিজের নাম হলোঃ তান্ডব
সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে এই বছরের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে। সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে অনলাইন অয়েবসিরিজ অ্যান্ড মুভি প্ল্যাটফর্ম আম্যাজন প্রাইম এ। সিরিজটির পরিচালক হলেন আলী আব্বাস জাফর। সিরিজটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান। এছাড়া অভিনয় করেছেন ক্রিতিকা কামরা, সুনিল গ্রভার, ডিম্পাল কাপডিয়া সহ আরও অনেকেই। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে তান্দব ওয়েব সিরিজটির একটি সারমর্ম দেওয়া যাক।
তিগমাংশু ধুলিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী, তিনি পর্দা থেকে সরে যাওয়ার পরই আসল ঘটনা শুরু হয়। সইফ আলি খান তথা সমীর প্রতাপ সিং প্রধানমন্ত্রী ছেলে, যিনি তাঁর বাবার চেয়ারের আসল উত্তরাধিকারি। হ্যাঁ রাজনীতিতেও স্বজন পোষণ বেশ ভালোভাবেই সকলের নজরে পড়ে, তা সেই পর্দায় হোক বা বাস্তবে। অন্যদিকে প্রধানমনত্রীর চেয়ার পাওয়ার জন্য বরিষ্ঠ দলের কার্যকর্তা অনুরাধা কিশোর ওরফে ডিম্পল কাপাডিয়াও দাবিদার হিসাবে আসেন। তবে শুধু চেয়ার পাওয়া নিয়েই এই গল্প এখানে শেষ হচ্ছে না।
দেশের রাজনীতির মধ্যে ঢুকে পড়ে ছাত্ররাজনীতি, যেখানে এই রাজনীতিকে মোহরা বানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ পেতে চান সমীর প্রতৈপ সিং। শুরু হয় সবচেয়ে বড় দাবার খেলা। তাণ্ডব সিনেমার বিভিন্ন ঘটনাক্রম এভাবেই বোনা হয়েছে। এর সঙ্গে দেশের চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। একদিকে সাইনিং ভারত, যে নেতা ও উদ্যোগপতিদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, আর একদিকে রয়েছে ভারত, যেখানে কৃষক-মজদুর ও দেশের সাধারণ নাগরিক রয়েছেন। সিনেমার শুরু থেকে শেষ
সমস্ত কলাকুশলীদের মধ্যে অভিনয়ের দিক থেকে ডিম্পল কাপাডিয়ার চরিত্র অনুযায়ী তাঁর অভিনয় সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। তিনি নিজের চরিত্রকে যথাযথভাবে পর্দায় তুলে ধরেছেন। সইফ আলি খান প্রধান চরিত্রে, তাই তাঁকে ভালো অভিনয় করতেই হবে। ছবিতে নজর কেড়েছে সুনীল গ্রোভারের অভিনয়ও। অন্যান্য অভিনেতারা নিজেদের জায়গায় ঠিকই ছিলেন। দিনো মোরিয়াকে বহু যুগ বাদে পর্দায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
তান্ডব প্রচারের সময় দাবি ছিল যে এই সিরিজটি ভারতের আমেরিকান রাজনৈতিক থ্রিলার হাউস অফ কার্ড হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে, তবে দিল্লি যে অনেক দূরে, তা ধরে নিতে কোনও দ্বিধাবোধ থাকা উচিত নয়। এটি তাণ্ডবের প্রথম সিজন এবং গল্পের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তা দ্বিতীয় সেশনে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।