আমরা সবাই জানতে চাই কিভাবে সুস্থ থাকতে চাই। কিভাবে একটি স্বাস্থ্যবান জীবন উপভোগ করা যায়। এজন্য আপনাকে স্বাস্থ্যকর জীবনধারার সাথে অভ্যস্থ হতে হবে। আপনি কি আপনার পুরো জীবনকে এক ঝাঁকুনিত পরিবর্তন করতে পারবেন? না পারবেন না।
যখন এটি নতুন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্রহণ করার এবং সেগুলিকে আঁকড়ে ধরার কথা আসে, তখন আপনি করতে পারেন এমন অনেক ছোট জিনিস রয়েছে যা দীর্ঘমেয়াদে একটি বড় পার্থক্য আনবে। তাই আজকে আমি আপনাকে ৭ টি কার্যকরী পদ্ধতি বলবো যেগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার স্বাস্থ্যকে দীর্ঘস্থায়ী ধরে রাখতে পারেন। চলুন শুরু করা যাকঃ
1. প্রতিবার খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করুণ
আপনার শরীরের সমস্ত সিস্টেমকে সুচারুভাবে কাজ করার জন্য প্রতিদিন আপনার প্রয়োজনীয় পরিমাণ জল পান করা প্রয়োজন, কিন্তু এটি আপনাকে ক্ষুধার কারণে অতিরিক্ত খাওয়া থেকেও রক্ষা করবে, যা আপনার খাবারের প্রতি আরও মননশীল পদ্ধতি গ্রহণ করা সহজ করে তুলবে। তাই প্রতিবার খাবারের আগে এক গ্লাস পান করা উচিত।
2. খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান
আপনাকে খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। কারণ খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে তা আপনার হজমে ব্যাপক সহায়তা করবে। আপনি যদি খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে না খান তাহলে খাবারের সাথে অতিরিক্ত বাতাস আপনার পেটে ঠুকে যা পরবর্তীতে আপনার বিপাকীয় কাজে বাঁধা প্রদান করে। এজন্য আপনি প্রতি গ্রাস খাবারের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমান চিবুনি গ্রহন করতে পারেন। ধরুন আপনি প্রতি গ্রাস খাবারের জন্য ২০ বার করে চিবুনি দিবেন তাহলে সম্পূর্ণ খাদ্য ভালোভাবে চিবিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে যা আপনার বিপাকীয় কাজে সাহায্য করবে।
3. খাবারকে “ভাল” এবং “খারাপ” এর পরিবর্তে “স্বাস্থ্যকর” এবং “কম স্বাস্থ্যকর” বলুন
মানুষ যখন খাবারকে ভালো এবং খারাব বলে সম্মোধন করে তখন তারা নিজেরাই বিচার করে যে যারা ভালো খাবার খায় তারা ভালমানুষ আর যারা খারাপ খায় তারা খারাপ। তাই আপনি যা খাচ্ছেন তার জন্য নিজেকে মানসিক টাইমআউটে ফেলা বন্ধ করুন। সত্যিই, কোনো খাবার সত্যিই খারাপ নয় এবং কোনো খাবারই সত্যিই ভালো নয়—কিছুটা অন্যদের চেয়ে স্বাস্থ্যকর।এইভাবে আপনার চিন্তাভাবনা পুনর্বিন্যাস করা আপনাকে সম্ভবত “খারাপ” খাবারের প্রতি দ্বিধাদ্বন্দ্বের পরিবর্তে সংযম করার শিল্প শিখতে সাহায্য করবে, এবং এটি নিজের সাথে চিকিৎসা করার একটি ভাল উপায়।
4. প্রতি ঘন্টায় ৫ মিনিটের জন্য হাটুন
সারাদিন বসে থাকা হার্টের জন্য কখনো উপকারী নয়। এজন্য প্রতি ঘন্টায় অন্তত ৫ মিনিট হাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শারিরীক ক্রিয়াকলাপ আপনার দীর্ঘায়ুর জন্য অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ।
5. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
শরীরকে ঠিক রাখতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। তাই আপনি আপনার শরীরকে সবদিকে ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। তবে কোন ব্যায়াম যদি আপনার কাছে অস্বস্তিকর বলে মনে হয় তাহলে অন্য ব্যয়াম করুন। আপনি এমন ধরণের ব্যায়ামগুলোকে বেছে নিন যেগুলোকে আপনি উপভোগ করতে পারবেন।
শেষ কথা
আশা করি আমি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি কিভাবে আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন। আপনি যদি উপরোক্ত টিপসগুলোকে নিয়মিত অনুশীলন করেন অবশ্যই এর একটি ভাল ফলাফল আপনি পাবেন ইনশাল্লাহ। আমার পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। খোদা হাফেজ।