নেটওয়ার্কের কল্যাণে পুরাে পৃথিবীটা হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। নেটওয়ার্কের কারণে সবাই এখন সবার সাথে যুক্ত, কেউই এখন আর আলাদা নয়। যতই দিন যাচ্ছে নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরতা বেড়েই চলেছে। নেটওয়ার্ক ছাড়া বর্তমানে কিছুই কল্পনা করা যায় না।
তাই যদি কোনােদিন সারা পৃথিবীর নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায় তবে পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে আসবে। হঠাৎ একদিন সারা পৃথিবীর নেটওয়ার্ক অচল হয়ে গেলে পৃথিবীতে যে যে ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে তা নিচে বর্ণনা করা হলাে ১ নেটওয়ার্কের সবচেয়ে বড় ব্যবহার হলাে যােগাযােগের ক্ষেত্রে। যদি নেটওয়ার্ক না থাকে মানুষের সাথে মানুষের, এক দেশের সাথে অন্য দেশের যােগাযােগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে। যা বিপর্যয় সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। ২. মানুষ এখন টেলিফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একে অন্যের খোজ খবর রাখতে পারছে। তাই এর অভাবে মানুষের সাথে মানুষের।
যােগাযােগ ব্যাহত হবে। | ৩. ছােট কিংবা বড় সবধরনের প্রতিষ্ঠানই তাদের কাজের বেশির ভাগই করছে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। এসব প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক অচল হয়ে গেলে পুরাে প্রতিষ্ঠানটিই হুমকির মুখে পড়বে। ৪. পুরাে পৃথিবীর নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যাওয়া মানে কারও খবর কারও কাছে থাকবে না। পৃথিবীর কোথায় কি ঘটেছে মানুষ তা জানতে পারবে না। দুর্নীতিপরায়ণ লােকেরা তখন এর সুযােগ গ্রহণ করবে।
৫.আজকাল যুদ্ধক্ষেত্রেও নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করা হচ্ছে এসব ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যাওয়া মানে শত্রুর হাত থেকে নিজ দেশকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। ৬. নেটওয়ার্ক তথ্যকে ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ করে। পৃথিবীর নেটওয়ার্ক অচল হয়ে গেলে পুরাে পৃথিবী তথ্যশূন্য হয়ে যাবে। যতই দিন যাচ্ছে ততই মানুষ তথ্য প্রযুক্তি এবং নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়, বিনােদনে, প্রযুক্তির উন্নয়নে, নিরাপত্তা ব্যবস্থায়, রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বত্রই এখন নেটওয়ার্কের ব্যবহার। তাই নেটওয়ার্কবিহীন পৃথিবীতে কেবল বিপর্যই নেমে আসবে। তাই নেটওয়ার্ককে সচল রাখবার জন্য আমাদের সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোডার সফটওয়্যার – কিভাবে ডাউনলোড করবেন [টিউটোরিয়াল সহ ]
ইউটিউবে কোনো গান, ভিডিও, নাটক বা অন্য কিছু দেখে ভালো লাগলো বা অন্য কোনো কারনে তা আপনার মোবাইলের ফাইল ম্যানেজার...