অদ্ভুত ক্ষমতা সম্পন্ন কিছু শিকারি মাছ

 

আমাদের পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী জীব রয়েছে এর মধ্যে কিছু জীব রয়েছে যাদের এই শক্তি যদি কোন মানুশের থাকতো তাহলে তাকে আমরা নিউটেন বলতাম যেটা আমরা ক্স ম্যান মুভিতে দেখিছি। এত খমতা রয়েছে এই ছোট ছোট প্রাণী গুলোতে যেটা কোন মানুষের নেই। আজ আমরা তেমনি কিছু অলৌকিক প্রাণী সম্বন্ধে আলোচনা করবো যা সম্পর্কে জানলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে।

           ম্যান্টিস শ্রিম্প (Mantis Shrimp)

ম্যান্টিস শ্রিম্প (Mantis Shrimp)- যদি আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী বক্সিং পাঞ্চের কথা বলি তাহলে সবার আগে আমাদের মোঃ আলির কথা মনে আসবে কারন, সে তার এক পাঞ্চে তার পতিপক্ষকে অজ্ঞান করে দিতে পারে। এমনি ম্যান্টিস শ্রিম্প(Mantis Shrimp) চিংড়ির পা, সব জীবের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। এই চিংড়িও তার শিকারকে এক পাঞ্চে বেহুস করে ফেলতে পারে। এটি তার সামনের পা এমন জোড় গতিতে চালায় যেটা তার শিকারের প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। এর পাঞ্চের গতি এতই হয় যে, যেখানে পাঞ্চ লাগে সেখানে ধুন্দলিত একটা শব্দ হয় আর পানিতে বুদবুদ সৃষ্টি হয়। এর আঘাত তার শিকার সয্য করতে পারে না। আর সেখানেই মৃত্যু বরন করে। বিজ্ঞানীদের মুতে এর আক্রমনের গতি মানুষের চোখের পলকের চাইতেও ৫০ গুন বেশি দ্রুত হয়ে থাকে। আর  আক্রমন শক্তি ০.২২ ক্যালিভার বুলেটের সমান হয়ে থাকে। এর দুটি ছোখও খুবি রহস্যময় এই চোখের দ্বারা সে তার মাথার উপরে ৩৬০০ ডিগ্রী পর্যন্ত ঘুরে দেখতে পারে।

 

    মিমিক অক্টোপ্যাস(mimic octopus)

মিমিক অক্টোপ্যাস(mimic octopus)- মিমিক অক্টোপ্যাসকে বিজ্ঞানীরা ১৯৭০ সালে ইন্দোনেশিয়া সমুদ্র টতে আবিষ্কার করেছিল। এ অক্টোপ্যাস তার অদ্ভুত খমতার জন্য যে কোন ভয়ঙ্কর আর বিষাক্ত প্রানির রুপ ধারন করতে পারে। আর এর সাথে যে কোন প্রানির আক্রিতি, রং আর ব্যবহার হুবহু নকল করতে পারে। অক্টপ্যাসের এই প্রজাতি সমুদ্র তলে নিজেকে খুব সুন্দর ভাবে লুকিয়ে রাখতে পারে। এটা এখন পর্যন্ত খুজে পাওয়া জীবের মধ্যে একমাত্র জীব যে কিনা অন্য সব জীবের রুপ ধারন করতে পারে।
পিস্তল শ্রিম্প (Pistol Shrimp) – চিংড়ীর অনেক প্রজাতির মধ্যে পিস্তল শ্রিম্প (Pistol Shrimp) একটি যে কিনা তার শত্রুকে প্রতিরোধ করার জন্য তার বিশেষ ধরনের পা কে এমন ভাবে বন্ধ করে যার কারনে ঐ স্থলের পানিতে এক ধরনের বুদবুদ সৃষ্টি হয় এবং ওই বুদবুদ সমনের দিকে এমন ভাবে ছুটে যায় যা কিনা কোন পিস্তল থেকে গুলি ছুরার মত হয়। আর তখন শত্রু সেখান থকে ভয়ে চলে যায়। যার তাপমাত্রা ৪ হাজার ডিগ্রী সেনট্রিগ্রেড পর্যন্ত ছরিয়ে থাকে। আর এ গতি এতটাই শক্তিশালী হয় যে, সেখানে এক প্রকার লাইট উৎপন্ন হয়। এবং যখন কোন শিকার করে তখন শিকার তাৎক্ষনিক ভাবে সেখানেই ঘায়েল হয়ে যায়।

        আর্চার ফিস(Archer fish)

আর্চার ফিস(Archer fish)- মাছ শুধু পানির ভিতরেই খাবারের সন্ধান করে না। পানির উপরে এসেও কীট পতঙ্গ শিকার করে। এরা খুব সাবধানতার সহিত শিকারের কাছে আসে। তারপর নিজের মুখে যথেষ্ট পরিমান পানি নিয়ে তা খুব জোর গতিতে শিকারের দিকে ছুরে মারে। তখন আচমকা ওই শিকার নিজেকে সামলাতে না পেরে পানিতে পরে যায়। আর তখন আর্চার ফিস(Archer fish) তার শিকারকে খেয়ে ফেলে। এরনিশানা এতটাই নির্ভুল হয় যে, এ ২ থেকে ৬ সেন্টিমিটার উপর পর্যন্ত থাকা কীট-পতঙ্গকে খুব সহজেই পানি থেকে শিকার করতে পারে।

          ইলেকট্রিক ইল(Electric EEL)

ইলেকট্রিক ইল(Electric EEL)- দক্ষিন আফ্রিকা আর অ্যামাজন নদীতে থাকে এই ইলেকট্রিক ইল(Electric EEL) এই মাছকে মিঠা পানির সবচেয়ে বিপদজনক মাছ বলা হয়ে থাকে। আনুমানিক ২ মিটার লম্বা এই মাছ ৮৬০ ভোল্টের কারেন্ট উৎপন্ন করতে পারে। এই মাছ তার শিকারকে মারার জন্য হাই ভোল্টেজের কারেন্ট ব্যবহার করে। এই মাছের দ্বারা উৎপন্ন কারেন্ট তার শরিলে থাকা সেলস যাকে ইলেক্ট্রোলাইট বলা হয় যখন কোন ইলেক্ট্রোলাইটকে উত্তেজিত করা হয় তখন এর বাইরে থাকা আয়ন্স খুব জোর গতিতে চলতে থাকে আর যার ফলে কারেন্ট উৎপন্ন হয়। সাধারনত এই ইলেকট্রিক ইল(Electric EEL)-থেকে কুমির ও ঘড়িয়ালরা দূরে দূরে থাকে। কিন্তু কখনো কখনো কিছু কিছু প্রানি এঁকে শিকার করার দুঃসাহস দেখায়। কিন্তু যখন কোন রড় প্রানীর কবলে পরে এই ইলেকট্রিক ইল(Electric EEL) তখন তার শরিল থেকে উৎপন্ন কারেন্ট এর শক খেয়ে ওই শিকারি প্রায় মারা যায়। তাই এর আশেপাশে অধিকাংশ প্রাণীই আস্তে ভয় করে।
তো পাঠক এইসব জীবের মধ্যে আপনার কোন জীবটি ভালো লেগেছে তার আমাদের জানান। এতে করে আমরা আরও উৎসাহিত হব এরকম আরও লিখা আপনাদের উপহার দিতে। ধন্যবাদ। আর যদি চান এই বিষয়ে আপনার পরিচিতজনদের জানাতে তাহলে শেয়ার করে চানিয়ে দিন আপনার পরিচিতজনদের। ধন্যবাদ আবারো।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন