অন্যের জন্য আমরা নিজেকে অনেক সময় অনেকভাবে পরিবর্তন করে থাকি। সেটা যে কোন রকম হতে পারে।কখনো কখনো এ পরিবর্তন প্রতিশোধ মুলকও হয়। তবে আমার মতে নিজেকে এমনভাবে পরিবর্তন করতে হবে যাতে করে নিজের নীতি রীতি ঠিক থাকে।
সাধারণত আমাদের সাথে ধোকাবাজি কিংবা বেঈমানীর স্বীকার হই বেশি ভালভাবে চলা, ভাল চরিত্রের অধিকারী হলে কিংবা সহজে অন্যকে বিশ্বাস করলে। আমাদের সহজ সরল মনটাকে সবাই তার স্বার্থ অনুযায়ী ব্যবহার করে দূরে ঠেলে দেয়। তখন আমাদের মনে জাগে প্রতিহিংসার আগুন, নিজেকে অনেক কঠিন করে তূলতে মন যায়, যেখানে অন্যের প্রতি ভাল মানুষের মত সহজে বিশ্বাস থাকবে না, স্নেহ থাকবে না, সহজে বোকা বানাতে পারবে না।
তবে এমন জীবন তৈরী করলে ঐ ব্যাক্তি আর আমাদের মাঝে কতটুকু পার্থক্য থাকবে?? তাহলে আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে কি আমরা বার বার এমন স্বার্থপরতার স্বীকার হতে থাকব বা আমরা কি কোন রকম পরিবর্তন হতে পারব না? তাহলে আমি বলব অবশ্য পরিবর্তণ হতে পারবেন। তবে সেটার জন্য আপনি আপনার নীতিরীতিক ধর্মকে পরিবর্তন করতে পারেন না।
তাহলে পরিবর্তনের ধরণটা কেমন হবে?
পরিবর্তন নিজেকে অবশ্যই করবেন, তবে এমনভাবে পরিবর্তন করবেন যেটা দেখে তারা নিজেই বুঝতে পারে যে তারা আপনার সাথে কত বড় ভুল কাজ করেছে। মনে রাখবেন সময় তার বদলা/প্রতিশোধ ঠিকই নিয়ে ছাড়ে। সেজন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
নিজেকে এমন উচ্চ মাকামে নিয়ে যাবেন যেখানে তারা আপনাকে প্রতি পদে পদে স্মরণ করে বলবে যে, আজ যদি তার সাথে এমনটা না করতাম হয়ত তার হাত ধরে বুহুদূর এগিয়ে যেতে পারতাম। তবে আপনি যতেই বড় হোন না কেন আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার মন মানসিকতা যেন আগের মতই থাকে শুধু এতটুকু পরিবর্তন করবেন যাতে তারা আপনার প্রয়োজনীয় পুনরায় অনুভব করে আর তারা বার বার তার কৃতকর্মের জন্য আফসোস করে।
এখন এ পরিবর্তনের বলতে কি বুঝানো হয়????
এ পরিবর্তন বলতে আপনি অর্থের দিক দিয়ে তাদের থেকে বড় হতে পারেন। সম্মানের দিক দিয়ে বড় হতে পারেন।এমনভাবে নিজেকে গঠন করতে পারেন যেন এলাকার সবাই আপনার কথার মুল্য দেয়। অবশ্যই আপনি প্রতিশোধ প্রবন হলে এটা কোন মতেই সম্ভব নয়।
আপনি যদি শুধু প্রতিশোধের আশায় এসব করেন তবে সৃষ্টিকর্তাও আপনাকে তুয়াক্কা করবে। আপনি যদি আপনার সাফল্যকে বৃদ্ধি করেন তারা তো এমনেই নিজের কৃতকর্মের জন্য নিজেকে দিক্কার জানাবে। একটি বিষয় মনে রাখবেন……
সাফল্য ব্যক্তিকে সবার প্রয়োজন পড়ে