আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব আল্লাহ মশা কেন সৃষ্টি করেছেন সেই সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিয়ে। তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
আল্লাহ মশা কেন সৃষ্টি করেছেন
মশা আমরা সবাই চিনি। প্রতিদিনের জীবনে মশা যেন আমাদের নৃত্য সাথী। আমরা প্রতিদিনই মশা দেখতে পায় বিভিন্ন জায়গায়। যেমন ঘরে, বাহিরে আরো কত জায়গায়। আসলে মশা নায় যে এমন জায়গা পাওয়া পর্যন্ত মুশকিল। মশার আবাস সকল স্থানেই রয়েছে। আজকে আমরা এমন কিছু তথ্য জানাবো মশা সম্পর্কে যা শুনলে আপনিও অবাক হবেন। আজকের এই পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন এমন কিছু অজানা তথ্য যা হয়তো আপনি কখনো শুনেননি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বিবৃতি করবো মশা সৃষ্টির কারণ। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন কেন মশা সৃষ্টি করেছেন এসব কারণ আপনি এই পোস্ট এর মাধ্যমে জানতে পারবেন। তো চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নিই আল্লাহ কেন মশা সৃষ্টি করেছেন তার ইতিহাস সম্পর্কে।
মশা সম্পর্কে কোরআন যা বলে
মশা নিয়ে কুরআনে কিছু তথ্য রয়েছে। সেগুলো হলোঃ
(১) মশা সৃষ্টির মধ্যেও মানুষের জন্যে আল্লাহর নিদর্শন রয়েছে,
(২) মশার চেয়েও ক্ষুদ্র সৃষ্টি রয়েছে,
(৩) বিশ্বাসীরাই কুরআনে বর্ণিত বিষয়সমুয়ে সত্য সঠিক হিসেবে বিশ্বাস স্থাপন করে,
(৪) অবিশ্বাসীরা কোন কিছুতেই আল্লাহর নিদর্শন বুঝতে পারে না, (
৫) এরকম নিদর্শনও মানুষের জন্যে সঠিক পথের দিশা হতে পারে,
(৬) আবার অনেককে বিপথগামী করতে পাওে,
(৭) অসৎ ব্যক্তিদেরকে আল্লাহ কখনও সঠিক পথে নেন না।
এই ব্যাখ্যা গুলোর মাধ্যমে আপনিই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আল্লাহ আমাদের কে মশা সৃষ্টির পিছনে কি ইঙ্গিত দিয়েছে। তাই অবশ্যই আল্লাহ হুকুম ও সৃষ্টি কে বিশ্বাস করতে হবে যে আল্লাহর প্রতিটি জিনিস সৃষ্টির পিছনে কিছু কারণ রয়েছে যা আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।
মশা নিয়ে বিজ্ঞান কি বলে
১. প্রায় দুই হাজার ৭০০ প্রজাতির মশা রয়েছে;
২. মশার এক শ’র ও বেশি চোখ রয়েছে;
৩. মশার মুখে ৪৮টা দাঁত রয়েছে;
৪. একটি মশার তিনটি পূর্ণ হার্ট (হৃদযন্ত্র) রয়েছে;
৫. মশার নাকে ছয়টি পৃথক ছুরি রয়েছে এবং প্রত্যেকটি ছুরির পৃথক ব্যবহার তারা করে থাকে;
৬. মশার শরীরে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন আছে, যা রাতের আঁধারে মানুষের চামড়াকে শনাক্ত করার কাজে লাগায়;
০৭. প্রত্যেক মশার নিজস্বভাবে এনেস্থেশিয়া দেয়ার জন্য এক ধরনের ভ্যাকসিন আছে, যা মানুষের শরীরে তাদের হুল ফোটানোর মাধ্যমে রক্ত নেয়ার সময় ব্যবহার করে সেই জায়গাটাকে অবশ করে নেয় যাতে রক্ত নিলেও কোনো ব্যথা পাই না আমরা,
৮. রক্ত পরীক্ষা করার বিশেষ ব্যবস্থা এদের আছে। কারণ, এরা সব ধরনের রক্ত পছন্দ করে না;
৯. পূর্ণিমার সময়ে মশা প্রায় ৫০০ গুণ বেশি কামড়ায়;
১০. মশা উড়ার সময় সেকেন্ডে প্রায় ৫০০ বার তাদের পাখা নাড়ায়।
কুরআনে যেগুলো হাজার বছর আগে ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেগুলো বর্তমানে বিজ্ঞান বলছে। অতএব আল্লাহর সৃষ্টি কে আমাদের মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে।
আজ এই পর্যন্তই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।