আয়ের শুরু করুন ছাত্রজীবন থেকে

পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ শুরুতে পরনির্ভরশীল থাকে। আস্তে আস্তে করে সময়ের সাথী হয়ে নিজের কাজের মাধ্যমে সমাজে জায়গা করে নেয়। জীবিকার তাগিদে পড়াশোনার তাগিদে কিংবা কোন না কোন কাজের তাগিদে আমরা কারো না কারো উপর নির্ভরশীল। জীবনে সফল হতে সবাই চায়। কারণ পরনির্ভরশীল হয়ে কখনো সফলতা অর্জন করা যায়না। ছাত্রজীবনের প্রথমে আয় করা সম্ভব হলে ব্যক্তির মধ্যে একধরণের  আত্নবিশ্বাস তৈরি হয়  যা আপনাকে অনেকটা হলেও পরনির্ভরশীলতার বেড়াজাল থেকে নিজেকে আলাদা করবে।                                                 একটি শিশু যখন জন্ম হয় তখন সে তার বাবা মার প্রতি নির্ভরশীল হয়। সেই শিশুটি যখন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে তখন তার বলা না বলা সকল আশা, সখ,ইচ্ছা তার বাবা মা পূরণ করে থাকে। তাই সেই শিশুটি যখন আস্তে আস্তে বড় হয় তারও উচিত বড় হয়ে বাবা মার সমস্ত আশা পূরণ করা। কিন্তু আস্তে আস্তে বড় হবার পর মানুষ সেই দায়িত্ব কর্তব্য ভুলে যায়। ভুলে যায় তার কি করা উচিত কি করা উচিত না।                     ছাত্রজীবনে আমাদের উচিত একটু একটু করে বাবা মার উপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করা।আজকাল অনেক কোম্পা,, অনেক এজেন্সি বাইরের দেশের মতো আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য খণ্ডকালীন চাকরি করার সুযোগ করে দিয়েছে। কোন শিক্ষার্থী যদি পড়াশোনার বাইরে এই সকল খন্ডকালীন চাকুরী করে থাকে তাহলে সে কিছুটা হলেও নিজের আয় করতে পারবে।এছাড়াও ছাত্রবস্থায় আপনি টিউশনি করতে পারেন। এতে যেমন নিজের জ্ঞান সঞ্চার হবে তেমনি বাড়তি আয় করাও সম্ভব। এছাড়াও আজকাল অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে তারা ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার খুঁজছে। লেখালেখি যদি হয় আপনার নেশা এবং পেশা তাহলে আপনিও আয় করতে পারবেন।অনেক কোম্পানি ভালোমানের ট্রান্সলেটর খুঁজে থাকে। শুধুমাত্র ট্রান্সলেটর হয়েও আপনি আয় করতে পারবেন।                                                   আপনি জানলে অবাক হবেন যে আমার পরিচিত এক ভাইয়া মেডিকেলের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় শুধুমাত্র নিজের টিউশনির টাকা জমিয়ে গাড়ি কিনেছে। তাইলে বুঝতেই পারছেন নিজের টাকায় চলার মজাই আলাদা।কষ্ট হবে,খারাপ লাগবে দিনশেষে হয়ত আর পেরে উঠবেন না কিন্তু হাল ছেড়ে দিবেন না। আজ হাল ছেড়ে আপনার পক্ষে আর হয়ত উঠে দাড়ানো হয়ে উঠবে না।তাই সময় থাকতে নিজের উপর নির্ভরশীল হঊন।

Related Posts

17 Comments

মন্তব্য করুন