ইউনিক কন্টেন্ট লিখবেন যেভাবে জেনে নিন উপায়

আপনার ব্লগ সাইটের কনটেন্ট আপনি নিজেই বা অন্য কাউকে দিয়ে লিখে নিতে পারেন ।আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলছি একটু কষ্ট করে হলেও নিজের কনটেন্ট নিজের লেখায় অনেক ভালো ।কারণ এটা করার মাধ্যমে আপনি Seo সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।আপনি যখন আপনার ব্লগ সাইট এর জন্য নিজেই কনটেন্ট লেখা শুরু করবেন তখন আপনার কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত। তাই নিয়ে আমি আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব:

আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে কনটেন্ট কি :আসলে যেকোনো তথ্যবহুল বিষয় বা কোনও প্রডাক্ট কে সম্পূর্ণভাবে বা বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করার নামই হল কনটেন্ট ।আবার আপনার এই কনটেন্ট যদি ট্রাফিক বান্ধব না হয়ে থাকে তাহলে এটি আপনার কোন কাজে আসবে না ।তাহলে আমাদের আগে অবশ্যই জানতে হবে কনটেন্ট কি এবং কিভাবে ট্রাফিক বান্ধব কনটেন্ট লিখতে হয় ।

কনটেন্ট হলো একটি কি ওয়ার্ড নিয়ে যেকোনো তথ্যবহুল আলোচনা যার মাধ্যমে আপনি আপনার সাইটে আসা ভিজিটরদের কে তথ্যবহুল আলোচনা উপহার দিতে পারবেন ।

একটি ভিজিটর বান্ধব তথ্যবহুল কনটেন্ট এর উদাহরণ কিওয়ার্ড একাউন্টিং কি ? আপনি কি ওয়ার্ল্ডের যৌন টার্গেট করেছেন হয়তো শিক্ষার্থী বা যারা হয়তো একদম নতুন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যে কিনা নিজের হিসাব নিজেই রাখতে চাই । অতএব আপনি এই কনটেন্ট এর জন্য অবশ্যই একাউন্টের সংজ্ঞা এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা করবেন হয়তো ।যার মাধ্যমে পাঠকরা সঠিকভাবে তথ্য অর্জন করতে পারবেন এখান থেকে।

ইউনিক কন্টেন্ট কিঃসাধারণত কোন নতুন কনটেন্টকে ইউনিক কন্টেন্ট। কারো কাছ থেকে নকল না করে আপনার নিজের লেখা কনটেন্ট  হল ইউনিক কন্টেন্ট।ইউনিক কনটেন্টকে ব্লগের প্রাণ বলা হয়ে থাক। একটি ব্লগের জন্য ইউনিক কন্টেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

ব্লগ সাইটে কনটেন্ট লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোঃ

প্রথমে অবশ্যই আপনাকে  ক্যাটাগরি কিওয়ার্ড রিসার্চ  করে নিতে হবে এবং তার মধ্য থেকে দশটা সাবজেক্ট কী ওয়ার্ড সিলেক্ট করে নিবেন  আর অবশ্যই সব কিওয়ার্ডগুলো রিচার্জ করে নেবেন এদের সার্চ ভলিউম কত। এসইও বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণত সার্চ ভলিউম 800 থেকে 2500 এর মধ্যে হলে সবথেকে ভালো হয়। সেজন্য আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য  যেসব টুল ব্যবহার করবেন সেখানে সার্চ ভলিউম দেখে নিবে।

কত ওয়ার্ডের কনটেন্ট লিখবেনঃ

আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য কাজ করতে চান তাহলে আপনার কনটেন্ট 300 থেকে 400 হলেও কোন ব্যাপার না আপনি যদি এডসেন্সকে লক্ষ্য করে সামনে এগিয়ে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কনটেন্ট 800 থেকে 1000 এর মধ্যে হতে হবে বা তার বেশি হতে হবে। কনটেন্ট যত বড় হবে তত আর্টিকেলগুলো গুগোল এর উপরের সারিতে রেঙ্ক  করবে । তাই 900 থেকে 1000 ওয়াটের মধ্যে কনটেন্ট লিখলে সবথেকে ভালো হয়। তাছাড়া কনটেন্টকে Seo এর রাজা বলা হয় আপনার কনটেন্ট যত আকর্ষণীয় এবং দৈর্ঘ্য বড় হবে ততো আপনার আর্টিকেলগুলো google-এ তাড়াতাড়ি Rank করবে। তাই কনটেন্ট লেখার সময় অবশ্যই কনন্টের দৈর্ঘ্য  বড় করে লিখবেন।

আমাজন সাইট না ব্লগ সাইট এর জন্যঃ

আপনি এই দুইটার মধ্যে যেটা করেন না কেন  আপনাকে প্রায় একই কাজ করতে হবে, এবং এদের জন্য আপনাকে কম্পিটিউটর  কিওয়ার্ড  দেখতে হবে। এর চেয়ে আপনাকে আরও শব্দের সামগ্রী লিখতে হবে। সাবহেডিং এবং বুলেট পয়েন্ট অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এইচ 1 এবং এইচ 2 শিরোনাম ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই আপনাকে সামগ্রীর শুরুতে চমকপ্রদ শিরোনাম দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার কোনও কুলুঙ্গি সাইট থাকে তবে ধরুন আমার পণ্যের নাম ভিক্টোরিনক্স ব্রেড নইফ। এখন এর জন্য আপনাকে একটি শিরোনাম দিতে হবে যাতে এটি চমকপ্রদ  হয়।

কনটেন্টের কিওয়ার্ড ঘনত্বঃ

কিওয়ার্ড  এর আদর্শ অনুপাত হচ্ছে 0.5 persen অর্থাৎ 1000 ওয়ার্ডের কিওয়ার্ড সর্বোচ্চ 5 বার। আর আপনার যদি ইচ্ছে হয় Lsi  ব্যবহার করতে পারেন যা কিনা আপনি গুগলে সার্চ করলে নিচের দিকে রিলেটেড রেজাল্ট বাস সার্চ বক্সে সাজেস্টেড রেজাল্ট গুলো থেকে নিতে পারবেন।

এই কাজটা যদি হয়ে যায় তাহলে আপনার কনটেন্ট এখন রেডি পাবলিশ করার জন্য। কিন্তু আপনার কাজ কিন্তু এখনো শেষ হয়নি এবার আপনি আপনার কন্টেন্টগুলি সম্পূর্ণ ইউনিক হয়েছে কিনা তা চেক করে নিতে পারেন। সেই জন্য আপনি small seo tools বা duplichecker.com এই ওয়েবসাইটগুলোতে চেক করতে পারেন। যদি দেখেন প্লাগারিজম আছে তাহলে কন্টাক্ট পাবলিশ করবেন না যদি দেখেন যে কন্টাক্ট 100 ভাগ ইউনিক

তাহলে পাবলিশ করে দিন।

এই পোস্টে আমি চেষ্টা করেছি যে ইউনিক কন্টেন্ট কিভাবে লিখতে হয় এবং কনটেন্ট লেখার সময় কোন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয় এই সম্পর্কে  বিস্তারিত আপনাদের বোঝানোর জন্য।আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন