আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমরা জানি ইন্টারনেট আমাদের গোটা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। আমরা নেটের মাধ্যমে মুহূর্তে গোটা বিশ্বের খবর পেয়ে থাকি। আমাদের পুরোটা জীবন যেন ইন্টারনেট এর সাথে জড়িয়ে আছে। আমাদের লেখাপড়া ,বিজনেস ,সাংগঠনিক কাজকর্ম এবং সবকিছুই ইন্টারনেট নির্ভর। এই ইন্টারনেট ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও চলতে পারি না। এগুলো তো বললাম ভালো দিক। আসলে প্রত্যেকটা বিষয়ে কিছু ভালো দিক আবার কিছু মন্দ দিক থাকে । আজকে কথা বলব ইন্টারনেটের কিছু মন্দ দিক নিয়ে।
আমরা যুব সমাজ যেভাবে ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পরতেছি । বাহ্যিক দৃষ্টিতে অনেক উপকার হচ্ছে বলে মনে হয়। তবে এর কিছু ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে ।
নিচে তুলে ধরা হলো….
১. ইন্টারনেট ইউজ করার সবচেয়ে ক্ষতিকারক বিষয় সেটা হলো এতে আমাদের অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে।
২. যদিও আমরা ভালো কাজের উদ্দেশ্যে এ নেটটা ব্যবহার করতেছি । তবুও আমাদের কাজ শেষ হওয়ার পরেও আমরা অতিরিক্ত সময় এখানে ব্যয় করতেছি।যেটা কিনা আমাদের অন্যান্য কাজকর্মের প্রচন্ড ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
৩.আমাদের সমাজে ইন্টারনেট অনেক সহজলভ্য হয়েছে বিধায় প্রাইমারি লেভেলের ছাত্র ছাত্রীরা ইন্দিটারনেটের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে যেটা খুবই অবাঞ্ছনীয়। এটা তাদের বেড়ে ওঠার প্রতিভাকে নষ্ট করে ফেলেছি।
৪. আমরা ভালো কাজের উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেছি। এর পরেও দেখা যায় ভালো কাজের আড়ালে আমরা বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মে জড়িয়ে পরতেছি ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে।
৪. আবার অনেকেই dark.web নামের সেই অন্ধকার জগতে ঢুকে পড়তেছে। যেটা আমাদের প্রচণ্ড হতাশায় ফেলে দেয়।
৫. বিশেষ করে এন্ড্রয়েড ফোনের সহজলভ্যতার কারণে আমাদের দেশের অনেক কিশোর-কিশোরীরা জড়িয়ে পড়ছে অবৈধ মেলামেশায় শুধু ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে।
৫. ইন্টারনেটের এই সুযোগটি ব্যবহার করে আবার অনেক ধরনের ক্রাইমে জড়িয়ে পড়তেছে।
৬. সংস্কৃতিক নামের নোংরা চর্চা ও ইন্টারনেটে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। যেটা আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কে তিলে তিলে নষ্ট করে দিচ্ছে।
৭. ইন্টারনেট ইসলামিক কিছু আলোচনা এবং পর্যালোচনা থাকলেও ধীরে ধীরে তা ঢাকা পড়ে যাচ্ছে কিছু অসামাজিক কাজ কর্মের দ্বারা।
৮. আবার বিশেষ করে কোমলমতি শিশুরাও অনলাইন গেম এর প্রতি অনেকটা ঝুঁকে পড়েছে। এতে তাদের মানবিক দিক গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং তাদের মেধা এবং প্রতিভাকে নষ্ট করে ফেলতেছে ।
ইন্টারনেটের অসংখ্য ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। যা বলে শেষ করা যাবেনা।
আসলে প্রত্যেকটা জিনিসেরই ভালো দিক এবং মন্দ দিক রয়েছে। তবে আমরা সবসময় ভালো দিক বিবেচনা করব। আর ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা কারণে আমরা অসামাজিক কাজ কর্মে লিপ্ত হবো না।
এটাই আমাদের সবার চাওয়া। আমরা ভাল দিকগুলো ফলো করবো এবং ক্ষতিকারক দিকগুলো থেকে বিরত থাকব এবং অন্যদেরকে বিরত রাখার চেষ্টা করব।
আজ এ পর্যন্তই।