ইন্টারনেটের কল্যাণে আক্ষরিক অর্থেই বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।বিগত ২০ বছরে ২০০ টিরো বেশি দেশে ইন্টারনেটের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে।স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেটের সংযোগ থাকলেই সহজেই যোগাযোগ করা যায় বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে।ইন্টারনেটের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ বা ব্যাবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জরুরি প্রয়োজন পূরণ করা যায় খুবই সহজে। কিন্তু কখনো কি আমরা ভেবে দেখেছি ইন্টারনেট কি এবং কিভাবে কাজ করে।
ইন্টারনেট মূলত একটি কম্পিউটার এর সাথে আরেকটি কম্পিউটারের সংযোগ। অতীতে বন্ধুর কাছে ছবির পাঠাতে হলে আমরা পোস্টাল সার্ভিস ব্যাবহার করতাম আর এখন সেই কাজিই করছে ইন্টারনেট।
ইন্টারনেট ব্যাবস্থাকে আমরা ইতোমধ্যে ডাক যোগাযোগের সাথে তুলনা করেছি।এখন ইন্টারনেট নামক ডাকপিয়ন আপনার এবং আপনার বন্ধুর স্মার্ট ফোন কিভাবে খুঁজে পাই। ইন্টারনেটের ব্যবহারযোগ্য প্রত্যেকটি ডিভাইস এর একটি নিজস্ব ঠিকানা বা নম্বর আছে।একে বলা হয় ইন্টারনেট প্রটোকল বা আইপি এড্রেস।ইন্টারনেট বেবস্থা সচল রাখতে প্রায় লক্ষ্য কোটি কম্পিউটার কাজ করে যাচ্ছে।ছবির আদান প্রদান ও এসএমএস আদান প্রদান আপনি তখনই করতে পারেন যখন আপনি কোনো না কোনো ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত আছেন।
ওয়াইফাই সংযোগ বা মোবাইল ডাটা না থাকলে আপনি বিশ্ব ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হইয়ে পড়বেন।ইন্টারনেটকে সরাসরি চোখে দেখা না গেলেও এটির প্রধান অংশ কিন্তু সম্পূর্ণ দৃশ্য মান। আর সেটা হলো সাবমেরিন ক্যাবল।একটি মহাদেশ থেকে আরেকটি মহাদেশে ইন্টারনেট সংযোগের জন্য সাবমেরিন কেবল ব্যাবহার করা হয়।সহজ কথায় বলতে গেলে ইন্টারনেট হলো একাধিক কম্পিউটারের সংযোগ বেবস্থা।ইন্টারনেটের পরিধি এখন বিশ্ব জুড়ে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ এখন যেকোনো কাজ খুব সহজে করে ফেলছে।সুমুদ্রের নিচ দিয়ে সাবমেরিন কেবল টি সংযুক্ত আছে বলেই আমরা খুব সহজে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশ ইন্টার বেবস্থা সংযুক্ত করতে পারি।এবং এক দেশে বসে থেকে অন্য দেশের সব রকম তথ্য খুব সহজে জেনে যাচ্ছি।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে পরীক্ষার রেজাল্ট পেয়ে যাচ্ছি।তাছাড়া বিভিন্ন চাকরির আবেদন ও করতে পারছি অনলাইন থেকে।এক দেশ থেকে অন্য দেশে বসে ভিডিও কল এ কথা বলতে পারছি।
এই সবই সম্ভব হয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।তবে ইন্টারনেট সচল রাখতে হলে অবশ্যই আপনাকে ওয়াইফাই বা মোবাইলে ডাটা থাকতে হবে।কারণ আপনি যতক্ষণ মোবাইল ডাটা বা ওয়াইফাই এর সাথে যুক্ত আছেন ততক্ষণ পর্যন্তই আপনি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারবেন এবং সব তথ্য আপনার হাতের কাছে রাখতে পারবেন।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও আমরা ইন্টারনেটের সংযোগ পেয়ে থাকি কিন্তু সেটা খুবই ধীরগতিতে।ইন্টারনেট যদি বন্ধ হইয়ে যায় তাহলে পৃথিবী অচল হইয়ে যাবে।বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠান ও নেই যেটা ইন্টারনেট ব্যতীত।ব্যাংকিং সিস্টেম শেয়ার বাজার ,প্লেনের মাধ্যমে যাতায়াত বেবস্থা ,অনলাইন ভিত্তিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান , চাকরি হারিয়ে বেকারত্ব সৃষ্টি ,সরকারি অফিসে কার্যক্রম সব কিছু বন্দ হইয়ে যাবে।যদি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে।তাই ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম