ই-কমার্স ব্যবসা করে লাভবান হওয়ার উপায়।

আশা করি সবাই ভালো আছেন।বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ।এখন মানুষ দিন দিন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনকে আরও আরামদায়ক করে তুলছে।যার ফলে এখন মার্কেটে না গিয়ে বাসায় বসে অনলাইনে শপিং এর জিনিসপএ প্রছন্দ করছে।এবং তা সে পন্যটি বাসায় বসেই গ্রহণ করতে পারছে।আর এটাকেই বলে ই-কমার্স ব্যবসা।

ই-কমার্স মানে হলো ইলেকট্রনিক কমার্স।এখানে আপনাকে কোনো কিছু কিনার জন্য বাজারে বা মার্কেটে যেতে হচ্ছে না।আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন বা একটা ল্যাপটপের মাধ্যমে দেশের যেকোনো স্থান থেকে পন্য অর্ডার করতে পারবেন।এবং তা একেবারে বাসায় বসেই গ্রহণ করতে পারছে।

উন্নত দেশগুলোতে এই ই-কমার্স ব্যবসার রয়েছে অনেক চাহিদা।মানুষ এখন অনলাইন থেকেই পন্য কিনতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে।আর এজন্য ই-কমার্স ব্যবসার চাহিদা দিন দিন বেরেই চলছে।যে কেও চাইলে স্বল্প পুজিতে এই ব্যবসা শুরু করতে পারে।আর এক্ষেত্রে আপনার শুধু প্রয়োজন হবে একটা ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ সাথে ইন্টারনেট কানেকশন।আর আপনার মধ্যে এই ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন হবে বুদ্ধি এবং পরিশ্রমের।

বর্তমান বিশ্বে সবথেকে ধনী বেক্তি জেফ বেজোস হচ্ছেন একজন ই-কমার্স সাইটের প্রতিষ্ঠিতা।তার তৈরি ই-কমার্স সাইটের নাম হচ্ছে এমাজন।আর বর্তমানে বাংলাদেশে ও কিছু ই-কমার্স সাইট রয়েছে।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দারাজ,আজকের ডেল,এভালি। আপনি যদি এইরকম বা এর থেকে ও ভালো ই-কমার্স শপিং তৈরি করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পরিশ্রম এবং বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে।সেজন্য নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো।

১.ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।এর জন্য আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে।এবং সেখানে পন্যগুলোর ছবি,দাম এবং কিনার উপায় দিয়ে রাখতে হবে।

২.একটি ওয়েব সাইট খুলতে হবে।একটি ওয়েব সাইট ছারা আজকে কোনো ব্যবসার কথা চিন্তা ও করা যায় না।তাই ব্যবসার জন্য একটি ওয়েব সাইট অবশ্যই খুলবেন।

৩.আপনার ব্যবসার আরো ভালো প্রচারের জন্য আপনি বিভিন্ন ইউটিউবারদেরকে স্পনসর করার জন্য আবেদন করতে পারেন।

৪.আপনি প্রথম অবস্থায় ফ্রিতে হোম ডেলিভারি দিতে পারেন।তারপর থেকে যখন ভালো বিক্রি শুরু হবে তখন থেকে না হয় হোম ডেলিভারির জন্য আলাদা টাকে নিতে পারেন।

৫.আপনি সবসময় ভালো পন্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন।যদি ছবিতে একরকম পন্য দেখায়  আর আপনি তাদেরকে দিচ্ছেন আরেক রকম তাহলে দেখবেন আপনার ব্যবসা শুরুতেই আর চলছে না।

এই ৫ টি উপায়ে আপনি আপনার ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন।আপনি টাকার কথা চিন্তা না করে প্রথম অবস্থায় একটু লোকসান হলেও মানুষকে একটু কমদামে পন্য এবং ভালোভাবে প্রচার করে যান।তারপর যখন একবার এই ব্যসাটি চলা শুরু করবে।তখন আর আপনাকে ইনকাম নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।তাই আপনার যদি মনে হয় আপনি সফল হতে পারবেন এই ব্যবসা করে তাহলে আপনি অবশ্যই একবার চেষ্টা করে দেখুন।ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

 

Related Posts

7 Comments

মন্তব্য করুন