সবাইকে ধন্যবাদ।কেমন আছেন?আশাকরি ভালো।
বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো স্মার্টফোন।এটি দেখতে ছোট হলেও,এর গুরুত্ব অপরিসীম।এই জিনিসটি মানুষের অনেক কষ্ট হ্রাস করেছে।তাই সকলে এই জিনিসটিকে পছন্দ করে।বর্তমানে বিশ্বে সবার হাতেই স্মার্টফোন দেখা যায়।কিন্তু সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে ঠিকিই,কিন্তু অনেকেই এর সঠিক ব্যবহার পদ্ধতি যানে না।ফলে এটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র হওয়ায়,ধীরে ধীরে অচল হয়ে পরে।অথচ কিছু কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখলেই দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারে আপনার প্রিয় স্মার্টফোনটি।
আসুন যেনে নিই,কোন কোন কাজ থেকে বিরত থাকলে স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
অপ্রয়োজনে অ্যাপ সচল
যেসব অ্যাপ আপনি ব্যবহার করেন না,সেগুলো ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি করে। অ্যাপ একবার ওপেন করার পর সেগুলো ব্যবহার না করলে ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক সময় সচল থেকে যায়।
স্মার্টফোন রুট করা
রুট করলে ফোনের ওয়ারেন্টি নষ্ট হয়ে যায়।এবং রুট করলে ফোন হ্যাং করা শুরু করে।
নোটিফিকেশনের জন্য ভাইব্রেশন
অনেকে ফোনের বিভিন্ন নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ভাইব্রেশন মোড চালু রাখেন। এটি করলে ফোনের জন্য স্বাভাবিক কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। অপ্রয়োজনেও তাকে ভাইব্রেশনের কাজটি করে যেতে হয়।
এই অ্যাপগুলো থেকে দূরে থাকতে পারলে ভালো
দ্য গার্ডিয়ান তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ফোন থেকে ফেইসবুক অ্যাপ ডিলিট করে দিলে ব্যাটারির মেয়াদ ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। ঠিক একইভাবে গুগল ম্যাপ, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন অ্যাপগুলো ব্যবহার না করতে পারলে ফোনের জন্য ভালো হয়। কিন্তু সমস্যা হলো, এখনকার দিনে ফেইসবুকের মতো অ্যাপ ছাড়া চলাই দায়। সে ক্ষেত্রে আপনি অ্যাপ ব্যবহার না করে গুগল কিংবা অন্য কোনো ব্রাউজার থেকে ফেইসবুকে লগইন করে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্রাইটনেস সবসময় সমান রাখা
দিন-রাতে যাদের ফোনের ব্রাইটনেস সমান থাকে, তাদের ফোন দ্রুত নষ্ট হয়। এর হাত থেকে বাঁচতে ডিসপ্লে মেন্যু থেকে ব্রাইটনেস সেটিংস ঠিক করা উচিত। এখানে এমন একটি অপশন থাকে, যেটি বাইরের আলোর অনুপাতে ব্রাইটনেস নিজে নিজে ঠিক করে নেয়।
বিছানায় কিংবা বালিশের নিচে ফোন রাখা
এ অভ্যাসটি কমবেশি সবারই আছে। ঘুমের সময় বিছানায় ফোন রাখা ঠিক নয়। বিছানায় রেখে সতর্ক থাকলেও বালিশের নিচে রাখবেন না। এতে ফোনের বিভিন্ন অংশের ওপর চাপ পড়ে। তাপমাত্রার হেরফেরে ব্যাটারিরও ক্ষতি হয়।
সারা রাত চার্জে রাখা
অনেকেই ফোন রাতভর চার্জ দিয়ে রাখে।রাতভর ফোন চার্জ দেওয়া ঠিক নয়। আপাতদৃষ্টিতে এতে ফোনের কোনো ক্ষতি চোখে পড়ে না। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সফটওয়্যার আপডেট
ফোন দীর্ঘদিন ভালো রাখতে হলে বিভিন্ন সফটওয়্যার সব সময় আপডেট রাখা উচিত। এতে ক্ষতিকর ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকে ফোন। ভালো থাকে ব্যাটারিও।
ফোন লক করে রাখা
ব্যবহার করা না হলে ফোনটি লক করে রাখা উচিত। ফোন লক করা না থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু সেবা চলে এবং স্বাভাবিকভাবেই এতে ব্যাটারি খরচ হয়। তাই চার্জ ধরে রাখতে লকের দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
তাপমাত্রা
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ফোন সব সময়ই কক্ষ তাপমাত্রায় ব্যবহার করা উচিত। মোবাইল ফোন কখনোই অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম স্থানে ফেলে রাখা উচিত নয়। সাধারণত সব মোবাইল ফোনের জন্য সুবিধাজনক তাপমাত্রা হলো ০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অতিরিক্ত গেম খেলা
বতর্মানে অনেক জনপ্রিয় গেম আবিষ্কার করা হয়েছে,যেগুলো ডাটা কানেকশন ছাড়া খেলা যায় না।এতে অনেকেই ডাটা কানেকশন করে গেম খেলে।এতে ফোনের প্রসেসরের উপর অনেক চাপ সৃষ্টি হয় এবং ফোন অনেক গরম হয়ে যায়।ফলে ব্যাটারি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে।
উপরের নিয়মগুলো থেকে বিরত থাকলে আপনার ফোন দীর্ঘদিন যাবৎ ভালো থাকবে।এতে আপনি ফোন ব্যবহার করেও আনন্দ পাবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।