একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার ১১টি কৌশল।

একজন ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সব যোগ্যতা আপনার রয়েছে। আপনি কাজে দক্ষ, মনযোগী, স্রিজনশিল। তারপরও হয়তো আপনি সফল হচ্ছেন না। কাজ পাচ্ছেন না। এগুলোর সাথে আর একটা জিনিস আপনার অনেক বেশি প্রয়োজন। আর তা হচ্ছে,  নিয়ম মেনে চলা।

একজন ফ্রিল্যান্সার এর জন্য যেভাবে নিয়ম মেনে চলা উচিত সেভাবে মেনে চলা। একজন ফ্রিল্যান্সারকে অনেক চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়। এত চাপের মধ্যে অন্যরা আপনার সাহায্য করুক তা আপনার মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার তার কাজ এমন ভাবে সাজান যেন সে তা খুব সহজেই সমাধান করতে পারেন। আপনি অনুসরন করতে পারেন তাদেরকে। 

১। আপনি প্রতিদিন যেই কাজটা খুব ভাল পারেন সেটা করুন।

কাজ থাক বা না থাক আপনি যেই কাজে সবচেয়ে বেশি দক্ষ সেই কাজটি প্রতিদিন করুন। এতে আপনার দক্ষতা আর বাড়বে। আপনি লেখা-লেখি ভাল করতে পারলে তা করুন। আপনি গ্রাফিক ডিজাইন ভাল করতে পারলে তা করুন। যা পারেন না তা করবেন না। আপনার যোগ্যতা পারে আপনাকে সফল করতে। কাজ না থাকলে নতুন কিছু শিখুন যাতে আপনি পরে আরও কাজ করতে পারেন। 

২। আপনার কাজের কিছু স্যাম্পল তৈরি করে রাখুন।

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার সবসময় তার কাজের কিছু স্যাম্পল তৈরি করে রাখেন। এগুলো বেশিরভাগ সময় কাজে লাগে যদি আপনার কাজ ভাল হয়।

৩। যখন কাজ থাকবে তখন আরও কাজের জন্য খুজুন

কাজ থাকার পরও আরও কাজ খুজুন। ধরুন এই কাজ করে আপনার মাসে আয় ১০ হাজার টাকা। এমন কাজ কেন করবেন না যেটা থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায়? আপনার এই কাজ হয়তো ১ মাসের জন্য কিন্তু ওই কাজটি থাকার কারনে আপনার এই কাজ শেষ হওয়ার পরেও আর চিন্তা থাকবে না।একই ভাবে আরও কাজে আপ্লাই করতে থাকুন। তাই সবসময় ভাল কাজের খোজ করুন।

৪। কাজ পছন্দ না হলেও যদি পারেন সেই কাজটি করুন।

ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি যেটা খুশি সেই কাজ করতে পারেন। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার মাঝে মাঝে অপছন্দের কাজও করেন। এতে আপনার ক্লাইন্ট খুশি হয়ে আপনাকে আরও কাজ দেবেন। যখন আপনার কোন কাজ থাকবে না তখন এই কাজটি আপনার বিকল্প কাজ হিসেবে থাকবে।

৫। কোন সমস্যা হলে কাজ ছেরে দেবেন না।

আপনার অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে কিন্তু কাজ ছারবেন না। আপনার কাজ ছেরে দেওয়ার ইচ্ছা হতে পারে কিন্তু একজন সফল ফ্রিল্যান্সার কখনও তার কাজ ছেড়ে দেন না যার কারনে সে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করে। 

৬। নিজের ভুল নিজে সংসধন করুন।

নিজের ভুল নিজে সংসধন করার ক্ষমতা সবার মধ্যে থাকে না আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যতটুকু সম্ভব নিজের ভুল নিজে সংসধন করুন। 

৭। ফ্রিল্যান্সিং এর বাহিরেও কাজ করুন।

ফ্রিল্যান্সিং এর বাহিরেও আরও অনেক কাজ আছে। যেমন বেক্তিগত কাজ, সামাজিক কাজ, পারিবারিক কাজ, ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং এর কারনে এগুলো অবহেলা করলে ফ্রিল্যান্সিং আপনি সফল হতে পারবেন না। একসময় এগুলো আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে বাধা সৃষ্টি করবে। 

৮। কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করুন এবং কাজের সন্ধান করুন। 

পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত ৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে, Upwork, Freelancer এবং Fiverr. এগুলোতে আপনি অনেক ধরনের কাজ পেয়ে যাবেন কিন্তু এটা অনেক সহজ না কখন।

৯। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর বাহিরেও কাজ খুজুন। 

Upwork, Freelancer এবং Fiverr ইত্যাদির বাহিরেও Facebook এ অনেকে অনলাইন কাজ পোস্ট করেন। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর চেয়ে এখানে আপনি বেশি তারাতারি কাজ পাবেন কিন্তু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ক্লাইন্ট আপনাকে আসলেই টাকা দেবে কি না কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলোতে আপনার কাছ থেকে টাকা চাবে অথবা কাজ করিয়ে নিয়ে আপনাকে টাকা দেবে না।

১০। আর্টিকেল অথবা কোন কিছু লেখার সময় কোন জায়গা থেকে কপি করবেন না।

প্লাগিয়ারিস্ম (Plagiarism) এর কারনে আপনার ক্লাইন্ট আপনাকে কাজ থেকে বাদ দিয়ে দিতে পারেন। কারও কাছ থেকে বা ওয়েবসাইট থেকে কপি না করে নিজে নিজের প্রতিভা দিয়ে লিখুন। কপি করা থেকে দূরে থাকুন। ভুলেও কারও আর্টিকেল বা অন্য কিছু কপি করবেন না।

১১। আপনার কাভার লেটার লেখার দক্ষতা বাড়িয়ে তুলুন।

আপনার দক্ষতা হচ্ছে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার অন্যতম উপায়। এর মধ্যে একটি দক্ষতা খুব জরুরি এবং সেটি হচ্ছে কাভার লেটার লেখার দক্ষতা। কোন কিছু না দিলে কোন কিছু আসবে না। আপনি হয়তো অনেক দক্ষ কিন্তু আপনি একটি ভাল কাভার লেটার না দেওয়ার কারনে আপনি কাজটি পাননি। তাই নিজের কাভার লেটার লেখার দক্ষতা বাড়িয়ে তুলুন। 

Related Posts

9 Comments

  1. নতুন সাইট ভালো ইনকাম ঘুরে আসার আমন্ত্রন রইলো রেজিস্টার করলেই পাবেন ২৩০ টাকা বোনাস ৩০০ টাকা হলে পেমেন্ট নিতে পারবেন । লিংক এ গিয়ে দেখে আসুন ভালো লাগলে করবেন । ধন্যবাদ
    https://blog.jit.com.bd/earning-site-3778

মন্তব্য করুন