একটি ওয়েবসাইট তৈরির শুরুতে যা যা করবেন 

বর্তমানে একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা অনেকেই অনুভব করে। কিন্তু ওয়েবসাইট তৈরি করার শুরুতে কি কি কাজ করতে হবে বা কোন কোন বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে তা আমরা অনেকেই জানি না। এজন্য আজ তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি লেখা। আশা করি বিষয় গুলো আপনি সঠিকভাবে লক্ষ্য রাখলে একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত করতে সমস্যা হবে না।

ওয়েবসাইট তৈরির প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে ওয়েবসাইট আসলে কি? কিভাবে কাজ করে? তারপর আপনাকে জানতে হবে ডোমেইন ও হোস্টিং কি? এগুলো কি কাজে ব্যবহার হয়? তো চলুন বিষয়গুলো একে একে জানা যাক।

ওয়েবসাইট কি ও কিভাবে কাজ করে?

ওয়েবসাইট (Website) বলতে কোনো নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভারে (Server) সংরক্ষিত বিভিন্ন ধরনের ওয়েবপেজ, লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেশন (Animation), লিংক ইত্যাদি ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়। যা আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইস গুলোর এর সাহায্যে অ্যাক্সেস করতে পারি।

ডোমেইন ও হোস্টিং কি?

ডোমেইনঃ ওয়েরসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি নাম পছন্দ করতে হবে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য যে নাম ঠিক করবেন সেই নামকেই বলা হয় ডোমেইন নেম। সেই নামের মাধ্যমেই আপনার ওয়েবসাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করে অন্যান্য মানুষজন অ্যাক্সেস করতে পারবে সেটিই মূলত ডোমেইন। যেমন গুগলের ডোমেইন নেম www.google.com  নামটি দিয়েই আমরা গুগলের সার্চ পেজ অ্যাক্সেস করি।

হোস্টিংঃ এক কথায় যদি বলতে হয় তাহলে হোস্টিং হলো একটি জায়গা যেখানে আপনার তৈরি ওয়েবসাইটটি রাখা হয়। একটি ওয়েবসাইট একটি কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। আপনি যেমন আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো আপনার কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে রাখেন ঠিক একই ভাবে একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ফাইল একটি কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকে। যা সার্ভার নামে পরিচিত। আপনি আপনার সাইটের জন্য হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি থেকে যে জায়গা কিনবেন সেটি আপনার সাইটের জন্য হোস্টিং।

একটি ওয়েবসাইট তৈরির প্রথমে ভাবতে হবে আপনি কি ধরনের সাইট তৈরি করতে চান। মনে করুন আপনি নিজের জন্য পার্সোনাল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। ওয়েবসাইটটিতে আপনার বিভিন্ন ইনফরমেশন থাকবে যেমন- আপনি কি করেন, আপনার পরিচয়, আপনার সোশ্যাল মিডিয়া, আপনার কোম্পানি ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে আপনাকে খুব বেশি অর্থ খরচ না করলেও চলবে। কারণ পার্সোনাল ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে হোস্টিং ও ব্যান্ডউইথ কম খরচ হয়।

কিন্তু মনে করুন আপনি একটি কমার্শিয়াল সাইট তৈরি করতে ইচ্ছুক। সেক্ষেত্রে আপনাকে তুলনামূলক বেশি খরচ করতে হবে। কারণ কমার্শিয়াল ওয়েবসাইটের ভিজিটর পার্সোনাল ওয়েবসাইট থেকে কয়েকগুণ বেশি আসবে এবং কমার্শিয়াল সাইটে ইনফরমেশন বেশি থাকবে। এজন্য আপনাকে হোস্টিং এর জন্য বেশি করচ করা লাগবে। আপনি যদি ডোমেইন হোস্টিং এর জন্য কেমন খরচ হবে তা জানতে চান তাহলে বাংলাদেশি বিভিন্ন ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানির ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন