এক কাপ চায়ের দাম হাজার টাকারও বেশি! বদলে ফেলুন চায়ের ফ্লেভার।

আমাদের জীবনটা চায়ের সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে। চা যেন হয়ে উঠেছে জীবনের এক অকৃত্রিম বন্ধু। সকালের শুরুটা এক কাপ চা দিয়ে হলেই বোধহয় আমরা তৃপ্তি ঢেকুর তুলি। চা,যেন জীবনের অনবদ্য উপাদান। মানুষের জীবনে যেমন পরিবর্তন এসেছে। ঠিক তেমনিভাবে চায়ের এসেছে নিত্যনতুন ফ্লেভার। একেকটি একেক দিন একেক রকম ফেভার। জীবনকে আনন্দময় করতে এর ভূমিকা অপরিসীম। আমরা অনেকেই চা খাই।

কেউবা বাসায় কেউ বা রেস্টুরেন্টে, আবার কেউবা টং দোকানে। একেক জায়গায় চায়ের 1। ১। টেস্ট। কোনোটা দামি আবার কোনোটা কম দামি। তবে আমার জানা মতে বাংলাদেশে এমন আছে আছে যা হাজার টাকা কাপ বিক্রি হয়। তবে এর গুণগত মান অসাধারণ। খুব খুব কম লোকই জানেন এর উপাদান। কিছু কিছু মানুষের হাতে অবশ্য জাদু আছে, অসাধারণ চা বানাতে পারেন তারা। আমরা অনেকে অনেক জায়গায় ঘুরতে যাই।

সেখানকার টং দোকান গুলোতে চায়ের স্বাদ নিতে ও আমরা ভুল করি না। একেক জায়গায় একেক নামে বিখ্যাত। তবে অবশ্য আমরা ইচ্ছা করলে বাড়িতে অসাধারণ চা তৈরি করতে পারি। শুধু লাগবে আপনার ইচ্ছা ও একাগ্রতা। আপনি শুধু শুধু কেন টাকা খরচ করে চা খেতে যাবেন।বাড়িতে বসেই তৈরি করে নিতে পারেন অসাধারণ স্বাদের ফ্লেভার বিস্তৃত চা। যে চা ,আপনাকে চাঙ্গা করে তুলবে। হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে সবাইকে তাক করে এককাপ অসাধারণ চা বানিয়ে দিন। দেখবেন প্রশংসায় প্রশংসায় আপনি ফেঁসে যাবেন ।

ছড়িয়ে পড়বে আপনার চা বানানোর অসাধারণ দক্ষতা।অবশ্যই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি কি টি-স্টল করে নিতে পারেন? অনেকেই করছে,! বেকার তরুণদের বেকার ভাবনাগুলোর কিছুটা হলেও বেকারত্ব দূর করবে একটি ভাল মানের চা কিংবা কফি শপ। অনেকেই উদ্যোক্তা হয়েছেন। পেয়েছে নাকাশ ছোঁয়া সফলতা। পৃথিবীর কোন কাজ গুলি আসলে ছোট নয়। মনোযোগ দিয়ে যেকোনো কাজেই সফলতা আপনার হাতে ধরা দিতে পারে। শুধু দরকার আপনার ইচ্ছা এবং আপনার চিন্তাধারা। ছোট ছোট কোন কিছু আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে আপনি হয়ে উঠতে পারেন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। আপনি ভাবতেই পারেন পারবেন না যে ছোট ছোট কাজগুলো আপনাকে কোথায় পৌঁছে দিয়েছে। যাই হোক আমি আজকে কয়েকটি চা বানানোর ফ্লেভার সম্পর্কে আলোচনা করব।

নাম্বার ওয়ান: অনেকেই আমরা রং চা খেতে পছন্দ করি/অনেকেই তাতে যোগ করি নিত্য নতুন ফ্লেভার/চায়ের অনেকগুলো ফ্লেভার আছে/তার মধ্যে কোন টা আবার লেমন চা; কোনোটা অরেঞ্জ ট্রি/কোনোটা তেজপাতার চা/কোনোটা আবার লবঙ্গ চা/কোনোটা পুদিনাপাতা চায়/আবার কোনোটা আমরা মসলা চা বলে থাকি। তবে আপনি যে চাই বানান না কেন সেটাতে থাকতে হবে আপনার মনোযোগ।

কতটা পরিমাণ চিনি লাগবে কতটা পরিমাণ চা পাতা জ্বাল দিতে হবে সেটার উপর নির্ভর করে আপনার দক্ষতা।
দ্বিতীয় ধাপঃ অনেকেই আমরা দুধ চা খেয়ে থাকি। তার ভিতরে ,ভিতরে আছে নানান প্রকারভেদ। কোনোটা মালাই চা/আবার কোনোটা শুধু দুধের চা/কোনোটা আবার হালকা লিকার/আবার কোনোটা গাড়লি কার/কোনোটাতে আবার সর মিশ্রিত থাকে/আবার কোনোটাতে থাকে গুঁড়ো দুধের মিশ্রন/তবে যেটাই আপনি মিশান , সেটা সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। কোন জিনিসটি দিলে কেমন স্বাদ আসে। কোন জিনিসটি কম আর কোন জিনিসটি বেশি দিতে হবে তার সম্পর্কের পূর্ব অভিজ্ঞতা অবশ্যই জরুরি।

বর্তমানে অনেকেই দেখা যায় দুধের চা l1 লাইব্রেরি খুলে বসেছেন। বিষয়টি ভাবতে দারুন লাগে। এটা নিয়ে,নতুন নতুন গবেষণা হচ্ছে। গবেষণা করতে করতে অনেকেই আবিষ্কার করে ফেলেছেন অসাধারণ জাদুকরী জাদুকরী চা,। ভালো রেসপন্স পাচ্ছেন তারা। আগে হয়তো কেউ এমন করে ভাবেন নাই। তবে আমরা চাই এই ভাবনা গুলো আরো অনেক দূর এগিয়ে যাক। তবেই আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলে জীবনকে উপভোগ করতে পারব।

জানি আরও অনেক কথা, আরো অনেক গল্প আরো অনেক সাদ লুকিয়ে আছে বাংলায়। সেগুলো আমাদের বাঙ্গালীদের জীবনে এক বৈচিত্রময় উপমা সৃষ্টি করে। আমরা নিজেদের বাঙালি হিসেবে গর্বিত বোধ করি। আমার দেশের চা,এর সুনাম ছড়িয়ে যাক পুরো বিশ্বে। অতিথিরা আমন্ত্রিত থাকুক আমার এই বাংলায়, এক কাপ চায়ের স্বাদ নিতে। তবেই বুঝব আমরা এগিয়ে গেছি অনেক দূরে।

Related Posts

15 Comments

মন্তব্য করুন