করোনা পরিস্থিতিতে একে অপরকে সুরক্ষিত রেখে ঈদের জামাতে যে যে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। টিপসগুলো জেনে নিন, করোনামুক্ত থাকুন।

সম্মানিত মুসলমান ভাইগণ,

আমার সালাম পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা নিবেন। আশা করি, সবাই ভাল আছেন। বছর পেরিয়ে দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা, তারাবি, সেহরি, জুমাতুল বিদা শেষ করে যথাসম্ভব, আগামী ২৫ মে, রোজ সোমবার আমাদের দেশে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে যাচছে। আর এবার ঈদটি একটু ব্যতিক্রমভাবে হাজির হয়েছে আমাদের সামনে। সরকারি কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে ঈদে জমায়েতের ব্যাপারে। মসজিদে যথাযথ নিয়ম মেনে সমাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাত আয়োজন করা যাবে। অন্যদিকে খোলা অর্থাৎ ঈদগাহ ময়দানগুলোতে একেবারে জমায়েত হওয়া যাবেনা বলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মসজিদে ঈদের জামাতে আমাদেরকে মানতে হবে অনেক কিছুই করোনার বিস্তার ঠেকানোর জন্য।

বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নেওয়ায় আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের এলাকাকে করোনা মুক্ত রাখতে আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিতঃ

১। ঈদের নামাজের জামাতে আসার সময় মুসল্লীগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার জায়নামাজ নিয়ে আসবেন এবং আপনার জায়নামাজে কেবল আপনিই দাঁড়াবেন।

২। ভাইরাস সংক্রমন রোধে নিজ নিজ বাসা হতে অযু করে আসবেন এবং অযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধৌত করবেন।

৩। মসজিদ প্রাঙ্গণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করে মসজিদে প্রবেশ করবেন। আপনার পায়ের জুতা স্যান্ডেলগুলো একটার উপর আরেকটা রাখবেন না।

৪। ঈদের জামাতে আগত মুসল্লীগণ অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসবেন।

৫। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর সময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন।

৬। শিশু, বয়স্ক, যেকোন অসুস্থ ব্যাক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যাক্তি ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ না করাই উত্তম।

৭। মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মিলানো পরিহার করা থেকে বিরত থাকুন।

৮। ঈদে নিজ বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি, নিজ মহল্লা থেকে অন্য মহল্লা,আত্মীয় স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীর ঘরে বেড়ানো থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

আশা করি আসন্ন ঈদুল ফিতরের জামাতের ক্ষেত্রে  উল্লেখিত নির্দেশনা গুলো মেনে চলে নিজেকে এবং নিজ পরিবারকে করোনার ভয়াবহতা থেকে মুক্ত রাখবেন।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন…

Related Posts