কিভাবে অতিরিক্ত চিন্তা সফলতার বাধা হয়ে দারায়?

আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমরা একটা কথা প্রায়ই শুনে থাকি কাজ করার পর না কাজ শুরু করার আগে ১০০ বার ভাবুন।এই কথাটা আমিও মানি।কারন কাজ করার পর ভাবলে আর কোনো লাভ নাই।কিন্তু কোনো কাজ যদি সমাজের ভালো হয়,আপনার ভালো হয়,কাজে নতুনত্ব থাকে,তাহলে এখুনি শুরু করে দিন।কারন যতই ভাববেন আপনার সময় নষ্ট হবে এবং কাজ করার আর মনোযোগ থাকবে না।তাই বিখ্যাত বেক্তিরা বলেন,কোনো কাজ অনেক দেরি হবে ভেবে ফেলে রেখো না কারন তুমি ঐ-কাজটি না করলেও সময় চলে যাবে।তাই যদি কাজ করার আগে অতিরিক্ত চিন্তা করেন যেমন;মানুষ কি বলবে,যদি না পারি,এটা আমাকে দ্বারা সম্ভব না,পরে করবো।তাহলে এই নেগেটিভ চিন্তাগুলো আপনার কাজ করার ভালোলাগাটা নষ্ট করে ফেলবে।পরবর্তীতে যদি আপনি ঐ কাজটি করেনও তারপর ভালোভাবে করতে পারবেন না কারন সেই ভয়গুলো আপনার মনে থাকবে আর দ্বিতীয়ত একবার যদি ব্যর্থ হোন তাহলে আর দ্বিতীয়বার কাজ করার কথা ভুলেও মাথায় আনবেন না।অতিরিক্ত চিন্তা থেকেই নেগেটিভ চিন্তার জন্ম নে।তাই এতক্ষণ আপনাদেরকে আমি বললাম অতিরিক্ত চিন্তা কিভাবে সফলতার বাধা হয়ে দারায়।এখন আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন বা নেগেটিভ চিন্তা না করার কিছু টিপ্সঃঃ

১.যেই কাজটা করবেন সেই কাজটাকে ভালোবাসুন।যেই কাজগুলো করতে আমাদের ভালো লাগে,আমরা সাধারণত সেই কাজগুলো বেশি করি।তাই যদি আপনি সেই কাজটাকে প্রছন্দ করেন বা ভালোলাগা চলে আসে তাহলে আপনি এই কাজটার জন্য সব্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারবেন।

২.কাজটি এখুনি শুরু করে দিন।এটা হচ্ছে অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।এখন সেই কাজটা কিভাবে করবেন তার জন্য গুগলে সার্চ করে একটু ধারণা নিতে পারেন।তাই কাজটা এখুনি শুরু করে দিন।

৩.নিজেকে নিজে মোটিভেটেড রাখুন।আমরা মোটিভেশন পাওয়ার জন্য অনেক মোটিভেশনাল ভিডিও দেখে থাকি।তেমনি নিজেকে প্রতিদিন রাতে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে বলুন আমি এটা পারবো।আমি এটা করবোই।

৪.এটা মানুন যে ব্যর্থতা থেকে সফলতা আসে।তাই আপনি যদি কোনো কারনে প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে যান তারপরও হার মানবেন না।সেইখান থেকে জ্ঞান অর্জন করে আবার প্রথম থেকে শুরু করে দিন।

আশা করি আমি আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি কিভাবে অতিরিক্ত চিন্তা সফলতার পথে বাধা হয়ে দারায়।আর সেই চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যও কিছু টিপ্স দিতে পেরেছি।

তাই নিজের উপর বিশ্বাস রেখে কাজ করে যান সফলতা আসতে বাধ্য।

Related Posts