গরম কমানোর জন্য করণীয়

বর্তমানে সারা বিশ্বে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এই গরমে স্বাভাবিক ভাবে টিকে থাকাই কষ্টকর হয়ে গেছে। আমাদের সবার হয়তো এসি, আইপিএস, এয়ার কুলার ইত্যাদি কেনার সামর্থ্য নেই। কিন্তু কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরাও আমাদের রুমকে ঠান্ডা করে রাখতে পারি। পদ্ধতিগুলো হল:
১.প্রথমে একটি বড় বোল বা বালতিতে অনেকগুলো বরফ নিতে হবে। এরপর সেটি ঘরের ফ্যানের বরাবর নিচে রেখে দিতে হবে। তবে ছোট বাটিতেও বরফ নেওয়া যাবে। এই কাজটি করলে রুম ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
২.চাইলে আপনি বাসাতেই এয়ার কুলার তৈরি করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি স্ট্যান্ড ফ্যানের প্রয়োজন হবে। এর পেছনে বাটিতে করে বরফ রাখতে হবে। পরে মেশিনের সাহায্যে এই এয়ার কুলার তৈরি করা যাবে।
৩.যে জানালা দিয়ে ঘরে তাপ ঢোকে সেটি বন্ধ করে রাখতে হবে। তখন তাপ ঘরে প্রবেশ করতে পারে না।
৪.গাঢ় রংয়ের পর্দা ব্যবহার করতে হবে। তাহলে সুবিধা হয় ।
৫.জানালার পাশে গাছ লাগানো যায়। তাহলে সেগুলো বায়ু চলাচলে সাহায্য করে।
৬.ক্যাকটাস,অ্যালোভেরা ইত্যাদি গাছ লাগাতে পারেন।
৭.চালভর্তি বালিশ তৈরি করে ঘুমাতে পারেন। এটি আপনার দেহে ঠান্ডা অনুভূতি জাগাতে সাহায্য করবে।
৮.একটি বাটিতে পানি নিয়ে সেটিতে পাথর রেখে তাতে ফুল দিতে হবে। তারপর যে জায়গা দিয়ে বাতাস আসে সেখানে এটি রেখে দিতে হবে।
৯.জানালাতে পাট বা বাঁশের পর্দা লাগাতে হবে। তারপর সেখানে পানি দিলে রুম ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
১০.রুম মোছার সময় পানির সাথে একটু লবণ মিশিয়ে নিতে হবে।
১১.খবরের কাগজ, সিল্কের জিনিস সরিয়ে রাখতে হবে।
১২.বিছানার চাদর, বালিশের কাভার সুতি হতে হবে।
১৩.ঠাণ্ডা একটি বডি লোশন বানাতে পারেন। ঘুমাতে গেলে এটি লাগিয়ে নিবেন।
১৪.জানালা সবসময় মুছে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
১৫.ঘরে পাতলা কাপড় পরে থাকতে পারেন।
১৬.অপ্রয়োজনে ঘরের লাইট অফ করে রাখতে হবে।
১৭.লাল,হলুদ ইত্যাদি রংয়ের লাইট ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এগুলো গাঢ় রংয়ের।
১৮.বেশি গরম লাগলে ঘুমানোর আগে শরীর মুছে নিতে হবে। বোতলে ঠান্ডা পানি নিয়ে সেটি স্প্রে করতে পারেন।
১৯.গরমে ভারি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২০.ঠাণ্ডা পারফিউম বা ডিউড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ দেশ। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশেও তাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের সোনার বাংলা একদিন মরুভূমিতে পরিণত হবে। এটি আমাদের জন্য খুব বিপজ্জনক। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস। আর এই গ্যাসের বৃদ্ধির জন্য দায়ী আমরাই। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সাবধান হতে হবে।

Related Posts