ঘরে বসে ত্বক ফর্সা করার ৪ টি সহজ উপায়।

হ্যালো বন্ধুরা,আজ আমি তোমাদের সাথে তবক ফর্সা করার ৪টি সহজও ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব।তো চলো শুরু করা যাক। তবক আমাদের সকলের নিকট নিজেদের অত্যন্ত পছন্দের ও আমরা সকলেই অনেক বেশি যত্নশীল সেখানে যখন আমাদের ত্বক বিষয়ক কিছু ইনভলভড থাকে। আর থাকবই না বা কেন? কে না চায় ত্বক সুন্দর ও ফরসা রাখতে।এই জন্যে অনেকেই কত অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেন কেউ হয়ত পারলারে যান আবার কেউ কেউ কিংবা ডাক্তারের নিকটস্থও হয়ে থাকেন ত্বক ফরসা করে আরো সুন্দর করে তুলতে। অথচ যেখানে আমাদের বাসার খুবই সহজলভ্য কয়েকটি উপাদান দিয়েই আমরা অনেক উপকারীভাবে নিজেদের ত্বক ফরসা করে তুলতে পারি।এদিকে, একটি কথা না বললেই নয় যে আল্লাহ তা’লা প্রাপ্ত স্কিন কালার কারো পক্ষেই চেঞ্জ করা সম্ভব নয় এবং সেটি আমরা সকলেই জানি যে আমাদের কালার আমাদের ত্বকের নিচের মেলানিন এর উপর নির্ভর করে কোন ডাক্তার কিংবা কোন পারলার ই সেটা চেঞ্জ করতে পারবে না।তবে আমরা অবশ্যই আমাদের স্কিন কে দীর্ঘদিন যাবত রেগুলার যত্ন নেয়ার মাধ্যমে সেটাকে অনেকটা উজ্জ্বল করে আরো লাবন্যময় করে তুলতে পারি।এবং এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক রাস্তা অবলম্বন করাই সবচাইতে বেশি উপযোগী কেননা কৃত্রিম কস্মেটিকস শুধু চেহারার কৃত্রিমতাই বয়ে আনবে। আসুন তবে জেনে নিই ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে চেহারার লাবন্য ফিরিয়ে এনে পেতে পারেন ফরসা এবং উজ্জল স্কিন:

১.চন্দন ও মুলতানি মাটি ব্যবহার করুন অন্তত সপ্তাহে ৩ দিন চন্দন ও মুলতানি মাটি হচ্ছে আমাদের প্রকৃতিতে থাকা এমন দুটি উপাদান,যেগুলো যুগ যুগ ধরে প্রাচীন রানী সহ সকলেই সৌন্দর্য রক্ষায় ব্যবহার করে আসছেন।মূলতানি মাটি ও চন্দন কে একসাথে গোলাপ জল কিংবা পানি দিয়ে মিশিয়ে এর পেস্ট টি মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন।মুলতানি মাটি স্ট্রং ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে স্কিন এর ভিতর থেকে ময়লা বের করে আনে এবং ফরসা করতে সাহায্য করে।এবং চন্দন ত্বকের টানটান ভাব বজায় রেখে উজ্জল্যতা ধরে রাখে।

২.লেবু ও মধুর ফেসপ্যাক—লেবু ও মধু এই ২ টি আমাদের সকলের কাছেই অনেক পরিচিত এবং প্রায় সকলের ঘরেই এই ২ টি উপাদান বিদ্যমান থাকে।১ টেবিল চামচ মধু নিয়ে তাতে পরিমান মত লেবু পিষে নিয়ে এর মিশ্রনটি আস্তে আস্তে করে মুখে ঘষুন ৩০-৪৫ মিনিট।কেউ চাইলে এই প্যাকটি গোসলের পূর্বে হাতে পায়ে ও সম্পূর্ন বডিতে লাগাতে পারেন কেন না এটি বডি হোয়াটনিং প্যাক হিসেবেও দারুন কাজ করে।এক্ষেত্রে পরিমান টা অই হিসেবমত নিয়ে নিতে হবে।এইটি লাগিয়ে বসে থাকলে হবে না যতক্ষন প্যাক শেষ না হয় ঘষতে থাকুন এবং তারপর ধুয়ে মুখে যেকোন একটা মশ্চাইরাইজার লাগান।লেবুর সাইট্রিক এসিড স্কিনের জন্যে প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে স্কিন কে দৃশ্যত ফরসা করে তুলে।

৩.কলার পেস্ট ও গূড়া দুধ এর প্যাক—গুড়া দুধ ও কলা দুটিতে বিদ্যমান গ্লুটাথিয়ন রোদের পোড়া দাগ দূর করে স্কিন কালার চেঞ্জ করে চামড়া ফরসা করতে অতি সাহায্য কারী এবং এটি মেডিক্যাল কতৃক প্রমানিত।এই কলার খোসা ও আমাদের স্কিন এর যত্নে অনেক উপকারী।তবে কলা ও গুড়া দুধ একসাথে মিশিয়ে হালকাভাবে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে রোদ থেকে এসে লাগিয়ে রাখবেন ২০ মিনিট এবং তারপর হালকা ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪.কাচা হলুদ পেস্ট ও টক দই এবং ভাত পেস্ট— এই ৩ টি উপাদান মিশিয়ে একসাথে করে লাগিয়ে রাখার ফলে একদিনেই আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে ৫০% বেশি। কারন এর মধ্যকার ২ টি উপাদান ই ইন্সট্যান্ট হোয়াটনিং এর কাজ করে।তাই এই প্যাকটি সাধারনত কোথাও বাইরে যাওয়ার আগে দিতে সাজেস্ট করা হয়।এতে বিদ্যমান উপাদান গুলিও একদম ন্যাচারাল যা স্কিন এর কোন ক্ষতি ছাড়াই স্কিন ফরসা করবে এবং কাচা হলুদ অনেক আগের পুরনো দাগ দূর করতেও হেল্পফুল।

Related Posts