ঘুমানোর আগে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে মহাবিপদ
আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করি। আমরা সবাই জানি যে মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে আমাদের চোখের, মাথায় সমস্যা হয়। শুধু মোবাইল নয় অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় এই কথাটা তো আমরা সবাই জানি। আমরা অনেকেই আছি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা শুয়ে শুয়ে অনেকক্ষন মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। এটি কি কিন্তু আমাদের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বর্তমানে এই স্মার্টফোনের আসক্তি বাচ্চাদের আর শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি। বাচ্চাদের মা বাবাতো তাদের শান্ত রাখার জন্য সবসময় মোবাইল ফোন দিয়ে রাখে। আর শিক্ষার্থীদের খেয়ে ফেলেছে সোশাল মিডিয়ার। এমনো অনেক শিক্ষার্থী আছে যায়া অনলাইনে পড়াশোনার নাম করে সারাদিন স্মার্টফোন অশ্লীল ভিডিও বা গেইম খেলে নিজের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করছে।
তাদের মা বাবা এই সব বিষয় সম্পর্কে জানেনা। লন্ডনের কিংস কলেজের ১০৪৩ জন শিক্ষার্থীর ওপর জরিপ করে ৪০৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে স্মার্টফোনে আসক্তি দেখা গেছে। এদের দুই-তৃতীয়াংশ ঘুমজনিত সমস্যায় ভুগছে।
যারা মধ্যে রাতে অথবা দিনে চার ঘন্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের মধ্যে এ আসক্তি দেখা গেছে। তারা এটাও দেখেছেন আসক্তদের যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে না দেওয়া হয় তাহলে তারা অবসাদে ভোগেন অথবা অন্যকে উপেক্ষা করেন। আর এই স্মার্টফোন ব্যবহার করার কারণে জীবনের অনেক উপভোগ্য ঘটনা থেকে বঞ্চিত হন।
স্মাটফোন আসক্ত বেশির ভাগ এশিয়ান বংশোদ্ভূত। এ সংখ্যা অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৪৬ ভাগ, কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা ৪২ এবং অন্যান্যরা ৩৮ ভাগ। ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকিয়াট্রি জার্নালে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গবেষণা সহকারী ডা. বেন কারটার বলেন→ স্মাটফোন ব্যবহারের ফলে তাদের ঘুমের সমস্যা হয়। যায় দুই ঘন্টাও স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের মধ্যেও এই লক্ষণ দেখা যায়।আর যায় পাঁচ ঘন্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তারা সম্পন্ন আসক্ত। যাদের বয়স একুশ বছরের নিচে তারা এ যন্ত্রে বেশি আসক্ত।
ডা. বারনাকা ইউবিকা বলেন→ ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করে তাদেরও ঘুমের প্রভাব ফেলে। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এই অভ্যাস অনেক ক্ষতিকর। তরুণদের ঘুমের প্রতি মনযোগী হতে বলেছেন।
আসলে ঘুম ছাড়া একজন মানুষের ক্লান্তি দূর হয়না তাই সঠিকভাবে ঘুমানোর প্রয়োজন আছে। আর একজন মানুষের যদি রাতে ভালো ঘুম না হয় তাহলে তো আমরা জানি দিনের কাজকর্ম, পড়াশোনা করতে ভালো লাগেনা। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ার কারণে অনেকের মেজাজ আবার খিটখিটে হয়ে যায়।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন।