চাকুরি পাবার ৭ টি টিপস

আমরা সচরাচর বিভিন্ন জব সাইট গুলোতে সিভি আপলোড করি কিন্তু কোনরকম ইন্টারভিউ কল পাই না। যার কারণে আমরা হতাশ হয়ে থাকি। আজকের পোস্ট টা হলো কিভাবে ইন্টারভিউ এ কল পাবেন। পরবর্তীতে চাকুরিতে ইন্টারভিউ দেয়ার কলাকৌশল সম্পর্কে একটা পোস্ট করব। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে ১০ টি টিপস নিয়ে কথা বলি।

১। গ্রাজুয়েশনঃ সাধারণত বর্তমানে আপনি যদি কোন কর্পোরেট লেভেল এ জব করতে চান ক্লিনার অথবা পিয়ন পোস্ট ব্যতিত তাহলে অবশ্যই আপনাকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে হবে। কেননা বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষিতের মান এতটাই কমে গিয়েছে যে আপনাকে ভালো কোন কোম্পানিতে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতে হলেও গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট থাকতে হবে। সুতরাং যদি একটি মানসম্মত চাকুরি করতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আগে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করুন এরপর চাকুরির বাজারে নেমে পড়ুন।

২। সুন্দর বায়োডাটাঃ বর্তমানে গুগলে সার্চ করলেই হাজার হাজার বায়োডাটার ফরমেট চলে আসবে। তবে আপনাকে অবশ্যই একটি সুন্দর এবং মার্জিত বায়োডাটা ফরমেট গ্রহণ করতে হবে। কেননা শুধুমাত্র হাজার হাজার ওয়ার্ডের লেখা লিখলেই আপনার বায়োডাটা সিলেক্ট হবেনা। আপনাকে খুজে বের করতে হবে অল্প কথায় অনেক বেশি বোঝানোর মতো শব্দগুলো। যা আপনার বায়োডাটার পরিসর ছোট করবে এবং আপনার গুণগত মান প্রকাশ করবে।

৩। অতিরিক্ত সার্টিফিকেটঃ আপনি যে সেক্টরে বা ডিপার্টমেন্ট এ চাকুরি করতে চান যদি আপনার সম্ভব হয় সেই বিষয়ের উপর ৬ মাস বা ১ বছরের একটি শর্ট কোর্স করে নিন। এটি আপনার বায়োডাটার ওজন অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে আপনি যেই কোর্সগুলোই করুন না কেন অবশ্যই একটি কম্পিউটারের কোর্স করে ফেলুন। এতে শুধু সার্টিফিকেটই পাবেননা কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা চলে আসবে।

৪। কম্পিউটার এ দক্ষতাঃ বর্তমানে যে কোন সেক্টরেই চাকুরি করতে যাবেন কম্পিউটার জানা বাধ্যতামূলক। তাই অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। হয়ত ভাবছেন কোন কোন সফটওয়্যার এর প্রতি দক্ষতা লাগবে? তেমন কিছুনা। এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল আর ফটোশপ এর প্রাথমিক ধারণা থাকলেই চলবে।

৫। সংগতপূর্ণ বিভাগে আবেদনঃ আমরা অনেকেই আছি যারা সামনে যেই পোস্ট ই পাই আবেদন করে ফেলি। কারণ অনলাইনে আবেদন হওয়াতে আর টাকা তো দিতে হয়না? দিলেই বা ক্ষতি কি? যদি ডাক পাওয়া যায়? এই আশা নিয়ে যারা বসে থাকবেন বলব সারাজিবন পার করে দিলেও একটা কল ও পাবেন না ভাই। কারণ আপনার মতো হাজার হাজার সিভি এমনভাবে পড়ে তাই সেই ফালতু আবেদন করে তার আশায় বসে না থেকে নিজের ডিপার্টমেন্ট খুজুন। আর সেখানেই আবেদন করুন।

৬। এক্সপেরিয়েন্সঃ এক্সপেরিয়েন্স এর কথা যদি বলি তাহলে এই গুণটাকে কিসের সাথে তুলনা করা যায় তা আমার সঠিক জানা নেই। তবে গ্রাজুয়েশন কে যদি চাকুরির বাজারে ওঠার সিড়ি হিসাবে বিবেচনা করি তাহলে এক্সপেরিয়েন্স কে চাকুরি পাওয়ার যোগ্যতা বলতে পারি। কেননা বর্তমান বাজারে বিডিজবস এ যখন কোন প্রতিষ্ঠানে সিভি শর্টলিস্ট করে তখন তারা নজর দেন তার পড়ালেখা কিসে, তার চাকুরি ব্যাকগ্রাউন্ড কোন বিভাগে এবং তার এক্সপেরিয়েন্স কত? সেটা ৬ মাসের হউক।

৭। রেফারেন্সঃ এই অপশনটা হলো যাদের এক্সপেরিয়েন্স নেই। তবে হ্যা রেফারেন্স আবার ২টা অপশনে ভাগ করলাম। একটি হলো সিভি তে রেফান্সে লেখা। আর অপরটি হলো কোন বড় পোস্ট এ জব বা কারো মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি চাকুরিতে পাওয়ার আশা রাখেন। আপনি আপনার পরিচিত রেফান্সে খোজার চেষ্টা করুন। যার মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত ডিপার্টমেন্ট এর দরজায় পৌছাতে পারবেন এবং কোনভাবে ম্যানেজ করে অনেক ছোট পোস্ট থেকে শুরু করে হলেও চাকুরিতে জয়েন্ট করুন। ইনশাল্লাহ একদিন সেই ছোট পোস্টের চাকুরিই আপনার জীবনের সফলতা হয়ে যেতে পারে।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন