Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

চিপসেট এর সাথে ন্যানোমিটার এর সম্পর্ক

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে খুবই ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে একটি সাধারণ কিন্তু দরকারি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আর সেটি হল এন্ড্রয়েড ফোনের চিপসেটের ন্যানোমিটার।

ন্যানোমিটার কি?

ন্যানোমিটার কে nm দ্বারা প্রকাশ করা হয়। আমরা যখন কোন ফোনের রিভিউ দেখি সাধারণত সেই ফোনে যে চিপসেট থাকে তা কত ন্যানোমিটার সেটা তার পাশেই লেখা থাকে। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার কোনো তোয়াক্কা করি না। আমরা ফোন কিনতে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেই ব্র্যান্ড, র়্যাম, রোম, ক্যামেরা , ব্যাটারি ইত্যাদি। কিন্তু আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটা কিনা একটি ফোনের মস্তিষ্ক, চিপসেটের কথাই ভুলে যাই।

কমন কিছু চিপসেটস:

বর্তমানে মার্কেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিপসেট গুলো হল মিডিয়াটেক, স্ন্যাপ ড্রাগন, ইউনিসক ইত্যাদি। এদের মধ্যেও দাম অনুযায়ী কোয়ালিটি পরিবর্তন হয়। যত বেশি ফোনের দাম বাড়ে মনের চিপসেটের কোয়ালিটিও ততই বাড়তে থাকে। তবে mid-range ফোনের ক্ষেত্রে কিছু গরমিল হয়। এই রেঞ্জের যে সকল ফোন বাজারে বের হয় তাদের চিপসেট অনেক সময় ভালো আবার অনেক সময় খারাপ হয়। যেহেতু বাংলাদেশে এই রেঞ্জের ফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তাই আমাদের চিপসেট সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা রাখা খুবই জরুরি।

চিপসেটের আকার:

চিপসেট ফোনের সকল প্রকার কাজ সম্পাদন করে থাকে। আর এই চিপসেট গঠনের একক হল ন্যানোমিটার। ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে এই ন্যানোমিটার চিপসেট তৈরি করা হয়। এর দ্বারা চিপসেটের ঢাকার বা সাইজ বোঝানো হয়। বাজারে বিভিন্ন সাইজের ন্যানোমিটার চিপসেট রয়েছে। তারমধ্যে 28nm, 14nm, 12nm, 11nm ইত্যাদি সাইজের চিপসেট রয়েছে।

যে আকারের চিপসেট চয়েজ করব

চিপসেট হলো এক প্রকারের সার্কিট। চিপসেট এর আকার যত ছোট হয় ততো চিপসেট এর মান ভালো হয়। চিপসেটের আকার যত ছোট হয় চিপসেট সার্কিট সংখ্যা তত বৃদ্ধি পায়। সার্কিট সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বেশি পরিমাণ ডাটা ক্যারি করা সম্ভব হয়। আবার কম জায়গার মধ্যে একাধিক সার্কিট থাকতে পারে বলে ডাটা ট্রান্সফার করতে সুবিধা হয়। যার কারণে প্রসেসরের প্রসেসিং স্পিড বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সার্কিট ছোট হওয়ায় কম পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করে অধিক পরিমান কাজ করা সম্ভব হয়। যার ফলে ব্যাটারির লাইভ ডিউরেশন বাড়ে এবং কনজিউমিং কমে এবং এমনকি ফোনের কাজ করার ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয় সেই তাপের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হয়। অন্যদিকে চিপসেটের আকার যতই বড় হতে থাকে তত প্রসেসিং স্পিড কমতে থাকে, ব্যাটারি ড্রেনিং বাড়তে থাকে এবং ফোনের হিটিং ইসু ও বাড়তে থাকে। যার ফলে ফোন কেনার সময় আমাদের অবশ্যই চিপসেটের আকৃতি মাথায় রাখা উচিত। বর্তমানে বাজারে ১০-১৫ হাজার টাকার মধ্যে যে সকল ফোন বের হচ্ছে তাদের র়্যাম,রোম তুলনামূলক ভালো হলেও চিপসেট দেওয়া হচ্ছে 28nm,14nm সাইজের যেখানে এই রেঞ্জ এর মধ্যে দেওয়া উচিত 11nm সাইজের। তাই ফোন কিনতে গেলে আমাদের রেম রম এর সাথে চিপসেটের আকৃতির বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।

এই ছিল চিপসেটের আকৃতি সম্পর্কে কিছু ব্যাসিক টিপস। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। কোন ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Related Posts

19 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No