জাহেলিয়া যুগের সামাজিক অবস্থা

আসসালামু আলাইকুম ফ্রেন্ড। আমি আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমরা আজকে জানবো আইয়ামে জাহেলিয়া যুগের সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে। কেমন ছিল তখনকার যুগে সামাজিক অবস্থান জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেলটি।

জাহেলিয়া যুগের সামাজিক অবস্থা

আইয়ামে জাহেলিয়া দুটাই আরবি শব্দ। আইয়ামে শব্দের অর্থ যুগ, সময় বা কাল। আর জাহেলিয়া শব্দের অর্থ অজ্ঞতা, অন্ধকার , অজ্ঞানতা। আর এই দুইটা শব্দকে এক জায়গায় করলে আমরা যেই অর্থটি পায় সেটা হল। অজ্ঞতার যুগ অন্ধকারের যুগ।

সামাজিক অবস্থা :- আইয়ামে জাহেলিয়া যুগের সামাজিক অবস্থান ছিল অত্যন্ত নোংরা এবং কুরুচিপূর্ণ অন্যায় অত্যাচার এ ভরা ছিল। সামাজিক অবস্থানের মধ্যে পাক ইসলামিক আইয়ামে জাহেলিয়া যুগের প্রথমেই দেখব নারীর অবস্থান। সে সময় নারীদেরকে কোন সম্মানই দেয়া হতো না। নারীকে তারা মনে করত তাদের ভোগ্য পণ্য। সেই সময় একদম পুরুষ ইচ্ছে করলে একাধিক স্ত্রী রাখতে পারতো। আবার কোন কোন মহিলাও সেই সময় একাধিক স্বামী রাখতে পারতো। নারীদের কোন মূল্য ছিল না এবং তাদের মতামতের কোন দাম দেওয়া হতো না। নারীকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়া হতো।

আবার কোন কোন পরিবারে দেখা যেত কন্যা সন্তান জন্মালে তাদেরকে জীবিত অবস্থায় কবর দেয়া হতো। আরো দেখা গেছে নারীর সাথে অশ্লীল আশা আচরণ। সৎ মাকে বিয়ে করা, নিজের বোনকে বিয়ে করা, একাধিক বিয়ে করা ইত্যাদি।
সে সময় দাস-দাসীকে বাজারে পণ্যের মতন কেনাবেচা করা হতো। মালিক তাকে বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসে তার ইচ্ছামতন কাজে নিয়োগ দিতেন। এবং দাসীদের কোন অধিকার ছিল না। এবং দাসীরা দাস এর সাথে কোনদিনও বিবাহ করতে পারবে না। দাস দাসীদেরকে খাবারদাবারে দেওয়ার বিনিময়ে কাজে নিয়োগ দেয়া হতো। তাদের কোন বেতন দেয়া হতো না। বেতন দেয়া হতো না যেহেতু তাদেরকে কিনে নিয়ে আসা হয়েছে।

সামাজিক বিষয়ের মধ্যে আমরা আরও একটি বিষয় দেখতে পাই। মদ, জুয়া, সুধ এগুলো খুবই প্রচলিত বিষয় ছিল। সে সময় আরবের বেশিরভাগ মানুষেরা মদ খেয়ে মাতাল থাকতেন। এবং জুয়া খেলায় মেতে থাকতেন। সে সময় বলা হত, যে ব্যক্তি মদ খাবে না এবং জুয়া খেলবে না সে খুবই কৃপণ। আমাদের সমাজের যে ব্যক্তি মদ খায় জুয়া খেলে তাদের আমরা ঘৃণার চোখে দেখি। কিন্তু সে সময় আরবে সমাজে এটা উল্টো ছিল। যে ব্যক্তি মদ খেত জুয়া খেলতো তাদেরকে খুবই সম্মান করা হতো। সে সময়ে এটা দেখা গেছে, তাদের কাছে টাকা না থাকলে তাদের স্ত্রী এবং কন্যাকে বাজি ধরে জুয়া খেলত।

সেই সময় পাক ইসলামিক যুগে কোন নিয়ম-শৃঙ্খলা ছিল না। সব সময় অনৈতিক কাজ হতো।

পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ। (সমস্ত তথ্য অনলাইন থেকে নেওয়া)

Related Posts

1 Comment

মন্তব্য করুন