জেনে নিন জেনেভা কনভেনশন সম্পর্কে।

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব জেনেভা কনভেনশন নিয়ে । বিভিন্ন কনভেনশন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন সমূহ বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষায় এসে থাকে যেমন বিসিএস, বিজেএস ।
এই পর্যন্ত সর্বমোট 4টি জেনেভা কনভেনশন হয়েছে ।
সর্বপ্রথম জেনেভা কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় 1864 সালে যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে আহত ও অসুস্থ শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করা । কারণ সে সময় আহত ও অসুস্থ সৈনিকদের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হতো এরই প্রেক্ষিতে প্রথম জেনেভা কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় ।

দ্বিতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় 1906 সালে এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সমুদ্র যুদ্ধে আহত ও অসুস্থ শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কারণ প্রথম জেনেভা কনভেনশনের সমুদ্রের যুদ্ধে আহত অসুস্থ সৈনিকদের ব্যাপারে কোনো কিছু উল্লেখ করা ছিল না । তাই সমুদ্র যুদ্ধের যারা আহত ও অসুস্থ হত তাদের মৌলিক অধিকার খন্ডিত হতে থাকলো কিন্তু তাদের স্বার্থ রক্ষায় যখন 1906 সালে জেনেভা কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় এতে তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য যে নীতি মালা প্রণয়ন করা হয়।

আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রথম দুই কনভেনশনে যুদ্ধক্ষেত্র ও সমুদ্র যুদ্ধ নিয়ে বলা থাকলেও অন্যান্য পরিস্থিতিতে থাকা সৈনিকদের সম্বন্ধে কিছু বলা হয়নি। অন্যান্য পরিস্থিতি বলতে যারা যুদ্ধক্ষেত্রে যে শত্রুপক্ষের দ্বারা বন্ধি হয়েছে বা যুদ্ধকালীন সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রের আশেপাশে যেসব সাধারণ জনগণ আছে তাদের ওপর কি রকম ব্যবহার করা বা এসব বিষয়ে কি ধরনের নীতিমালা নেওয়া উচিত সে সম্পর্ক কে বুঝাচ্ছে । তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন তাদের সাথে কোন ধরনের আচরণ করতে পারে শত্রুপক্ষ । এরই প্রেক্ষিতে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন গঠিত হয় যেখানে আটকের পর যুদ্ধবন্দীদের সাথে কি ধরনের আচরণ করা হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন 1929 সালে।
এরপর সর্বশেষ চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় 1949 সালের 12 ই আগস্ট যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কনভেনশন ছিল যার মূল উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধবন্দী ,যুদ্ধাহত , যুদ্ধাপরাধীদের সাথে কি ধরনের আচরণ হবে এবং যুদ্ধকালীন সময়ে সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তার নির্ধারণ করা হয়েছিল এই জেনেভা কনভেনশন দাঁড়া।
চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন কে আম্ব্রেলা কনসেপ্ট বলা হয় কারণ এই কনভেনশন দ্বারা আগের তিনটি কনভেনশন কে একত্রিত করে পরিমার্জিত ও সংশোধন করে সর্বসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা এবং বেসামরিক লোকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল এছাড়া যুদ্ধবন্দী যুদ্ধাহত ও আহত সৈনিকদের ওপর নির্মম নির্যাতন বন্ধ করেছে । প্রায় সব দেশেই এ কনভেনশন এর মূলনীতি গুলোৱ ওপৱ সম্মতি দিয়েছে এবং নিজ দেশের মূল আইনে সংযোজন করেছে ।
যদি আমার এই লেখাটির উপর কোন ভুল খুঁজে পান অবশ্যই তা কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন , যাতে সকলে সঠিক তথ্যটি জানতে পারে । ধন্যবাদ।

Related Posts

13 Comments

মন্তব্য করুন