ট্রিট নিয়ে স্ট্যাটাস

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি সবসময়। ট্রিট নিয়ে স্ট্যাটাস –

সময় পাল্টেছে সেই সাথে মানুষের আনন্দ প্রকাশের ধারায় পাল্টেছে। একসময় মানুষ যেখানে  তার আনন্দ সবার আগে তার পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করতো এখন মানুষ তার সেই খুশির উপলক্ষ ভাগাভাগি করে তার বন্ধুবান্ধবের সাথে। উপলক্ষ কিন্তু একই থাকলেও উৎযাপন করার মাত্রা আলাদা হয়ে গেছে। একসময় প্রিয়জন কিংবা পরিবারের মানুষের সাথে খুশির উপলক্ষ মিষ্টিমুখের মাধ্যমে আনন্দ ভাগাভাগি করলেও এখন মানুষ তার খুশি কিংবা আনন্দ ভাগাভাগি করে থাকে ট্রিট নামক এক তথাকথিত প্রথার মাধ্যমে।

আজকাল খুশির উপলক্ষ হউক ,জন্মদিন হউক,কোনো অর্জন হউক ,কোথাও বাজি ধরা হউক তাদের সবকিছুর উৎযাপন হয় ট্রিট  নামক তথাকথিত প্রথার মাধ্যমে। খুশির খবর প্রদানকারী তার বন্ধু বান্ধবদের কোনো খাবারের দোকানে,কোনো ক্যান্টিনে কিংবা মুখরোচক খাবারের দোকানে তার বন্ধুবান্ধকদের নিজ তাকে খাইয়ে থাকে। আর এই খাবার খাওয়ানোর প্রথাকে আজকাল তরুণ প্রজন্ম ট্রিট নামক বাক্যে সম্মোধন করেছে।

খুশির খবর মানুষ তার প্রিয় ব্যক্তিদের সাথে ভাগাভাগি করবে এইটাই স্বাভাবিক। কিন্ত ট্রিট নামক তথাকথিত প্রথাটির জন্য একপক্ষ একদিকে খুব লাভবান হচ্ছে অন্যদিকে আরেক পক্ষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। যে ট্রিট দিচ্ছে তার উপর দিয়ে এতজন মানুষকে এক নিজ টাকায় খরচ করে খাওয়াতে বিরাট হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু ভদ্রতা এবং সম্মানের খাতিরে কিছু বলা যায় না বিধায় চুপ করে তা মেনে নিতে হয়।

এই ধারাটি বন্ধুবাধব থেকে শুরু করে এখন সবার মধ্যেই চলমান রয়েছে।এইটি একধরনের একতরফা ব্যাপার হয়ে উঠছে।তাই সামাঞ্জস্যতা বজায় রাখতে অচিরেই এই প্রথা নির্মুল করা সকলের দায়িত্ব।

ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবে আপনাদের সামনে। ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন