নিজের স্বপ্নগুলোকে সন্তানের উপর চাপিয়ে দিবেন না।কারন সন্তানেরও কিছু স্বপ্ন থাকতে পারে।

★আমাদের প্রত্যেকের মনেই কিছু ছোট ছোট আশা,স্বপ্ন লুকিয়ে থাকে।কিন্তু আমরা যখন সেই স্বপ্ন গুলো পূরন করতে না পারি,সেগুলো আমরা আমাদের সন্তানের উপর চাপিয়ে দেই।নিজের স্বপ্ন গুলোকে ওদের স্বপ্নে রূপান্তরিত করতে চাই।কিন্তু একটা বার ও ভাবি না,ওদের ও তো চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে,ওদের ও তো স্বপ্ন থাকতে পারে।

বর্তমান সমাজের বেশির ভাগ বাবা মা ই তাদের সন্তানকে ক্লাসে ফাস্ট হওয়ার জন্য সারা দিন বই নিয়ে বসিয়ে রাখেন।যদি কোনো কারনে পরিক্ষায় ফাস্ট হতে না পারে,তাহলে তাকে শুনতে হয় হাজারো রকমের কথা।একটা বার ও কি ভেবে দেখেছেন,হোক না সে ছোট,সে ও তো একটা মানুষ,তার ও তো স্বপ্ন থাকতে পারে।নিজের ইচ্ছাটাকে কেনো তার উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।ওরা কতটুকু খেলার সুযোগ পায়।সেই ছোট বেলা থেকে পাথরের মতো ওজনের একটা ব্যাগ তার কাধে জুলিয়ে তাকে স্কুলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। একটা বার ও ভাবছেন না,তার ব্রেন এতটুকু সহ্য করতে পারবে তো?তার উপর এই অল্প বয়সেই তাকে প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

আজকাল খবরের কাগজ খুললে প্রায় সময়ই দেখা যায়,পরিক্ষায় ফেল করে অনেক বাচ্চারাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।আমরা একটা বার ও ভাবি না একটা বাচ্চা কতটা কষ্ট পেলে,আত্মহত্যার মতো কঠিন পথ বেছে নেয়।আপনার বাচ্চাকে নিয়ে আপনার স্বপ্ন থাকতেই পারে,আপনার সন্তানকে আপনি ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার,ওকিল বানাবেন।কিন্তু আপনাকে এটা ও ভাবতে হবে,আপনার এই স্বপ্ন পূরন করতে গিয়ে, আপনার সন্তানের জীবনের ক্ষতি হচ্ছে না তো।সে কি আপনার স্বপ্নটাকে এমনি মেনে নিয়েছে,নাকি আপনি জোর করে তার উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।

শুধু পরিক্ষায় পাশ করলেই মানুষ হওয়া যায় না।বর্তমানে অনেক পরিবারেই দেখা যায়,ছেলে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে ও তার বাবা মা কে সে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসছে।তাদের উপর মানুষিক নির্যাতন করছে।যদি পরিক্ষায় পাশ করেই মানুষের মতো মানুষ হওয়া যেতো,তাহলে এই উচ্চ শিক্ষিত সন্তান গুলো তাদের বাবা মাকে তারা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতো না।আমরা চাই আমাদের ছেলে মেয়ে যাতে পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে,সে যাতে ভালো ছাএ হতে পারে।একটা কথা মনে রাখবেন,ভালো ছাএের চেয়ে ভালো মানুষ হওয়াটা সবচেয়ে জরুরি।

তাই কখনোই আপনি আপনার নিজের চাওয়া পাওয়া গুলোকে সন্তানের উপর চাপিয়ে দিবেন না।আপনার এই একটু একটু চাপ নিতে নিতে একটা সময় সে তার সহ্যের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।বাধ্য হয়ে সে তার নিজের জীবন দিয়ে দেয়।তাই সন্তান কি চায়,তাদের কোনো স্বপ্ন আছে কি না সেইটা জেনে নিন।তাদের স্বপ্ন গুলোকে মূল্যায়ন করুন।

Related Posts