নীতি, প্রীতি ও ভীতির অসাধারণ সমন্বয় যা বাস্তবতাকে সমর্থন করে

নীতি শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। প্রীতি শব্দটির সাথে আমরা কেউ অপরিচিত নয় এমন মানষও খুজে পাওয়া যাবে না। অপরদিকে ভীতি শব্দটি তো আমাদের কাছে একবারে সাধারন একটা শব্দ। কিন্তু আমরা কি কখনও চিন্তা করেছি এই তিনটা শব্দের  বাস্তবিক সমন্বয়ে প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে  তথ্যবহুল অনেক কিছু ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে বর্তমান সমাজের কিছু মানুষের চরিত্র কে উন্মোচন করা যায়?

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা চিন্তা না করলেও আমি কিন্তু এই তিনটা শব্দের অসাধারণ সমন্বয়ের মাধ্যমে কিছু কিছু মানুষের প্রকৃত চরিত্র আপনাদের সামনে তুলে ধরতে সমর্থ হব বলে আশা রাখছি।

আশা করি আপনারা মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়বেন এবং অনুধাবন করে বোঝার চেষ্টা করবেন। যথাযথ নীতি-নৈতিকতার অনুসরণ একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে সুদৃঢ় করে এবং মানুষের সামনে তার ব্যক্তিগত পরিচিতির অনুসরণযোগ্য আদর্শ প্রকাশিত হয়ে থাকে। একজন মানুষ তার সঠিক বিচার বুদ্ধি দিয়ে যখন সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ বিবেচনা করে তখন তার নীতি কে আমরা অনুসরণযোগ্য আদর্শ হিসেবে গণনা করে থাকি। একজন মানুষ তার নীতিকে অবশ্যই  বিবেক দ্বারা পরিচালিত করবে। কোনভাবে যদি স্বীয় নীতি ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধ প্রীতি দ্বারা পরিচালিত হয় তখনই তার জীবনে নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় শুরু হয়।

আজকের সমাজে আমরা অহরহ এই ধরনের অনেক বাস্তব ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। ব্যক্তিগত কিছু স্বার্থ হাসিল করার জন্য নিজের স্বীয় দায়িত্ব তথা আমার নীতি-নৈতিকতাকে বিসর্জন দিতে আমরা ক্ষণিকের জন্য পিছুপা হয় না।অনেক সময় দেখা যায় কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ চাকরির ক্ষেত্রে নিজের প্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে উপযুক্ত যোগ্য প্রার্থীকে উক্ত পদে নিয়োগ না দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীকে উক্ত পদে দাখিল করা হয়।

এখান থেকে সে শুধু নিজের নীতির বিসর্জন দিলোনা সমগ্র মানবজাতির নীতি-নৈতিকতাকে তিলে তিলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উন্মোচন করে দিল। যাকে সে নিয়োগ দিল সে ও ভাববে আমার বস যেভাবে কাজ করে আমিও ঠিক সেইভাবে কাজ করব। আমার বস যে আদর্শে উক্ত পদে বহাল রয়েছে আমিও সেই আদর্শ নিজের মধ্যে লালন করে বহাল থাকবো।

আর এর একটাই কারণ মানুষ তার স্বীয় দায়িত্ব কে ভুলে যাচ্ছে তার মহান স্রষ্টার প্রতি তার ভীতি কমে যাচ্ছে। মানুষের প্রতি তাঁর ভীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমার উচিত ছিল নিজের বিবেক তারা স্বীয় কর্মকে পরিচালিত করা নিজের প্রীতি দ্বারা নয়। কোন মানুষের প্রতি ভীতি প্রদর্শন  দ্বারা  নয় আমার উচিত ছিল নিজের বিবেককে কাজে লাগিয়ে নিজের নীতি-নৈতিকতার পরিপূর্ণ ব্যবহার করে কোন যোগ্য ব্যক্তিকে উপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দিয়ে এই পৃথিবীটাকে সুন্দর রূপে গড়ে তোলা।

তাহলেই আমরা মানবজাতির কল‍্যাণ সাধন করতে পারবো।

তাই আসুন আমরা এই স্লোগানে বিশ্বাসী হয় – ভীতি ও প্রীতি নয়, নিতী নৈতিকতার সঠিক প্রয়গেই গড়বো মোদের পৃথিবী।।

(ইব্রাহিম খলিল)

Related Posts

16 Comments

মন্তব্য করুন