পঞ্চাশ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে মাসে দশ হাজার টাকা আয় !!

 ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে মাসে কিভাবে ১০ হাজার টাকা আয় করবো?

 অনেকেই মাঝে মধ্যে আমাকে এমন প্রশ্ন করে থাকেন। তাই তাদের উদ্দেশ্যেই আমার আজকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এই লিখাটি যদি কারও কিঞ্চিৎ পরিমাণ উপকারে আসে তবেই আমার লিখা সার্থক হবে বলে আমি মনে করি।

বন্ধুরা! আশা করি সকলেই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। বুঝতেই পারছেন আজকে আমি কি বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি!! তাই ভণিতা না করে সরাসরি চলে যাই মূল আলোচ্য বিষয়ে –

মাত্র ৫০ হাজার টাকা! আজকালকার দিনে ৫০ হাজার টাকাকে মাত্র বলাটা অযৌক্তিক হবে না বলেই আমার মনে হয়। কারন এখন বিনিয়োগ হয় হাজারে নয়, লাখে লাখে। কখনো এটা আবার কোটি কোটিতে রূপ নেয়! তবে আমি এখন যা বলবো সেটা আপনাদের জন্য সম্পূর্ণই বিপরীত একটি বার্তা।

৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করা আমার মতে তেমন কোন কঠিন কাজ না। টাকাটা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গা মতো বিনিয়োগ করতে পারলে প্রতি মাসে ১০ হাজার নয়, তারও বেশি টাকা আয় করা সম্ভব।

তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে, এই ৫০ হাজার টাকা কখনোই অন্যের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া যাবে না। জানেন তো, “টাকা যখন যার হাতে যায়, তখন তার কথাই কয়!” আর তাই টাকাটা নিজে বিনিয়োগ করুন, নিজের কর্মসংস্থান তৈরিতে খরচ করুন৷

আবার অন্য দিকে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ঘরে বসে বসে কিন্তু প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব নয়। এজন্য আপনাকে উপযুক্ত শ্রম দিতে হবে। যেহেতু আপনার পুঁজি মাত্র ৫০ হাজার টাকা, আপনাকে অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজে নিজেই সব কিছু করার চেষ্টা করতে হবে।

এক্ষত্রে আপনি যা করতে পারেন (আজ আমি একটি ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবো। পরে সম্ভব হলে আলাদা ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করা যাবে – ইন শা আল্লাহ্‌) –

  • আপনি বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা থেকে পোশাক ক্রয় করে মফস্বলের দোকানগুলোতে সরবরাহ করতে পারেন।

প্রথম প্রথম দুয়েকবার আপনাকে গার্মেন্টস ও দোকানে আসা যাওয়া করতে হবে। তবে, কয়েকবার লেনদেন করার পর আপনি কুরিয়ারেই পণ্য গ্রহণ ও সরবরাহ করতে পারবেন নিশ্চিন্তে।

এই কাজটা শুরুর দিকে আপনার কাছে একটু কঠিন মনে হতে পারে। কারখানায় দৌড়া দৌড়ি, দোকানে দোকানে সেম্পল নিয়ে ঘুরা ঘুরি করতে হতে পারে৷ কিন্তু এভাবে ৫ – ৭ টা দোকানের সাথে ব্যবসা শুরু করতে পারলে আপনি প্রতি মাসে ১০ হাজারে চেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর বিভিন্ন সিজনে যেমন, ঈদ – উল – ফিতর, ঈদ – উল – আযহা, দুর্গা পূজা ইত্যাদি অকেশনে আপনার আয় বৃদ্ধি পাবে কয়েক গুণ!

পরামর্শটা ভাল লাগলে মন্তব্যের ঘরে একটা খোঁচা দিয়ে যাবেন। সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ্‌ হাফিজ।

Related Posts