“পারিবারিক শিক্ষার” গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

আসসালামু আলাইকুম। সুপ্রিয় পাঠক- পাঠিকা ভাইবোনেরা, আজ আমি আপনাদের সামনে পরিবার থেকে অর্জিত শিক্ষা বা পারিবারিক শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্যগুলো তুলে ধরার জন‍্য লক্ষ্য স্থির করেছি। আশা করি সবাই মনোযোগ সহকারে এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন এবং অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন। মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজে মানুষ হিসেবে  বেঁচে থাকতে হলে মানুষকে কিছু নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে জীবন যাপন করতে হয়। একজন মানুষের প্রকৃত পরিচয় ফুটে উঠে তার সুন্দর আচরণে বা ব‍্যবহারে, সুন্দর চেহারায় নয়।

মানুষের চারিত্রিক সৌন্দর্যতাই অপর মানুষকে আকর্ষণীয় বা মুগ্ধ করে।সকল মানুষেই চাই অপরের কাছে প্রিয় ব‍্যক্ত্বিত্বে পরিণত হতে। আর তার এই প্রত‍্যাশা পূরণের জন‍্য প্রয়োজন সকল মানুষের সাথে সুন্দর ও বিনয়ী ব‍্যবহার করা। বিনয়ী ব‍্যবহার চাইলেই একজন মানুষ করতে পারে না এজন‍্য জীবনের আদি সময় থেকেই তার যথাযথ অনুশীলন করতে হয় বা করাতে হয়। আর সেই শিক্ষার হাতেখড়ি শুরু হয় পরিবার থেকেই।

পরিবার থেকে অর্জিত শিক্ষা একজন মানুষ কে পরিপূর্ণ বিকশিত হতে সহায়তা করে। একজন শিশু যখন পৃথিবীতে জন্মলাভ করে তখন তার বা-বাবাই তার সবচেয়ে উত্তম ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল। ঐ শিশু যখন ধীরে ধীরে বড় হয় তখন পরিবারের সদস্য দের কাছ থেকেই সে শিক্ষা লাভ করে থাকে।

পরিবার থেকে অর্জিত শিক্ষায় একজন শিশুকে পরিপূর্ণ বিকশিত করে এবং সেই শিক্ষা কে সে অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে নিজের ভিতর লালন করে থাকে। এবং সেই শিক্ষায় সে অন্যদের উপর প্রয়োগ করতে থাকে। পরিবার থেকে অর্জিত শিক্ষা একটা শিশুর জন‍্য হতে পারে আদর্শ মানুষ গঠনের উপাদান অথবা হতে পারে অনাদর্শ লালনের চারণক্ষেত্র। পরিবার থেকেই একজন আদর্শ পিতা-মাতা তার সন্তানকে আদব-কায়দা শিক্ষা দিতে। তারাই হতে পারে তার সন্তানের আদর্শ এবং নৈতিকতা  গঠনের কারিগর। এজন্য  সঙ্গত কারণেই নেপোলিয়ান বোনাপার্ট বলেছিলেন “আমাকে একটি শিক্ষিত ‘মা’ দাও, আমি তোমাকে একটি ‘শিক্ষিত জাতি’ উপহার দেব দেব”।

মানুষ পৃথিবীতে চিরজীবন বেঁচে থাকে না কিন্তু তার ব্যবহার মানুষের হৃদয়ে চিরদিন থেকে যায়, তার আদব-কায়দা, তার শিষ্টাচার বা বিনয়ীতা  মানুষকে মুগ্ধ করে এবং আকর্ষিত করে। এজন‍্য সঠিক ও আদর্শ শিক্ষার লালনভূমি বা কেন্দ্রস্থল হওয়া উচিত পরিবার।

পরিবারের পিতামাতা এবং অন্যান্য সদস্যদের কে শিশুদের প্রতি লক্ষ্য রেখেই তার আচরণ বা কথাবার্তা সীমাবদ্ধ বন্ধনী আবদ্ধ রাখা উচিত। পিতা-মাতার দাম্পত্য জীবনে কোন কলহ-বিবাদ শিশুর অন্তরকে যেন ব‍্যথিত না করে সেদিকে পিতা-মাতাকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। আপনি সব সময় নিজের  আত্মসমালোচনা করবেন যে আমার দ্বারা আমার সন্তানের মানসিক বিকাশ  হচ্ছে না মানসিক বিকাশে অন্তরায় হচ্ছে। মনে রাখবেন আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।

শিশুকে আদর্শ মানুষ এবং নীতি-নৈতিকতায় পরিপূর্ণ বিকশিত একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হলে পরিবারের শিক্ষাকে অগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই পরিবারের শিক্ষাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের সন্তানদেরকে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।।

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা ভাই ও বোনেরা আজ এ পর্যন্ত আপনারা সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ।।

Related Posts

17 Comments

মন্তব্য করুন