প্রিপেইড মাস্টার কার্ড কিভাবে নিতে হয়

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠকগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলেই যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলেই যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই রইলো।

আজকাল অনেকেই তাদের সঞ্চয় জমা করে থাকে ব্যাংকের মাধ্যমে।ব্যাংকে একাউন্ট খুলে টাকা জমা দেওয়ার মাধ্যমে টাকা আদান প্রদাম করতে হয়। ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু মাস্টার কার্ড সম্পর্কে আমরা কয়জন ইবা জানি।তাই আজ আমি মাস্টার কার্ড এবং তার বিস্তারিত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করব।

এখন প্রশ্ন আসতেই পারে মাস্টার কার্ড বলতে কি বুঝায়।মাস্টার কার্ড হলো এমন একটি কার্ড যেই কার্ড বাকি ৩ টি জনপ্রিয় ক্রেডিট কার্ড এর মধ্যে অন্যতম। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাস্টার কার্ড খুবই পরিচিতি একটা নাম।সাধারণত গ্রাহক তাদের ব্যক্তিগত লেনদেনের কাজে কিংবা তার যেকোনো ধরণের ব্যবসায়িক কাজে মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে থাকেন।আজকাল প্রায় প্রতিটি সায়েত্তশাসিত ব্যাংকসমুহ মাস্টার কার্ড ইস্যু করে থাকে। তবে মাস্টার কার্ড এর ক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহ ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধাসমুহ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই মাস্টার কার্ড নির্বাচন করার সময় অবশ্যই ব্যাংকগুলো তাদের মাস্টার কার্ড এর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য কি কি সুবিধা প্রদান করে থাকে তা অবশ্যই দেখবেন।

ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রিপেইড মাস্টার কার্ড। এই কার্ড ব্যবহার করতে হলে আপনাকে আগে এই কার্ড এর মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ডিপোজিট করতে হবে। টাকা ডিপোজিট করা ছাড়া আপনি কখনোই এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না।বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান প্রিপেইড সীম কার্ডের মতো অনেকটা প্রিপেইড মাস্টার কার্ড। প্রায় সকল প্রকার লেনদেনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে সকলের সামনে হাজির হয়েছে প্রিপেইড মাস্টার কার্ড।

বাংলাদেশের কোন ব্যাংক থেকে আমি এই প্রিপেইড মাস্টারকার্ড নিতে পারবো?

উত্তর: বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক এই প্রিপেইড মাস্টারকার্ড দিয়ে থাকে।  সবথেকে সহজ উপায় নিতে পারবেন ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড থেকে (ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এর ওয়েবসাইট থেকে এই প্রিপেইড কার্ড সম্পর্কে জেনে আসুন)। এই ব্যাংক থেকে আপনি কোন একাউন্ট ছাড়াই নিতে পারবেন। কিন্তু ডলার ব্যবহার করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট করতে হবে।

চলুন তাহলে জেনে আসি প্রিপেইড মাস্টার কার্ড এর সুবিধাসমূহঃ

১.এই প্রিপেইড মাস্টার কার্ড এর ক্ষেত্রে ডুয়েল কারেন্সি সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
২.এই কার্ডের লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রিপেইড সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
৩.শুধুমাত্র দেশের ভিতরে নয় বাইরেরও এই কার্ড এর সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
৪.এই কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য ডলার লোড করতে কোন ধরণের ফি প্রদান করতে হবে না।
৫.ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে সকল প্রকার সুবিধা নিয়ে হাজির হয়েছে এই কার্ড।

এত্তসকল সুবিধাদি বিদ্যমান এই প্রিপেইড মাস্টার কার্ড যদি নিতে চান তাহলে আপনাকে কিছু কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবেঃ

১.ব্যাংককে ৫৭৫ টাকা প্রদান করতে হবে শুধুমাত্র ৩ বছরের জন্য।
২.কার্ড ব্যবহারকারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে।
৩.আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
৪.অবশ্যই আপনার পাসপোর্টটি সাথে করে নিয়ে যাবেন।

আপনি উপরোক্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি আপনার নিকটস্থ প্রিপেইড ব্যাংকে নিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিন।তারা আপনার সকল তথ্যাদি পূরণ করে কার্ড ইস্যু করবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন