প্রোগ্রামিং ভাষা পাইথনের আদ্যপান্ত

সারাবিশ্বে বর্তমানে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির জয় জয়কার ছড়িয়ে পড়ছে।মানুষ দিন দিন নিত্য নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হচ্ছে।প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে বহুদুর।এই সবকিছুর মুলে রয়েছে আমাদের ব্যবহৃত কম্পিউটার। আমরা আজ ঘরে বসে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারছি হ্যাকারদের কল্যাণে।মানুষ শুধুমাত্র কম্পিউটার ব্যবহার করে ঘরে বসেই নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারছে।

মানুষের যেমন নির্দিষ্ট কিছু ভাষা রয়েছে ঠিক কম্পিউটার এর ও নির্দিষ্ট কিছু ভাষা রয়েছে। কম্পিউটার এর সেই সকল ভাষাগুলোই প্রোগ্রামিং ভাষা নামে সুপরিচিত। সারাবিশ্বে প্রোগ্রামার এর চাহিদা রয়েছে। শুধুমাত্র প্রোগ্রামিং শিখেই কিভাবে নিজের ক্যারিয়ার বিল্ডআপ করতে পারবেন তার কিছু নমুনা আমি আমার পূর্বের পোস্টগুলোতে তুলে ধরেছি।আজ আমি আপনাদের সামনে তেমনি কম্পিউটার এর একটি ভাষা নিয়ে আলোচনা করব। সেই ভাষাটি হলো পাইথন। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাজে আসবে।

পাইথন এর পরিচিতিঃ

আজ আমরা আলোচনা করব পাইথন নিয়ে।সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা হচ্ছে পাইথন। গুইডো ভন রুসোম এই ভাষার জনক হিসেবে সুপরিচিত। পাইথনের আবির্ভাব হয় ১৯৯১ সালে।

ব্যবহারঃ

পাইথন এমন একটি জনপ্রিয় ভাষা যা সারাবিশ্বে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।সাধারণত পাইথন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (সার্ভার সাইড),সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, গণিতশাস্র এবং সিস্টেম স্ক্রিপটিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

পাইথনের কাজঃ
১.বিভিন্ন ধরণের ওয়েব এপ্লিকেশনে সার্ভার তৈরির কাজে পাইথন কাজে লেগে থাকে।
২.বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার এর সাথে ওয়ার্কফ্লো তৈরির কাজে পাইথন ব্যবহৃত হয়।
৩.পাইথিন ডাটাবেসজ সিস্টেম এর সাথে যুক্ত হতে সহায়তা করে। এটি ডাটাবেইজ ফাইল তৈরিতে, পড়তে এবং সেই সাথে মডিফাই করতে সহায়তা করে।
৪.কোনো বড় ধরণের ডাটা হ্যান্ডেল করতে এবং সেই সাথে জটিল গণিত সমস্যা সমাধান করতে পাইথন ব্যবহৃত হয়।
৪.সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজে পাইথন কাজে লেগে থাকে সবচেয়ে বেশি।

পাইথন বিভিন্ন ধরণের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে(উইন্ডোজ, ম্যাক,লিনাক্স ইত্যাদি)।ইংরেজি ভাষার সাথে পাইথনের সিনটেক্স এর কিছুটা সাদৃশ্য পাওয়া যায়।পাইথনের এমন কিছু সিনটেক্স রয়েছে যার মাধ্যমে সে ডেভেলপারদের অন্য যেকোনো ভাষার তুলনায় খুব সহজেই এবং অল্প সংখ্যক লাইনে প্রোগ্রাম রচনা করতে সাহায্য করে থাকে।পাইথন এমন একটি ইন্টারপ্রেটর সিস্টেম পরিচালনা করতে সহায়তা করে যার মাধ্যমে খুব সহজে লিখিত প্রোগ্রামকে সহজে এক্সিকিউট করতে সহায়তা করে।পাইথন একটি প্রোগ্রামকে তিনভাবে রচনা করতে পারে তা হল প্রসেডিউরাল, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড এবং ফাংশানাল।পাইথনের বর্তমানে ব্যবহৃত ভার্সন হচ্ছে পাইথন ৩।পাইথন ২ এতটাও আপডেটেড না হলেও এখনো অনেক জনপ্রিয় রয়েছে।

এখানে আমরা পাইথনকে লিখিত আকারে বর্ননা করেছি।পাইথনকে ইন্টিগ্রেটেড ইনভারনমেন্ট ডেপেলপমেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা যায়। পাইথন সিনটেক্সকে অন্য যেকোনো প্রোগ্রামিং ল্যাংঙুয়েজ এর সাথে তুলনা করা যায়। পাইথনকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেটি কিছুটা ইংরেজি ভাষার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। যা কিনা পাইথনকে বোধগম্য করে তুলে। পাইথনের মাঝে গণিতশাস্ত্রের কিছুটা প্রভাব বিদ্যমান রয়েছে।

Related Posts

20 Comments

মন্তব্য করুন