বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভালই আছেন।আজকে নিয়ে এলাম পড়া মনে রাখার দারুন কিছু টিপস।
পড়াশোনা আমরা সবাই কম বেশি করি।কিন্তু সবাই কি পড়া মনে রাখতে পারি?সবকিছু যে মনে থাকবে বিষয়টি তাও না।তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা মনে রাখা প্রয়োজন হয়।তো পড়া মনে রাখার কিছু টিপস আজকে শেয়ার করব।কিভাবে আমরা কম সময়ের মধ্যে পড়া মনে রাখতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে জোরে জোরে শব্দ করে পড়া।এতে এক দিকে যেমন মুখে পড়া হয় আরেকদিকে পড়ার শব্দ কানে যায়।এতে পড়া দ্রুত মস্তিষ্কে ধারণ করে।আর জোরে পড়ার আরেকটি সুবিধা হচ্ছে পড়ার শব্দের কারনে বাইরের শব্দ কানে কম আসে।এতে পড়ার দিকে বেশি মনযোগ দেয়া যায়।
পড়া মনে রাখার জন্য আরেকটি জরুরী ব্যাপার হচ্ছে শান্ত বা নিরব জায়গায় পড়া।কারন বাইরের অপ্রয়োজনীয় শব্দ কানে আসলে পড়ায় মনঃসংযোগ দেয়া কঠিন হয়।এই কারনে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।পড়ায় মনও বসে না।
কোনো কিছু মুখস্ত করার পরপরই দুই একবার লিখে ফেললে সেটা মনের মধ্যে ভাল ভাবে গেঁথে যায়।কথায় আছে একবার লেখা তিন বার পড়ার সমান।তাই না দেখে লেখার চেষ্টা করতে হবে।
পড়ার পূর্বে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করে নিলে আরো ভাল হয়।কিছুক্ষণ হাটাহাটি করা যেতে পারে।এতে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন হয়।এবং পড়া দ্রুত মুখস্ত হয়।এক গবেষণায় এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও পাওয়া গেছে।
পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুম।পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমালে মস্তিষ্ক পরিমিত বিশ্রাম পায় না।সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের দিনে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।পর্যাপ্ত ঘুম হলে মাথা সতেজ থাকে এতে মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এক্ষেত্রে পড়াশোনার সময়ও খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।অনেকে আছে যারা মনে করে সারাদিন পড়াশোনা করা লাগে।এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।পড়াশোনার কিছু বিশেষ সময় আছে।ভোরে মানুষের মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকে।তখন পড়লে পড়া দ্রুত মুখস্ত হয়।আবার বিকেলের পরে মানুষের মস্তিষ্ক ভাল কাজ করে।তাই সন্ধ্যা থেকে পড়াশোনা করা উত্তম।বিকালে পড়ার দিকে তেমন একটা মনও থাকে না।আর ঐসময় পড়াশোনার ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক খুব একটা সাপোর্টও দেয় না।
আমাদের একটি বদঅভ্যাস আছে।সেটা হচ্ছে একটা কিছু একবার পড়লে সেটা রেখে দেই।এই কাজ ভুলেও করা যাবে না।যেকোনো বিষয় একবার মুখস্ত করলে সেটা মাঝে মাঝে দেখতে হবে।আমরা যাকে রিভাইজ দেয়া বলি।নইলে পড়া বেশিদিন মাথায় থাকবে না।
সবচেয়ে ভাল হয় পঠিত বিষয় যদি অন্য কাউকে পড়ানো যায় বা বন্ধুর সাথেও আলোচনা করা যেতে পারে।পড়ানোর সুবিধা হচ্ছে পঠিত বিষয়টি বার বার রিপিট হওয়ার কারনে মস্তিষ্কে স্থায়ী ভাবে গেঁথে যায়।
এই বিষয় গুলো মাথায় রাখলে আশাকরি পড়া মনে থাকবে।আজকে এখানেই শেষ করছি।আবারো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে উপস্থিত হবো,ইনশাআল্লাহ।সবাই ভাল থাকবেন।
NC
good
Hmm good
Gd
good
Vlo
Nice
Wow
nice
Good
Well
good
nice tricks
Thank you for write this article…
❤️
❤️
Ok