আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকের বিষয়ঃ ফেস মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম, ফেস মাস্ক এর উপকারিতা, ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
কেন ফেস মাস্ক ব্যবহার করা উচিত?
ফেস মাস্ক আমাদের বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখে । আমরা জানি করোনাভাইরাস তিন ভাবে ছাড়াতে পারে। ১. স্পর্শের মাধ্যমে ২. হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এবং ৩. শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ।
কোন মানুষ যখন হাঁচি বা কাশি দেয় , তখন জীবাণু বাতাসের সর্বোচ্চ ০৬ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ছড়াতে পারে। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের জীবাণু মূলত ফুসফুসকে অ্যাটাক করে থাকে । যা হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশি থেকে জীবাণু বাতাসে ছড়াতে পারবে না। মাস্ক জীবাণুকে আটকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ফেস মাস্ক আমাদের বিভিন্ন ধুলাবালি থেকে রক্ষা করে থাকে ।
ফেস মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম
বেশিরভাগ ডাক্তার সার্জিক্যাল মাক্স ব্যবহার করার কথাই বলে। এই মাস্ক ওয়ানটাইম ব্যবহার করতে হয় ।
এই মাস্কগুলোতে অনেকগুলো লেয়ার থাকে। তবে বাজারে বেশিরভাগ এক লেয়ারের মাস্কও পাওয়া যায় যা আমাদের ব্যবহার করা উচিত না।
অনেক মানুষকেই দেখা যায় মাস্ক পড়ার সময় নাক খোলা রেখে শুধু মুখ ঢেকে রাখে । এভাবে মাস্ক পরা কিন্তু ঠিক নয়। বরঞ্চ উপরের মেটাল অংশটাকে নাকের সাথে আকড়ে রেখে নিচের অংশটাকে থুতনির নিচে নিয়ে উভয় ঢেকে রাখা উচিত।
মাস্ক থুতনি পর্যন্ত খুলে রেখে ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এতে করে মাস্কে লেগে থাকা জীবাণু সহজে দেহে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবার একই মাস্ক ঘরের ভেতরে রেখে বেশিদিন ব্যবহার করা ঠিক নয় । একটি মাস্ক সর্বোচ্চ ০২ দিনের বেশি ব্যবহার করা উচিত হবে না। যে মাস্ক ব্যবহার করবেন তা প্রত্যেকদিনই সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিবেন।
অবশ্যই মাস্ক পড়ার আগে দুই হাত সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন।
কেমন মাস্ক ব্যবহার করবেন
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সার্জিক্যাল মাস্কের তুলনায় ভালো ফিটিংয়ে এফএফপি-২ মাস্ক অনেক সুরক্ষা দেয়।
অনেক চিকিৎসকরা দুটি মাক্স ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। অনেক স্বাস্থ্যকর্মীদের এন-৯৫ মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সার্জিক্যাল মাস্ক ও কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারে কোন বাধা নেই। যে মাস্ক-ই ব্যবহার করবেন তা অবশ্যই সব সময় জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে হবে।
মাস্ক এর দাম :
(০১) ভেনাস ভি -৪১০-ভি কোমফোর্ট ফোল্ড ফ্লাট ফেইস মাস্ক।
মূল্য :১০০ টাকা।
(০২) থ্রি -এম ১৮৬০ এন-৯৫ হেলথকেয়ার পার্টিকুলেট রেসপিরেটর মাস্ক ।
মূল্য :১৫৫ টাকা।
(০৩) থ্রি-এম ৮২১০ প্লাস এন-৯৫ মাস্ক ।
মূল্য :৩০০ টাকা ।
এ ছাড়াও বাজারে স্বল্পমূল্যে জীবাণু প্রতিরোধ করতে অনেক মাস্ক পাওয়া যায় । অবশ্যই যে মাস্ক ব্যবহার করবেন সচেতনতার সাথে পরিধান করবেন ।
পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।