৪: বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা- আমরা একটি কম্পিউটার কিনতে গেলে শুধু একটি কম্পিউটারের কেসিং বা বাক্স কিনি না, এর সাথে প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রাংশও কিনি। তেমনি, যখন কোন ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করবে সে একটি পরিপূর্ণ প্যাকেজ চায়। এক্ষেত্রে একটি প্রোফাইল তৈরি করাই যথেষ্ট নয়, একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে কাজটি করার জন্য তার কি যোগ্যতা আছে। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে এবং যোগ্যতা প্রমাণ করতে একজন ফ্রিল্যান্সার দুটি কাজ করতে পারেন স্কিল টেস্ট: একজন ফ্রিল্যান্সারের স্কিল টেস্টের মাধ্যমে তিনি কি কাজ করতে পারেন সে সম্পর্কে জানা যায়। ইল্যান্সে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্কিল টেস্টের ব্যবস্থা আছে, যেখান থেকে স্কিল টেস্ট দিয়ে আপনার দক্ষতা যাচাই করা খুবই সহজ। এই টেস্টগুলো বিনামূল্যে দেওয়া যায় এবং কেউ যদি টেস্টে খারাপ করেন তাহলে টেস্টটি হাইড করতে পারবেন এবং পুনরায় টেস্টটি ১৪ দিন পরে আবার দিতে পারবেন এবং এটাও আবার ফ্রিতেই দিতে পারবেন। যদি ফ্রিল্যান্সার তার প্রোফাইলে ভালো স্কোর দেখাতে পারেন, তাহলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা অনেকাংশে বেড়ে যায়।পোর্টফলিও: স্কিল টেস্ট প্রমান করে বৈষয়িক জ্ঞান, আর পোর্টফলিও প্রমাণ করে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা এবং হাতে কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার এর উচিত যত বেশি পোর্টফলিও সংযোগ করা। ওয়েব ডেভেলপার তার ডেভেলপ করা সাইটের স্ক্রিনশট নিয়ে আপলোড করতে পারেন, এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার ডিজাইন তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করে দেখাতে পারেন। বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজগুলো সংযুক্ত করতে পারেন স্কিল হিসেবে। সার্ভিস হোল্ডাররা তাদের সার্টিফিকেট দিয়ে দিতে পারেন অভিজ্ঞতা হিসেবে। সর্বোপরি কোন প্রোফাইলের পোর্টফলিও একজন ফ্রিল্যান্সার যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে তার পরিপূর্ণ দক্ষতা আছে সেটা প্রমাণ করে। ৫: নিজের প্রচারণা চালানো- নিজের ঢোল নিজে পেটানো কথাটি খারাপ শোনালেও একজন ফ্রিল্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি তেমনটা নয়। আপনাকে যেহেতু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করতে হবে তাই আপনার পরিচিতি থাকা আবশ্যক। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের অবস্থান তৈরি করতে আপনার ত্রুটিমুক্ত প্রোফাইল এর পাশাপাশি নিজেকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরতে হবে। তাই সম্ভব হলে নিজের একটি পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করা ভালো। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটের প্রোফাইল ও পেজের মাধ্যমে আপনার এবং আপনার বিভিন্ন সেবা তুলে ধরতে পারেন। অবশ্যই প্রফেশনাল ছবি ও তথ্য শেয়ার করা উচিত। সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আপনার পার্সোনালিটি নষ্ট হয় এমন কোন কিছু করা উচিত নয়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করেন তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন। এতে তাদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এভাবেই আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং জীবন শুরু করতে পারেন। সর্বশেষে না বললেই নয়, গুগলকে নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বানিয়ে ফেলুন। যেকোনো সফল ফ্রিল্যান্সারকে জিজ্ঞেস করলেই দেখবেন, প্রত্যেকেই বলবে তারা অনেক কিছু গুগল সার্চ করে জেনেছে। বিষয়টি আসলেই সত্যি। আমরা অনেক সময়ই অনেক ধাপে আটকে যাই, তখনি গুগল সার্চ করুন, দেখবেন প্রচুর রিসোর্স ইতিমধ্যে অনলাইনে আছে যা আপনাকে সাহায্য করবে। প্রোফাইল কমপ্লিট করতে পারছেন না? গুগলে গিয়ে সার্চ দিন, “How to complete Elance profile”। প্রপোজাল লেটার লিখতে সাহায্য দরকার? গুগলে সার্চ দিন, “How to write a perfect Elance proposal”। ফটোশপে কাজ করতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন, গুগলে গিয়ে Photoshop Help অথবা Photoshop Tutorial Video লিখে সার্চ করুন, দেখবেন হাজার হাজার রিসোর্স আছে সাহায্যের জন্য। যেহেতু আমরা মুক্ত-পেশাজীবী হিসেবে নিজেকে গঠন করতে চাচ্ছি, নিজে থেকেই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করাটাও আমাদের আয়ত্ত করতে হবে। এভাবে যদি নিজের ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার শুরু করেন, তাহলে আশা করা যায় খুব কম সময়েই সফলতা পাবেন, এবং সেটি দীর্ঘস্থায়ী হবে।