Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপট

  1. ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এটি অতি আনন্দের দিন,অতি গর্বের দিন।১৯৭১সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল এদেশের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের। এর ফলশ্রুতিতেই দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে আমরা পেয়েছি স্বাধীন এর বাংলাদেশ। স্বাধীনতা লাভের আগে আমাদের বাংলাদেশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। এটি বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের একটি অংশ ছিল।পশ্চিম পাকিস্তানিরা কখনো আমাদের ন্যায্য অধিকার দিত না। আমাদের দেশ ও সমাজের উন্নতির জন্য তাদের তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না। আমাদের সম্পদ নিয়ে তারা নিজেদের উন্নতির কাজে লাগাতো। এই বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে শুরু হলো বিবাদ। আমাদের সাহসী জনগণ ও দেশবাসী তাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করল এবং শুরু করল আন্দোলন। ফলে ভীত হয়ে পড়ল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ গভীর রাতে তারা নিরস্ত্র বাঙালির ওপর মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল।১৯৭১সালের ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার। হানাদার বাহিনীর মোকাবিলার জন্য গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে লাল সূর্য খুশিতো সবুজ পতাকা উড়িয়ে দেওয়া হয়। সেদিন হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত তেমন কোনো অস্ত্র আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ছিল না। কিন্তু মনে ছিল নিজেদের অধিকার আদায়ের চেতনা ও নিজেদের স্বাধীন হিসেবে গণ্য করার দৃঢ় মনোভাব। এরকম মনোবল নিয়ে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার পরে এবং সেই মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময় অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। উদিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সূর্য। এভাবেই আমরা অর্জন করেছি আমাদের বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। আর এজন্যই ২৬শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No