বাইক এক্সিডেন্ট স্ট্যাটাস, বাইকারদের জন্য কিছু উপদেশমূলক কিছু কথা, উক্তি, ক্যাপশন

বাইক যেনো অনেকের জীবনের বড় একটি স্বপ্ন। এটা বললে আমি ভুল হবো না যে, প্রায় সব ছেলেদের ইচ্ছে থাকে একটি বাইক কেনার। বাইক এক্সিডেন্ট স্ট্যাটাস, বাইক এক্সিডেন্ট উক্তি, বাইক এক্সিডেন্ট ক্যাপশন – বর্তমান সময়ে বাইক চালানোর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই বেড়ে চলেছে বাইক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর দেওয়ার মানুষের সংখ্যা।

এক্ষেত্রে আপনি ট্রাভেল করতে যান কিংবা নিজের বাড়ি বা অফিসে যান বাইক চালানোর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সতর্কতার সহিত চালাতে হবে। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর তাই আজকের আর্টিকেলটা বিশেষ করে যারা একদম নতুন বাইকার আছেন তাদের জন্য উপদেশমূলক কিছু কথা নিয়ে থাকছে। অবশ্যই একটু মনযোগ সহকারে আর্টিকেলটা পড়বেন।

বাইক এক্সিডেন্ট স্ট্যাটাস, বাইকারদের জন্য কিছু উপদেশমূলক কিছু কথাঃ

১) প্রথম টিপসটি হচ্ছে যারা লং ড্রাইভে বা দূরে কোথাও বাইক নিয়ে যান তাদের জন্য। দূরে কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ করুন আপনার বাইকের কোথায় কি সমস্যা আছে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার পাশাপাশি কত জায়গায় কোন বাইক সার্ভিসিংয়ের দোকানে কি আপনার বাইক থেকে সম্পূর্ণ চেক করাতে পারে। এবং অবশ্যই আপনার বাইকের সকল ধরনের ছোট বড় সমস্যা গুলোকে সার্ভিসিং বা ঠিক করে নিন। এক্ষেত্রে একটি কথা বলে রাখা ভালো, অনেকে কি করে যেদিন ট্রাভেল করতে যায় কিংবা দূরে কোথাও বাইক নিয়ে যাবে তার ঠিক আগের দিন বাইক সার্ভিসিং এর জন্য যায়। এটা করাটা এক ধরনের ভুল। দূরে কোথাও যাওয়ার অন্তত দুই থেকে তিন দিন আগে আপনার বাইক সার্ভিসিং করুন। এক্ষেত্রে আপনার বাইক সার্ভিসিং করার পরেও কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটি আপনি খুঁজে বের করে ঠিক করতে পারবেন।

২) দূরে কোথাও বাইক নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি আপনার বাইকের সাথে একটি টুল বক্স এর মত বানিয়ে নিতে পারেন। সে বক্সের মধ্যে আপনি আপনার বাইকের যাবতীয় পার্টস যেগুলো আপনার প্রয়োজন হতে পারে সেসব পার্টস সামগ্রি রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে হঠাৎ যদি আপনার বাইকের কোন পার্টস এর সমস্যা হয় তাহলে আপনি সেটি তাৎক্ষণিক সমাধান করে ফেলতে পারবেন।

৩) যদি আপনি একদমই নতুন বাইক চালানো শিখে থাকেন বা ভাবছেন একটি বাইক কিনবেন সেক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, শুরুতে বেশি বড় বা স্পিড বাইক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। দীর্ঘদিন অনুশীলন এবং অভিজ্ঞতার পর বড় ভাই কিংবা দামী বলতে পারেন, সে ধরনের বাইক নেওয়াটা আপনার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

৪) আপনার দক্ষতার বাহিরে মোটরসাইকেল ক্রয় না করাটা ভালো হবে। আপনি যতটুকু দক্ষ সে অনুযায়ী মোটরসাইকেল কিনুন। শুরুর দিকে ১৫০ সিসি অথবা ২৫০ সিসি নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন।

৫) রাস্তায় চালানো লাগে বেশি বেশি অনুশীলন করুন। হে অনুশীলনটি আপনি কোন খোলা মাঠে করতে পারেন। খোলা মাঠে আপনি বিভিন্ন ধরনের টেকনিক শিখতে পারেন যেগুলো আপনাকে রাস্তায় দুর্ঘটনা হাত থেকে রক্ষা করবে।

৬) একটি মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করার ক্ষেত্রে কি কি জ্ঞান থাকা দরকার সেসব জ্ঞান আপনি অর্জন করি। অর্থাৎ মোটরসাইকেলের বিভিন্ন পার্টস বা ড্রাইভিং বিষয়ক ইত্যাদি সম্পর্কে আপনি প্রথমত বেশি বেশি রিসার্চ করুন এবং জানুন তারপর রাস্তায় চালানোর চিন্তা ভাবনা করুন।

৭) আপনি যখন মোটরসাইকেল ড্রাইভ করছেন তখন অবশ্যই লক্ষ্য রাখুন পিছনে বা আপনার সামনে থাকা গাড়ি গুলোর দিকে। অবশ্যই সকল দিকে লক্ষ রেখেই গাড়ি চালাবেন।

৮) অতিরিক্ত ওজনের গাড়ি নেওয়াটা শুরুর দিকে বোকামির কাজ হবে। নতুন চালানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজনের গাড়ি কেনার কোন দরকার নেই। প্রথম দিকে কম ওজনের গাড়ি দিয়ে অভিজ্ঞ হতে পারলে পরবর্তিতে বেশি ওজনের গাড়ি চালাতে কোনো সমস্যাই পড়বেন না।

সর্বশেষ পরামর্শ

যারা দূরে কোথাও বাইক নিয়ে ঘুরতে যান কিংবা নতুন বাইক চালান তাদের জন্য আজ এই কয়েকটি উপদেশমূলক টিপস ছিল। তবে আরো একটি বিষয় অবশ্যই লক্ষ রাখবেন, প্রতিদিনই বাইক নিয়ে বের হওয়ার সময় বাইক দেখে নেবেন কোনো ধরনের সমস্যা আছে কিনা।

পরিশেষে বলব নিজে নিয়ম মেনে গাড়ি চালান এবং অন্যকে সতর্ক করুন। কিছু টিপস মেনে চললে আপনি নিজে ভালো থাকার পাশাপাশি অন্যকে সতর্ক করতে পারবেন। শেষ করছি আজ, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

14 Comments

মন্তব্য করুন