বাংলাদেশের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অনেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য স্বপ্ন দেখেন। যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চায় তাদের দরকার হয় স্কলারশিপ। কিন্তু এই স্কলারশিপ পাওয়া মোটেও সহজ নয়, বাংলাদেশের হাজার হাজার মেধা ও শিশুদের শিক্ষার্থী যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য স্কলারশিপ হয় না। এর কারণ হচ্ছে এদেশের স্কুল সম্পর্কে ধারণা না থাকা, কিভাবে স্কলারশিপ পেতে হয়,কি কি যোগ্যতা লাগে তারা জানে না। তাই সেই স্বপ্নসারটি বন্ধুদের আজকে আমি বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করব।
আমাদের দেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এসএসসি বা উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর তারা বিদেশে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে থাকে। কিন্তু কিভাবে সঠিক স্কলারশিপ পেতে হয় সে বিষয়ে তাদের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী স্কলারশিপ পায় না তাই তারা হতাশ হয়ে পড়ে। বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের যে স্বপ্ন বুকের মধ্যে গেঁথে রয়েছে সেটি স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় আর বাস্তবে পরিণত হয় না।
যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ইচ্ছুক মূলত তাদের উদ্দেশ্যে আজকে এই পোস্ট। আপনাদের স্বপ্ন যাতে সত্যি হয়, যেন স্কলারশিপ পেয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন এই নিয়ে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেবো। এই প্রশ্নের মাধ্যমে স্কলারশিপ কি, কারা স্কলারশিপ দেয়, স্কলারশিপ কত প্রকার, কিভাবে স্কলারশিপ পেতে হয়, বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতাসহ আরো অনেক কিছু তুলে ধরব। তাই এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন।
স্কলারশিপ কি ?
স্কলারশিপ হল বিভিন্ন দেশের যারা পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট বৃত্তি, বলা যায় এটি এক ধরনের আর্থিক সহায়তা বা এটাকে শিক্ষাবৃত্তি বলা হয়। শিক্ষার্থীদের মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে এই স্কলারশিপ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। উন্নত বিশ্বে অনেক নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বল্প খরচে বা সম্পূর্ণ বিনা খরছে পড়াশোনার জন্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মূলত এটাই স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপ পেতে হলে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মেধাবী এবং একাডেমিক যোগ্যতা থাকতে হবে তা না হলে কোন শিক্ষার্থী এই স্লোসিবের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
Scholarship কত প্রকার?
অনেকেই জানতে চান, স্কলারশিপ কত প্রকার ? কোন স্কলারশিপ কিভাবে পাবো ইত্যাদি। মূলত এ স্কলারশিপ দুই ধরনের হয়ে থাকে।
১. Full Scholarship
২. Partical Scholarship
Full scholarship হচ্ছে এটি একটি পূর্ণ বৃত্তি। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে টিউশনি ফি বিনামূল্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রদান করে থাকে। শুধু তাই নয় ,Full Scholarship শিক্ষার্থীদের কখনো কখনো বই কেনার খরচ প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বহন করে থাকে এবং মাসিক বৃদ্ধি প্রদান করে থাকে।
Partical Scholarship হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীর আংশিক বা সাময়িক বৃত্তি। এই বৃত্তির মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান অর্ধেক খরচ বহন করে থাকে। অর্থাৎ এই স্কলারশিপ এ সম্পূর্ণ খরচ প্রতিষ্ঠান বহন করে না। Full Scholarship এর তুলনায় কম অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে। একজন শিক্ষার্থীর যাবতীয় খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অর্ধেক বহন করবে আর বাকি অর্ধেক আপনাকে বহন করতে হবে।
বাংলাদেশের অনেক মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কলারশিপ খুবই উপকারী।
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।
এই স্কলারশিপ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা নীতিমালা গ্রহণ করেন।
অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ খরচ বহন করে আবার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে তারা একেবারে এককালীন মোটা অঙ্গের কয়েকশত ডলার পুরস্কার দিয়ে থাকে।
তাই এই স্কলারশিপ ের আবেদন করার একটাই বিশেষ কারণ, সেটা হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য খরচ অনেকাংশে কমানো।
স্কলারশিপের ধরন
দেশের অনেক তরুণী নারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন নামিদামি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান থেকে নানা রকম মেধা ব্যক্তি বা স্কলারশিপ পেয়ে থাকে। তবে এই মেধাবৃত্তি পেতে হলে সেই প্রতিষ্ঠানের কিছু নিয়মকানুন এবং কিছু শর্ত মেনে চলতে হয়। তাই আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে চাচ্ছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে হবে। তারা কিভাবে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে, তাদের কি কি নীতিমালা এবং শর্ত রয়েছে, স্কলারশিপ পেতে কি যোগ্যতা লাগে সবকিছু জেনে বুঝে তাদের সত্য পূরণ করে তবেই এই বৃত্তির জন্য আপনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এসব শর্ত এবং নীতিমালার মধ্যে সবার আগে রয়েছে আপনার একাডেমিক অর্জন, দেশে বিভিন্ন মেধিবৃত্তির সনদ, আপনার বিশেষ প্রতিভা যেমন, আপনি গান পারেন, কবিতা লিখতে পারেন কিংবা ভালো ছবি আঁকতে পারেন এসব কিছুই তারা আপনাকে বিবেচনা করবে। তবে পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান তারা আপনার আর্থিক সমস্যার উপর ভিত্তি করে এই বৃত্তি দিয়ে থাকে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ এক শ্রেণী মানুষকে বৃত্তি প্রদান করে থাকে।
যেমন-অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র স্নাতক এবং মহিলাদের জন্য স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা করে করে থাকে।
এছাড়াও কিছু কিছু স্কলারশিপ প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা শুধু পিতা-মাতা এবং ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড এর উপর ভিত্তি করে সেই বৃত্তি প্রদান করে থাকে।
অর্থাৎ একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি ধরন আলাদা আলাদা।
স্কলারশিপ কখন দেয়
স্কলারশিপ আবেদন করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কখন স্কলারশিপ দেয়।
এবং সেই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে কি পাস করা লাগে এবং কি কি যোগ্যতা লাগে।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে তারা শুধুমাত্র এইচএসসি পাশ করে স্নাতক উত্তর করার জন্য স্কলারশিপ দিয়ে থাকে আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তারা গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর পিএইচডি অথবা মাস্টার্স করার জন্য উচ্চতর স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। তবে একটি কথা, আপনি যে স্তরের স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেন না কেন আপনাকে অবশ্যই তাদের শর্ত পূরণ এবং যোগ্যতা থাকা লাগবে।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য দিয়ে স্কলারশিপ ঘোষণা দিয়ে থাকে।
যেমন- জুন জুলাই মাসে তারা স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে বলছে আপনাকে উনি নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর আবেদন করতে হবে।
এজন্য আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হয়।
তাই স্কলারশিপ আবেদনের সময় মনে রাখা জরুরী, আপনি এখন কোন শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় আছেন, স্কলারশিপ পেলে সেখানে কোন সময়ে আবার ভর্তি হবেন এসব কিছু বিবেচনা করে আপনাকে স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করা উচিত।
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়া সহজ উপায় হচ্ছে এইচএসসি পাশের পর স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করা।
কেননা এইচএসসি পাশের পর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের উপযুক্ত সময়।
তাছাড়া স্নাতক অথবা অনার্স লেভেলে পড়াশোনার জন্য সব দেশে স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকে।
এসএসসি পাশের ফর স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য আপনাকে একাডেমিক ভালো ফলাফল থাকতে হবে।
ইতি স্কলারশিপ পাবার জন্য আপনার স্বপ্নকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সবগুলো স্কলারশিপ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনীয় সকল নীতিমালা এবং আবেদনের প্রক্রিয়া তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে। আপনি সেখান থেকে ধারণা নিতে পারবেন।
সবকিছু কাগজপত্র ঠিক থাকলে আপনি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বেশিরভাগ আবেদন অনলাইনে করতে হয়।
এর পাশাপাশি, আপনার যে কোন বিষয়ের উপরে দক্ষতা রয়েছে, তারপর নির্ভর করে একটি সুস্পষ্ট প্রতিবেদন সাবমিট করতে হবে।
সুতরাং স্কলারশিপ আবেদন করতে আবেদন পত্রটি আগে ভালোভাবে পড়ে নিন।
তারপরে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদনপত্রটি পূরণ করুন খেয়াল রাখবেন যাতে কোন ধরনের ভুল না হয়।
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
বিশ্বের সবগুলো নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলার্শিপ প্রদানের প্রতিষ্ঠান তারা সবার আগে যোগ্যতা যাচাই করে থাকে।
আমেরিকা, ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ উচ্চ শিক্ষা ভর্তির জন্য SAT স্কোর চাওয়া হয়।
চলুন তাহলে বিদেশে স্কলারশিপ পেতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হয় তা নিচে জেনে নিই।
SAT স্কোর : স্নাতক পর্যায়ে করার জন্য ইউরোপ আমেরিকার সহ বিভিন্ন উন্নত দেশগুলো স্কলারশিপ এর মাধ্যমে সেসব দেশে পড়াশোনা করতে হলে SAT স্কোরকে সর্বত্র গুরুত্ব দেয়া হয়।
SAT মানে হলো Scholastic Assessment Test।
তাই বিদেশে পড়াশোনা করতে গেলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এই SAT স্কোরকে বৃদ্ধি করতে মনোযোগ দিতে হবে।
সামাজিক কার্যক্রম : বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের পূর্বে একজন শিক্ষার্থীর সামাজিক দক্ষতা এবং নেতৃত্বের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। আপনি যদি আপনার সমাজে যে কোন উন্নয়নমূলক কাজ,স্বেচ্ছাসেবক,প্রতিযোগিতামূলক এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকে তাহলে আপনার স্কলারশিপ পেতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
সুপারিশ পত্র : উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা জন্য আবেদন করতে সুপারিশপত্র বা রিকমেন্ডেশন লেটার জমা দেয়া লাগে।
আপনার স্কুলের স্বনামধন্য শিক্ষক, সমাজে আলোচিত কোন ব্যক্তি, সরকারের উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তা আপনাকে চেনেন, তার একটি সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে। যিনি আপনাকে সুপারিশ করবেন, আপনার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য যোগ্যতা এবং সামাজিক দক্ষতা সবকিছু সুপারিশপত্রে উল্লেখ করতে হবে।
ভাষাগত দক্ষতা : সাধারণত পৃথিবীর যেকোনো উন্নত দেশে পড়াশোনা করতে গেলে ইংরেজির উপর বিশেষ দক্ষতা থাকতে হবে।
এই দক্ষতার পাশাপাশি আপনাকে ইংরেজিতে কথা বলা,শোনা এবং বোঝার সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।
সেক্ষেত্রে IELTS এবং TOEFL স্কোরে ভালো ফলাফল করতে হবে।
ভবিষ্যতের লক্ষ্য : কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে শিক্ষার্থীদের আগে জানতে চাওয়া হয় আপনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন করতে চাচ্ছেন, আপনার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য কি, সেখান থেকে পাস করে আপনি কি করতে চান – এসবের নানা বিষয়ের উপর আবেদন পত্রে সঠিক এবং আগ্রহের কথা লিখতে হবে।
যাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহজেই বুঝতে সুবিধা হয় আপনার ভবিষ্যতের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সঠিক।
আবেদন করার আগে যা খেয়াল রাখতে হবে
আবেদন ফি : যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
এজন্য আপনাকে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড অথবা নাকাদের মাধ্যমে ফ্রি জমা দিতে হবে।
নম্বর পত্র জমা : আমেরিকা ইউরোপ বিভিন্ন উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার জন্য আপনার একাডেমী নাম্বার পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
তবে এজন্য সবগুলো কাগজপত্র ইংরেজি ভাষায় লেখা থাকতে হবে প্রয়োজনে ইংরেজিতে অনুবাদ করে জমা দিতে হবে।
বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনের মাধ্যমে সব তথ্য জমা।
নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ : আমি আগেই বলেছি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ে স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।
তাই আগে থেকেই জেনে নিতে হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কোন সমাজে প্রদান করে।
স্কলারশিপ এর অর্থ কিভাবে পাবেন
স্কলারশিপ এর অর্থ পেতে সঠিক তথ্য উল্লেখ নেই।
আপনি কিভাবে সেই স্কলারশিপ এর অর্থ হাতে পাবেন তা সরাসরি আবেদনকৃত স্কলারশিপ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে থাকে। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা সরাসরি আপনার অধ্যায়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা পাতিয়ে দেয় এবং কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে জাতীয় খরচ আপনার সাথে সমন্বয় করে ব্যয় করে।
আবার কিছু প্রতিষ্ঠান সেকেন্ডের মাধ্যমে সরাসরি আপনার কাছে অর্থ প্রেরণ করে থাকে।
শেষ কথা
পরিশেষে আপনারা বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে জানলেন, এবার সেই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য সবার আগে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
মনে রাখবেন, স্কলারশিপ পেতে হলে প্রয়োজন যোগ্যতা এবং দক্ষতা।
আপনাকে সত্য এবং ভালো মনের অধিকারী হতে হবে।
কারণ উন্নত বিশ্বের যেকোন প্রতিষ্ঠান লাখ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে একজন ভালো শিক্ষার্থীকে এই স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।