বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন নেয়ার সহজ উপায় ৫ টি ব্যাংক থেকে

আপনি কি বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন নিবেন বলে ভাবছেন? তবে আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে আমাদের অনেকের বিদেশ ভ্রমণ করতে হয়। এক্ষেত্রে বিদেশ যাওয়ার টাকাপয়সা ম্যানেজ করার ক্ষেত্রে অনেকে তাদের জমিজমা থেকে শুরু করে নানান সম্পদ বিক্রি করে টাকা যোগাড় করে।

আবার কেউবা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদের হারে ঋণ নিয়ে বিদেশ গিয়ে থাকে। পরবর্তীতে দেখা যায় তারা উক্ত ঋণ শোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাওয়ার মত অবস্থায় পড়ে। তবে এমন কিছু ব্যাংক অবশ্যই আছে যারা বিদেশগামী দের জন্য সল্প সুদের হারে ঋণ প্রদান করে থাকে। আজকে আপনাদের এমন ৫ টি ব্যাংক এর ব্যাপারে বলবো যেগুলো বিদেশগামী লোকেদের বিভিন্ন সুবিধার কথা চিন্তা করে তাদের ঋণ প্রদান করে থাকে সল্প সুদের বিনিময়ে। তবে আসুন মূল পর্বে যাওয়া যাক।

বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন দিচ্ছে কয়টি ব্যাংক ?

বিদেশগামীদের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক গ্রাহকদের বিভিন্ন হিসেবে ঋণ দিয়ে থাকে। তবে প্রত্যেকটি ব্যাংক গ্রাহকদের আশানুরূপ সুবিধার সাথে ঋণ দিতে পারে না। নিচে আপনাদের সাথে বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন দিয়ে থাকে এমন ৫ টি ব্যাংকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। উক্ত ৫ টি ব্যাংক বিদেশগামীদের জন্য ঋণ সুবিধা চালু রেখেছে যাতে করে বৈধভাবে আপনার বিদেশ যাত্রা করে পারেন।

বিদেশ যাওয়ার জন্য যে ৫ টি ব্যাংক ঋণ দিয়ে থাকে সেগুলো হলোঃ

  1. সোনালী ব্যাংক
  2. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
  3. অগ্রণী ব্যাংক
  4. মার্কেন্টাইল ব্যাংক
  5. পূর্বালি ব্যাংক

এই ৫ টি ব্যাংক বিদেশগামী গ্রাহকদের সহজ কিস্তিতে সুবিধার সাথে ঋণের সুবিধা প্রদান করে থাকে। তবে চলুন এক পর্যায়ে কোন ব্যাংকের ঋণের পদ্ধতি কেমন সেসব বিষয়গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

১. সোনালী ব্যাংক

বাংলাদেশ থেকে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক লোকেরা যাতে বৈধভাবে বিদেশ যাত্রা করতে সক্ষম হয় সে উদ্দেশ্যে সহজ পদ্ধতিতে ঋণ দিয়ে থাকছে সোনালী ব্যাংক। “প্রবাসী কর্মসংস্থান ঋণ প্রকল্প” নামে বিদেশগামী লোকেদের ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকটি। চলুন লোনটির বিষয়ে আরো বিস্তারিত জেনে নেই।

সোনালী ব্যাংক কি হিসেবে লোন দিচ্ছে?

উক্ত প্রকল্প অনুযায়ী সোনালী ব্যাংক গ্রাহকদের আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকছে। ঋণের মেয়াদ থাকছে ১-৩ বছর পর্যন্ত। বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন এর এই প্রকল্পে ব্যাংকটি ৯ থেকে ১৩ শতাংশ সুদের হারে ঋণ দিয়ে থাকে।

আবেদনকারীর বিদেশ যাওয়ার ভিসা নিশ্চিত হলে সেটি সংগ্রহ করে তার ২ কপি ফটোকপি গ্রাহককে ব্যাংক বরাবর জমা দিতে হবে। অতঃপর ভিসার ডকুমেন্ট যাচাই করা হয়ে গেলে ব্যাংক কতৃক গ্রাহককে কল কিংবা মেসেজ এর মাধ্যমে উক্ত ঋণ এর বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আবেদনকারীর বা মূল গ্রাহকের অনুপস্থিতিতে তার ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব গ্রাহকের যেকোনো আত্মীয়ের গ্রহণ করতে হবে এবং আর্থিক ভাবে সচ্ছল রয়েছেন এমন একজন ব্যক্তিকে গ্রাহকের ঋণের গ্যারান্টার হতে হবে। ভিসা সংক্রান্ত কাজ যেমন; মেয়াদ চেক করার বিষয় সম্পূর্ণ হলে আবেদন করার ফর্ম নিতে হবে ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে।

লোন এর ক্ষেত্রে যেসব কাগজপত্র লাগবে:

  • সংশ্লিষ্ট পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ/সিটি কর্পোরেশন দ্বারা ইস্যুকৃত আবেদনকারীর বৈধ নাগরিকত্বের সনদ।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র এর ফটোকপি।
  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি রঙিন ছবি।
  • বিদেশে চাকরির নিয়োগপত্র এর প্রমাণপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত)।
  • পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
  • স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র।

লোন পরিশোধ করার উপায় এবং সুদের হার:

বিদেশ যাত্রা করার পর ঋণের গ্রাহককে ২ বছরে ২৪ কিস্তিতে অথবা ৩ বছরে মধ্যে ৩৬ কিস্তিতে উক্ত ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে একটি করে কিস্তি দিতে হবে।

সোনালী ব্যাংক কতৃক “প্রবাসী কর্মসংস্থান ঋণ প্রকল্প” এর বিদেশ যাওয়ার জন্য দেওয়া লোনটির ঋণের হার হচ্ছে ১২ শতাংশ, যেটি সরল সুদের উপরে আরোপ করা হবে। অর্থাৎ সুদের হারের উপরে আলাদা কোনো সুদ ধার্য করা হবে না।

কাদের জন্য এই লোন?

যারা বিদেশ যেতে চাচ্ছেন কিন্তু টাকা ম্যানেজ করার বিষয়ে চিন্তা করছেন তারা এই লোন নিতে পারেন। যেকোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে যাওয়ার পর ঋণ পরিশোধ এর ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন যেকোনো গ্রাহক। সোনালী ব্যাংক গ্রাহকদের এই সমস্যা দুর করতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। তাই যারা বিদেশ যেতে চাচ্ছেন সল্প সুদের হারে ঋণ নিয়ে তারা এটি গ্রহণ করতে পারেন।

২. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

যাঁরা বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন নিবেন বলে ভাবছেন এবং কোন ব্যাংকের লোনের সুদের হার এবং সুবিধা বেশি থাকবে এসব নিয়ে ভাবছেন তারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে নিতে পারেন অভিবাসন ঋণ। প্রবাসী ব্যাংক কতৃক নতুন ভিসার জন্য সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা এবং রি এন্ট্রি ভিসা এর জন্য সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা ঋণ সেবা প্রদান করা হয়। তাহলে চলুন অভিবাসন ঋণ গ্রহণের প্রাথমিক কি কি যোগ্যতা থাকা লাগবে সেগুলোর ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।

ঋণ নেওয়ার যোগ্যতাঃ

১. যদি বিদেশে আপনার কোনো ঘনিষ্ট আত্মীয়স্বজন বা নিয়োগকর্তার দ্বারা যেকোনো চাকুরীর জন্য ভিসা লাভ করে থাকেন তবে আপনি অভিবাসন ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।

২. আপনার অনুপস্থিতে আপনার ঋণের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বা আপনার ঋণ পরিশোধের গ্যারান্টার হতে হবে যে কাউকে এবং উক্ত জামিনদার ব্যক্তির বা গ্যারান্টার এর অবশ্যই আর্থিক সচ্ছলতা থাকতে হবে। আর্থিক ভাবে সচল না হলে সে আপনার গ্যারান্টার হতে পারবে না।

৩. ভিসা যাচাইকরণ এর জন্য সাময়িকভাবে গ্রহণ করা ভিসা এর দুই কপি ফটোকপি ব্যাংক বরাবর জমা দিতে হবে। একইসাথে আপনার যোগাযোগ নাম্বার দিতে হবে। ভিসা যাচাইকরণ সংক্রান্ত কার্যাদি সম্পন্ন হলে জমাদানের পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে আপনাকে কল বা মেসেজ এর মাধ্যমে ঋণ এর বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

যেসব কাগজপত্র লাগবেঃ 

যদিও সোনালী ব্যাংকের ক্ষেত্রে যে ডকুমেন্টস গুলো মেনসন করেছিলাম ঠিক সেগুলোই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। তবুও আপনাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে নিতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে তা বলে দিচ্ছি।

  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি রঙিন ছবি।
  • আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার কাগজপত্র এর ফটোকপি।
  • আবেদনকারীর সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ সনদের ফটোকপি।
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এর ফটোকপি।
  • ২ জন জামিনদারের ২ কপি করে ছবি।
  • জামিনদারের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় ফটোকপি।
  • জামিনদারের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ সনদের ফটোকপি।
  • জামিনদারদের মধ্যে যেকোনো একজনের দস্তখতকৃত ব্যাংকের ৩টি চেক।

ণ করার আগে উক্ত ব্যাংকে আবেদনকারীর নামে একটি হিসাব খুলতে হবে। অতঃপর আবেদন কার্য সম্পন্ন করার জন্য উক্ত ব্যাংকের যেকোনো কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন ফ্রম নিতে হবে যেটি বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। সকল কাগজপত্র সহকারে আবেদন করার পরবর্তী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ঋণ সেবা প্রদান করা হবে।

লোন পরিশোধ করার উপায় এবং সুদের হারঃ

নতুন ভিসা নিয়ে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ঋণের মেয়াদ থাকবে ৩ বছর এবং রি এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রে ঋণের মেয়াদ ২ বছর পর্যন্ত। ঋণ নেওয়ার দুই মাস পর গ্রেস পিরিয়ড বাদ দিয়ে মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গ্রাহকদের ৯ শতাংশ হারে সরল সুদ অনুসারে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।

কাদের জন্য এই লোন?

বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে যাদের আর্থিক সমস্যা তাদের জন্য এই ঋণ সুবিধা।

৩. অগ্রণী ব্যাংক

অগ্রণী ব্যাংক বিদেশগামীদের যে ধরনের ঋণ প্রকল্পের সুবিধাটি প্রদান করে থাকে সেটির নাম হচ্ছে “প্রবাসী ঋণ প্রকল্প”। ৯ শতাংশ সুদের হার হিসেবে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রাহকদের প্রদান করা হয়ে থাকে। অগ্রণী ব্যাংক থেকে গ্রহণ করা ঋণ ১৫-১৮ মাস বা সর্বোচ্চ দেড় বছর সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

ঋণ নেওয়ার যোগ্যতাঃ

অগ্রণী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে গেলে একজন নতুন গ্রাহকের যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন সেটি নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

১. বিদেশ যাওয়ার জন্য বৈধ ভিসা থাকা লাগবে।

২. বৈধ পাসপোর্ট, সাস্থ্য সনদ এবং বিদেশ যাওয়ার এয়ারলাইন টিকেট থাকতে হবে।

৩. ঘনিষ্ট আত্মীয়ের থেকে একজনকে জামিনদার বা গ্যারান্টার হতে হবে।

৪. আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।

যেসব কাগজপত্র লাগবেঃ

  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র এর সত্যায়িত করা ফটোকপি।
  • বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সনদ এর ফটোকপি( সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা মেম্বার দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে)।
  • জামিনদার বা গ্যারান্টার এর সদ্য তোলা ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত করা ছবি।
  • জামিনদার এর জাতীয় পরিচয়পত্র এর সত্যায়িত করা ফটোকপি।
  • জামিনদার এর বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সনদ এর ফটোকপি( সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা মেম্বার দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে)।
  • ঋণ নেওয়ার পূর্বে আবেদনকারীর উক্ত ব্যাংক শাখায় নিজের নামে একটি হিসাব খুলতে হবে।

লোন পরিশোধ করার উপায় এবং সুদের হারঃ

যে ব্যক্তি অগ্রণী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিবে তাকে ৯ শতাংশ সুদে হারে সর্বোচ্চ ১৫ কিস্তিতে উক্ত ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

কাদের জন্য এই ঋণ?

যারা বিদেশ যাওয়ার জন্য কম সুদের হারে ঋণ নিবেন ভাবছেন বা যদি বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকার সমস্যা তারা এই ঋণ নিতে পারেন।

৪. মার্কেন্টাইল ব্যাংক

মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক যার সদর দপ্তর ঢাকাতে, ব্যাংকটি প্রতিষ্টা করা হয় আজ থেকে প্রায় ২৩ বছর আগে। যাহোক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য দিচ্ছে বিদেশ যাওয়ার জন্য কর্মসংস্থান লোন। বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক এই লোনের সুবিধা নিতে পারবে।

ঋণ নেওয়ার যোগ্যতাঃ

১. অবশ্যই বাংলাদেশী বৈধ নাগরিকত্ব থাকতে হবে বা বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

২. আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।

৩. বৈধ ভিসা এবং পাসপোর্ট থাকতে হবে।

৪. অন্তত ২-৩ জন জামিনদার প্রয়োজন, যাদের অবশ্যই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে হবে।

এসব কিছু যদি আপনার ঠিক থাকে তবে আপনি ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক যে, মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে হলে কি কি কাগজপত্র দরকার হতে পারে আপনার।

যেসব কাগজপত্র লাগবেঃ

  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙিন ছবি।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র এর ফটোকপি।
  • সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ কতৃক সত্যায়িত করা প্রত্যয়ন পত্র।
  • পাসপোর্ট এবং ভিসা এর ফটোকপি।
  • বিদেশে যে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন সেটির প্রমাণপত্র। (যেটি ভিসার সাথে দেওয়া হয়)
  • জামিনদারের পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি।
  • জামিনদারের জাতীয় পরিচয়পত্র এর ফটোকপি।
  • জামিনদারের স্থায়ী বাসিন্দা সনদপত্র ( সত্যায়িত)।

লোন পরিশোধ করার উপায় এবং সুদের হারঃ

মার্কেন্টাইল ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। যেটি গ্রহণের ১ মাস গ্রেস পিরিয়ড বাদ দিয়ে পরবর্তী সর্বোচ্চ ৩ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে ১৪ শতাংশ সুদ হিসেবে।

কাদের জন্য এই ঋণ?

এই ঋণ টি যারা বিদেশ যেতে চাচ্ছেন এবং বিদেশ হওয়ার জন্য লোন নিবেন ভাবছেন তারা নিতে পারবেন।

৫. পূর্বালী ব্যাংক

পূর্বালী ব্যাংক বিদেশ যেতে আগ্রহী লোকেদের সুবিধার্থে “নন রেসিডেন্ট ক্রেডিট স্কিম” ঋণ দিয়ে থাকছে। পূর্বালী ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ৫০ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা দিয়ে থাকছে। এছাড়াও ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ঝুট ঝামেলা ছাড়াই ঋণ নিতে পারবেন। চলুন তাহলে পূর্বালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা কি কি সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

ঋণ নেওয়ার যোগ্যতাঃ

১. বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং বাংলাদেশের যেকোনো এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

২. বিএমইটি কর্তৃক ইস্যুকৃত বাংলাদেশী জাতীয় স্মার্ট কার্ড থাকতে হবে।

৩. জামিনদার কে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকতে হবে এবং মূল গ্রাহকের অনুপস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব নিতে হবে।

পুর্বালী ব্যাংক থেকে নন রেসিডেন্ট ক্রেডিট স্কিম ঋণ নিতে গেলে যেসব কাগজপত্র লাগবে সেগুলি নিচে উল্লেখ করা হলো।

যেসব কাগজপত্র লাগবেঃ

  • আবেদনকারীর বিএমইটি কর্তৃক ইস্যুকৃত বাংলাদেশী জাতীয় স্মার্ট কার্ড।
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৩ কপি।
  • আবেদনকারীর স্থায়ী বাসিন্দা সনদপত্র ফটকপি। (সত্যায়িত)
  • জামিনদারের পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং স্থায়ী বাসিন্দা সনদপত্র ফটোকপি।
  • গ্যারান্টার এর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।

লোন পরিশোধ করার উপায় এবং সুদের হারঃ

পূর্বালী ব্যাংক থেকে নন রেসিডেন্ট ক্রেডিট স্কিম ঋণ গ্রহণ করলে উক্ত ঋণ ২ মাস গ্রেস পিরিয়ড বাদ দিয়ে সর্বোচ্চ ২ বছর সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ১৩ শতাংশ সুদের হারে উক্ত ঋণ গ্রাহককে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

কাদের জন্য এই ঋণ?

যেহেতু পূর্বালী ব্যাংক বিদেশগামী লোকেদের আর্থিক সহায়তা করার লক্ষে উক্ত ঋণ প্রদান করে থাকে তাই বিদেশ যাত্রায় আর্থিক সমস্যা থাকলে যেকেউ ঋণটি নিতে পারবেন নিয়মনীতি মেনে।

ব্যাংকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন

ব্যাংকের ঠিকানা জানতে ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

১. সোনালী ব্যাংক ওয়েবসাইট
২. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ওয়েবসাইট
৩. অগ্রণী ব্যাংক ওয়েবসাইট
৪. মার্কেন্টাইল ব্যাংক ওয়েবসাইট
৫. পূর্বালি ব্যাংক ওয়েবসাইট

সর্বশেষ

আজকে আপনাদের বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বললাম। উল্লেখিত ৫ টি ব্যাংক থেকে আপনারা সহজ পদ্ধতিতে ঋণ নিয়ে বিদেশে যেতে পারেন। বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন নেওয়ার বিষয়ে যদি আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত জানানোর থাকল তাহলে নির্দ্বিধায় নিচে মন্তব্য করে জানাবেন। গ্রাথোরের সঙ্গে থাকুন।

Related Posts

13 Comments

মন্তব্য করুন