হাতে হাতে স্মার্টফোন, সহজলভ্য ইন্টারনেট, অতি পরিচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বদৌলতে ইদানীং একটা শব্দের সাথে আমরা বেশ পরিচিত। আর সেটা হলো “ভাইরাল”।
আজকাল এমন হয়েছে যে, ভাইরাল করা অথবা ভাইরাল না হতে পারলে যেন ইজ্জত পাওয়া যায় না। যে কোন ভাবে ভাইরাল হতে হবে বা করতে হবে এমন একটা ট্রেন্ড যেন বাজারে চালু হয়েছে। এই তো সেদিন দেখলাম রাজশাহীতে একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে পাবলিক প্লেসে বসে সিগারেট টানছে, কিছু লোক গিয়ে যাচ্ছেতাই ভাবে তাদের কথা শুনিয়ে তা আবার ভিডিও করে বিশ্বাবাসীদের দেখাচ্ছে। যেন কত মহৎ কাজ করে ফেলেছে।
আদৌ কি তাই? পাবলিক প্লেসে সিগারেট টানবে কি টানবে না তাতে আমার আপনার কি? আর যদি পাবলিক প্লেসে সিগারেট টানা অন্যায়ই হয়ে থাকে সেজন্য আমরা কেন আইন নিজের হাতে তুলে নিবো? যদি মনে করেন কাজটা অন্যায় করছে সেজন্য তাদের সাবধান করতে পারেন সম্মানের সাথে কিন্তু অপমান অপদস্ত করা আবার তা ভিডিও করে প্রচার করাটা কি সমীচীন?
নীতিপুলিশগিরি ব্যপারটা কেবল অন্যের বেলায় খাটে নিজের বেলায় নয় এমনটা ভাবা ঠিক নয়। পরবর্তীতে দেখা গেল যেই ব্যক্তি সিগারেট টানা নিয়ে এতো হইচই করলো তিনি নিজেই প্যাকেট প্যাকেট সিগারেট টানেন। এই যে হেনস্তা করা হলো এর সঠিক বিচার যদি করা হতো তবে বেশ হতো। প্রচুর ফালতু ঘটনা অহেতুক ভাইরাল হয়ে অনেক বড় বড় দাঙ্গা হাঙামা হবার সংখ্যা কম নয়। অনেকে আত্মহত্যাও করে বসে। সুতরাং সচেতন হোন, সামান্য কিছুতেই এতো বেশি রিএক্ট করার কিছু নেই।
আরেকটা ব্যপার দৃষ্টিগোচর হলো, কোন নারী সিগারেট টানলেই যেন তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে একটা শ্রেনী। তারা আবার পুরুষদের বেলায় নিরব। কেন ভাই? সিগারেট কি শুধু পুরুষদের জন্য? এটা নারী পুরুষ সকলের জন্যই সমান ক্ষতি কারক। চেষ্টা করুন তামাক এবং তামাক জাতীয় যে কোন কিছু থেকে যেন সবাই দূরে থাকে। শুধু নারী দূরে থাকুক এমন মেসেজ সমাজে দিবেন না। মনে রাখবেন নারী পুরুষ সকলে সমান।