ভালোবাসা সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিম পাঠকগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি।
আজকাল তরুন সমাজ যে প্রেম ভালোবাসা নামে এক কথিত প্রথা চালু হয়েছে। মানুষ প্রাপ্ত বয়স্ক হবার আগেই এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।বিপরিত লিংগের প্রতি আকর্ষন হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে আমাদের ধর্ম ইসলামে কি বলে আপনারা জানেন কি?চলুন তাহলে জেনে আসি এই সম্পর্কে।
কোন ধরণের বেগানা পুরুষের সাথে বেগানা নারীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে ইসলাম সম্পূর্ণ হারাম করে দিয়েছেন। ইসলামের মতে প্রেম ভালোবাসা তখনই জায়েজ হবে যখন তা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে হবে। প্রতিবেশী থেকে প্রতিবেশীর প্রতি প্রেম জায়েজ হবে।যখনি কোন পরনারীর প্রতি কোন ধরণের যৌন উত্তেজন কাজ করে তখনই তা সম্পূর্ণ হারাম করে দিয়েছে ইসলাম।এককথায় বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ককে ইসলাম হারাম করে দিয়েছেন।

প্রেম সম্পর্কে আমাদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনে আল্লাহ পাক প্রেম হারাম সম্পর্কে বিভিন্ন সুরার আয়াত নাজিল করেছেন। কোরআনে পাকে বলা হয়েছে “স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলালসা করবে না ” (সূরা আল মায়িদা আয়াতঃ৫)
কোরআন পাকে সূরা আন নূরে এর ৩০ নম্বর আয়াতে পুরুষের চোখ নিচু রাখতে এবং লজ্জাস্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে।আবার ৩২ নম্বর আয়াতে নারীদের ক্ষেত্রেও পর্দা করার
কথা বলা হয়েছে এবং নারীরা কার কার সাথে দেখা করতে পারবেন সেই সম্পর্কে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হারাম (সূরা ইসরা আয়াতঃ৩২)
বিবাহ বহির্ভূত প্রেম অনেক সময় বান্দাকে শীরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একজন একজনকে এতটাই ভালোবাসা শুরু করে দেয় কারণ সকল প্রকার ভালোবাসার দাবিদার একমাত্র আল্লাহ(সূরা বাকারাঃআয়াত ১৬৫)
ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে তার জীবন সঠিকভাবে জীবন পরিচালনা করতে সাহায্য করে।প্রেম করলে অবশ্যই শয়তান জীনা করতে প্রলুব্দ করে। আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন

 

 

 

Related Posts