মন ভালো রাখতে গান শোনার কোনো বিকল্প নেই যারা গান শুনতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আজকে আমার এই পোস্ট টি

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল আছেন আজ আমি আপনাদের মাঝে আরও একটি পোষ্ট নিয়ে কথা বলার জন্য এসেছি।

আপনারা তো অনেকেই গান শুনতে ভালোবাসেন। কিন্তু আপনাদের মাঝে আজ আমি এই গান নিয়ে আলোচনা করার জন্য এসেছি।গান শুনলে মনের কষ্ট দূর হয় এবং মনে প্রশান্তি পাওয়া যায়। অনেক মানুষ আছে যারা তাদের কষ্টের সময় গান শুনে কাটিয়ে ফেলে । গান যেমন উদ্বেলিত করতে পারে আবার মনকে নিরানন্দে ভরিয়ে দেয় কখনও। মানুষের যমন ও আবেগের ওপর গানের প্রভাব অনেক বেশি। পছন্দের কোনো গান শুনলে অতিসাধারণ একটি দিন ভালো হয়ে যেতে পারে। প্রত্যেক মানুষের আলাদা আলাদা পছন্দের বিষয় থাকে ।গানও তেমনি একটি বিষয়।অনেকে গানের মাঝে শক্তি ও উদ্যম খুঁজে পান আবার অনেকে নিঃসঙ্গতার সঙ্গী করে নেন।
গান মানুষের মস্তিষ্কের অনুশীলন করায়।মানব মস্তিষ্কের যে অংশগুলো আনন্দ ও উৎফুল্ল বোধের জন্য কাজ করে সেই অংশগুলো গান উজ্জীবিত করে। মস্তিষ্কে ব্যায়াম বা অনুশীলন হয় গান শুনলে।গান মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ও সুস্থ ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। গানের সঙ্গে মানব মনের গভীর যোগসূত্র রয়েছে। তাই মানসিক অবস্থা বুঝে গান শোনার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।যখন মন কোনো কারণে অস্থির বা বিষন্ন থাকে তখন দুঃখের গান না শোনাই ভালো।কারন এটি মনকে আরো বিষাদগ্রস্ত করতে পারে।
বিভিন্ন গানের সঙ্গে জরিয়ে থাকে ভালো সময়ের স্মৃতি।ফলে মন খারাপের সময় এই বিশেষ গানটি মনকে স্মৃতিকাকার করে তোলে।কখনো যদি পড়তে বসার সময় মন ভালো না থাকে তাহলে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনা যেতে পারে।
মানসিক অবস্থার ওপর কোনো কোনো ক্ষেত্রে গানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। গান মনকে করে তোলে উতলা কিংবা বিষন্ন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় গান শুনে মানুষের মনে দুঃখ কষ্ট বেড়ে যায়। অনেকে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। যারা অনেক সময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন তাদের মানসিক স্থিতি আনতে গান ভুমিকা রাখতে পারে। মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্থিতি দূর করতে গান ঔষধের মতোই কাজ করে থাকে। তাই এই সময়ে মনকে উজ্জীবনকারী আনন্দের গান শুনলে ভালো লাগবে।

তাহলে বন্ধুরা আজকের মতো এই পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবার আসবো আপনাদের মাঝে কোনো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন