মানসিক প্রশান্তির ক্ষেত্রে লেখালেখি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে

লেখালেখি মতিষ্কের মানসিক অবসাদকে নির্মূল করে একটি সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করে। চিকিৎসকেরা বলেন লেখালেখি মানুষের মতিষ্কের রাসায়নিক গঠন ও পরিবর্তনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

অবসর সময়ে লেখালেখির চর্চা করে শরীর ও মন দুটোকেই ঠিক রাখা যায়। মাথা ব্যথা ও মতিষ্কের কার্যক্রম সচল রাখতে প্রতিদিন লেখালেখির চর্চা করতে হবে। অনেকসময় মতিষ্কের কার্যক্রম ধীর গতিতে যায় এবং তখন সারাদিনের মেজাজটা খিটখিটে রকমের থাকে। এই বিষয়টিও একটি মনরোগের ভেতর আওতাভূক্ত। এই রকম দীর্ঘ দিন যাবত চলতে থাকলে আপনি মতিষ্কের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এইজন্য আপনাকে প্রতিদিন লেখালেখির মাধ্যমে আপনার মনকে সতেজ ও উৎফুল্ল রাখতে হবে।

বাড়িতে কিভাবে লেখালেখির চর্চা করবেন?

আপনি খুব সহজেই বাড়িতে প্রতিদিন লেখালেখির চর্চা করতে পারবেন। এইজন্য আপনার মতিষ্ককে স্থির করে লেখালেখির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় তৈরী করে নিতে হবে যখন আপনি প্রয়োজনীয় সময়টি লেখালেখির ভেতর দিয়ে কাটাবেন। আপনি যদি গল্প, সাহিত্য অথবা উপন্যাস পছন্দ করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজের গল্প তৈরী করে লেখালেখির চর্চা করতে পারবেন। আপনার মনের ভেতর তৈরী হওয়া ইতিবাচক ভাববঙ্গি কিভাবে ধরে রাখবেন। আপনি আপনার মনের ভাবভঙ্গি ও মনের কথা আপনার ডায়েরির পাতায় লিখে রাখতে পারেন।

আপনি জীবনে যা কিছুর জন্য কৃতঙ্গ?

আপনার জীবনে আপনি যা কিছু নিয়ে কৃতঙ্গ আছেন সেই বিষয়ে আপনি আপনার ভাবভঙ্গিগুলো ডায়েরির পাতায় লিখে রাখতে পারেন। আপনার মনে যেইসকল বিষয়ে কৃতঙ্গতা স্বিকার করছেন যেমন আপনি কোন ব্যক্তির উপর কৃতঙ্গতা স্বীকার করছেন অথবা আপনার কোন কর্মের জন্য কৃতঙ্গতা স্বীকার করছেন। এই বিষয় নিয়ে আপনি আপনার মনভাব ডায়েরির পাতায় লিখে রাখতে পারেন।

আপনার জীবনের মন খারাপের গল্প?

আপনার দৈনন্দিন জীবন পরিচালনায় অনেক ব্যাধা আসতে পারে। আপনার দৈনন্দিন জীবন সবসময় সুখময় থাকবে এমন কোন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। তবে আপনার মন যখন খারাপ ছিল আপনি তখন বিশেষ কিছু কল্পনা করেছেন। মন খারাপ থাকা অবস্থায় আপনার মতিষ্কে বিদ্রুপ চিন্তা আসতে পারে। আপনি লেখালেখির মাধ্যমে আপনার ভাবভঙ্গিকে কাগজের ভাষায় রূপ দিয়ে আপনার মনের প্রশান্তি ফিরে পেতে পারেন।

মতিষ্ক অনেক সময় আটকে থাকে?

অনেক সময় লেখালেখির অভ্যাস থাকা সত্বেও লেখতে ইচ্ছে করে না। আপনি তখন চাইলেও নিজেকে স্থির করতে পারবেন না। এইজন্য আপনাকে চিন্তা করতে যে আপনার লেখার উদ্দেশ্য কি ছিল এবং পুনরায় বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বে সাথে চিন্তা করতে হবে। পরবর্তীতে আপনি লেখালেখির চর্চা পুনরায় নিজে থেকে তৈরী করে নিতে পারবেন।

এভাবে আপনি বিভিন্ন বিষয়ে সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উপর লেখালেখির চর্চা তৈরী করে আপনার মতিষ্কের কার্যক্রমকে সঠিক দিকে নিতে পারবেন।

সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন