মাহে রমজান সম্পকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলে খুব ভালো আছেন। আমার পক্ষ থেকে সকলকে জানাই পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। বারটি মাসের মধ্যেই রমজান মাসে একটি অতি উত্তম মাস। রমজান মাসের রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি এবং মজাদার পূর্ণ ইবাদত গুলো অন্যতম। মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআন শরীফে বলেছেন রোজার প্রতিদানকারী তিনি নিজেই।তিনি নিজেই এফল তাঁর বান্দাদেরকে নিজ হাতে দান করবেন। রমজান মাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত আছে সেটি হচ্ছে 27 রমজান দিবাগত রাত্রে যেটাকে আমরা শবে কদর বলে থাকি।এদিন আল্লাহতালা সপ্ত আসমান হতে আমাদের নিচের আসমানে নেমে আসেন তিনি ডাকেন হে বান্দা চাও তোমরা চাও আমি দিতে প্রস্তুত আছি আজকে তোমার যাবে তাই পাবে। রোজার মাধ্যমে আল্লাহতালা তাকওয়া অর্জন করা যায়। তাকওয়া বা পরহেজগার শক্তি অর্জনের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কেননা রোজার মাধ্যমে প্রবৃত্তি ধারণার নিয়ন্ত্রণ করার বিশেষ শক্তি অর্জিত হয়। প্রকৃতপক্ষে সেটাই তাকওয়া বা পরহেজগার এর ভিত্তি (তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন)।আল্লাহ তা’আলা আরও বলেছেন যে ব্যক্তি রমজান মাসে এক টাকা দান দান করবে তাকে 70 টাকা দানের সব দেওয়া হবে অর্থাৎ আমার দশ টাকা দান করলে আমাদেরকে 700 টাকার মত সওয়াব পাবো। এটা রহমতের মাস ক্ষমা চাওয়ার মাস তাই আমরা এই মাস থেকে কেউ বঞ্চিত যেন না হয় আমরা সকলে রোজা রাখব তারাবির নামাজ পড়বো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করব। আল্লাহতালা আমাদের নিশ্চয়ই ক্ষমা করবেন।শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে রাদিয়াল্লাহু তা’আলা রোজার বেশকিছু অন্তর্নিহিত তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন অনেক সময় মানুষ সত্য ইলহামের মাধ্যমে এটা বুঝতে পারে যে অন্তরীণ পাশবিক প্রবৃত্তি তাঁকে মানবিক উষ্ণতায় পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করছে। আর সে কারণেই ফেরেশতা বৈশিষ্ট্যের অনুগামী হতে পারছে না।তাই সে তার পশু স্বভাবকে খারাপ ভাবতে থাকে এবং তার দমন করবো পথ খুঁজে বেড়ায়। তখন সে তার দমনের জন্য ক্ষতি পাশা অবলম্বন করে, স্ত্রী সতেজতা করে মুখ অন্তর ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এগুলো দ্বারা সে আর্থিক ব্যাধি চিকিৎসা করে।রমজান মাসে এক রাকাত নামায পড়লে আল্লাহ তাআলা অন্যান্য মাসের 70 রাকাত নামাজের সব দিয়ে দেন। তাই আমরা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো তারাবির নামাজ পড়বো এবং নফল নামাজ গুলো বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করব।আর দোয়া করব আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য প্রত্যেকটি রাকাত নামাজ দোয়া রুকু-সিজদা এগুলোকে কবুল করে নেন। রোজা ইফতারি সেহেরী এগুলো যাতে আল্লাহ তাআলা আমাদের কবুল করেন নেয়।হাদিসে রয়েছে রোজা ঢাল স্বরূপ যতক্ষণ তার ত্রুটি যুক্ত করা হয় (সুনানে নাসায়ী হাদীস 2233)।এই হাদিসে বর্ণনায় মহাদেশের বলেন রোজা কে ঢাল স্বরূপ বলা কারণ হল তা মানুষকে পৃথিবী পাপাচার থেকে রক্ষা করে এবং পরকালে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করে।রমজান মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হল জুমুয়ার দিন এই দিনে আল্লাহতালা সবাইকে ক্ষমা করে দেন। তাই জুমুয়ার দিন হল ক্ষমা চাওয়া দিন আপনারা কেউ এই দিনটি মিস করবেন না জুম্মার রাতটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকলে ভাল থাকবেন সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করেছি আজও এখান পর্যন্তই।

Related Posts