রকেট ক্যাশ আউট চার্জ

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়। রকেট ক্যাশ আউট চার্জ –

বর্তমানে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে প্রায় সর্বক্ষেত্রে।শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে প্রযুক্তি, অফিস থেকে শুরু করে ঘরের প্রয়োজনীয় কাজ সকল ক্ষেত্রে ছোঁয়া লেগেছে প্রযুক্তির।প্রযুক্তি আমাদের জীবন মান এবং জীবন চলার গতিপথ পালটে দিয়েছে অনেক খানি।আগে যেখানে আমরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠাতে দিনের পর দিন মাসের পর মাস সময় নিত সেখানে বর্তমানে প্রযুক্তির কারণে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে টাকা পৌছে যাচ্ছে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে। এই দেশ থেকে অন্য দেশে।

মোবাইলে টাকা লেনদেনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিকাশ, রকেট,নগদ সহ আরও অনেক কিছু।বিকাশ জনপ্রিয় হলেও টাকা রাখার ব্যাপারে ঠিক ততটাই অনিশ্চিতকর।কারণ অনেক সময় বিকাশের নাম্বার বলে ফোন দিয়ে গ্রাহকদের থেকে কোটি কোটি টাকার হিসাব হিসেব হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই বিকাশে টাকা আদান প্রদান সহজ হলেও টাকা একাউন্টে রাখা এবং আরও নানান ধরণের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ণ।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা লেনদেনের অন্যতম অনলাইন ব্যাংকিং সেবা হলো রকেট।রকেটে খুব দ্রুততম সময়ে লেনদেন করা যায় বলে রকেটকে বলা হয় টাকার রকেট। এখন আসি রকেটের কথায়।রকেটে টাকা লেনদেন করা খুব সহজ।সেই সাথে রকেট একাউন্ট এ টাকা রাখা অনেক সুরক্ষিত বিধায় সকলে লেনদেন এবং টাকা জমার ক্ষেত্রে বেছে নেয় রকেটকে।

দেশের অন্যান্য সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর মত রকেটেও টাকা লেনদেন করার সময় চার্জ দিতে হয়।নিচে রকেটের ক্যাশ আউট চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

রকেটে টাকা উত্তলোন করার সময় চার্জ কত কাটা হবে তা চারটি মাধ্যমে হিসাব করা হয়। যথাঃ
১.যদি কেউ এজেন্ট থেকে টাকা উত্তলোন করা হয়।
২.যদি কেউ ডিবিএল ব্রাঞ্চ থেকে টাকা উত্তলোন করা হয়।
৩.যদি গ্রাহক এটিএম বুথ হতে টাকা উত্তলোন করা হয়।
৪.গ্রাহকের একাউন্ট এর ধরণের উপরও ক্যাশ আউট চার্জ আরোপ করা হয়ে থাকে।
কাউন্ট করা হয়।
৫.সাধরণ একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ক্যাশআউটের এক ধরণের চার্জ কাউন্ট করা হয়। আবার স্ট্যাইপেন্ড এবং স্যালারি সংক্রান্ত একাউন্টের উপর নির্ভর করে চার্জ কাউন্ট করা হয়।

১.এটিএমএম বুথ থেকে ক্যাশ আউট চার্জঃ
আপনি যদি আপনার নিকটস্থ কিংবা যেকোনো এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করলে সবচেয়ে কম খরচে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
২. আপনি এটিএম থেকে টাকা উত্তলোন করলে সাধারণ একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ০.৯
টাকা করে চার্জ কাটা হয় এবং প্রতি হাজারে ৯ টাকা করে কাটা হয়।
৩.স্যালারি একাউন্ট এর ক্ষেত্রে রকেটে এটিএম বুথে ক্যাশআউট চার্জ একদম ফ্রী।

২.ডিবিএলের ব্রাঞ্চ থেকে টাকা উত্তোলনঃ
১.ডিবিএলের ব্রাঞ্চ হতে রকেটে সাধারণ একাউন্ট এর জন্য ০.৯℅ এবং হাজারে ৯ টাকা করে কাটা হয়।
২.অন্যদিকে স্যালারি কিংবা উপবৃত্তি একাউন্ট এ লেনদেনের ক্ষেত্রে ১০ টাকা চার্জ কাটা হয়।
৩.যতবার আপনি টাকা উত্তলোন করবেন ততবারঈ দশ টাকা করে টাকা কাটা যাবে। আপনি যত টাকাই ক্যাশআউট করেন না কেন।

৩.রকেট এজেন্ট ক্যাশআউট চার্জঃ
১.এজেন্ট থেকে ক্যাশআউট করলে সবথেকে বেশি খরচ পড়বে।
২.এজেন্ট হতে ক্যাশ আউট করলে সাধারণ গ্রাহকের জন্য ১.৮℅ চার্জ থাকে যা হাজারে ১৮ টাকা হয়।
৩.রকেট এপে কোন ধরণের ছাড় নেই।
৪.স্যালারি কিংবা উপবৃত্তি একাউন্ট এ হাজারে ৯ টাকা করে কাটে।

ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।

মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

মন্তব্য করুন