রম্য গল্প:পরীক্ষার রেজাল্ট এর আগের ৭ দিন

বিলাস এবার এসএসসি পরীক্ষার দিল।আল্লাহর রহমতে এবার তার পরীক্ষা ভালই হয়েছে।ভালো ছাত্র হিসেবে এলাকায় তার ভালই নাম ডাক রয়েছে।বাবার একমাত্র ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।জীবনের ৩ য় বোর্ড পরীক্ষা।বাবার আশা আছে ছেলে গোল্ডেন এ + পাবে।বিলাসের ও তাই আশা।সারা বছর পড়াশুনা করে পরীক্ষা শেষে বন্ধু বান্ধবের সাথে সারাদিন আড্ডা মারে,সারাদিন পরেপরে ঘুমায়।কাজ কাম কিছুই নেই।আব্বা আম্মার নো নিষেধ।কি বিন্দাস লাইফ। পাড়ার সব মোল্লা মুরব্বিরা বিলাস কে নামাজে যাবার জন্যে ডাকে কিন্তু সেইদিকে তেমন গুরুত্ব নেই বিলাসের।কিন্তু এই শুখ আর বেশিদিন সইলো না বিলাসের কপালে।পরীক্ষার রেজাল্ট এর আর মাত্র ৭ দিন বাকি।বিলাসের মনে কেমন যেন করতে লাগলো।বাইরে বের হওয়া বন্ড করে দিয়েছে।যে ছেলে এতক্ষণ ওটা খাবো করে সারাদিন মাকে অত্যাচার করতো সেই ছেলে আজ কিছুই মুখে তুলছে না।এক টাই জিনিস এখন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।আমার রেজাল্ট কি হবে।
প্রথম প্রথম বিলাস ভাবলো আরে আমি তো ৫.০০ পাবই।তার পর ভাবে ৫ পয়েন্ত না পেলেও ৪.৯৩ ত পাবই।আচ্ছা ৪.৯৩ না পাই ৩ পোয়েন্ট ত পাবই।আচ্ছা পাশ তো করবোই।এটা আর কে আটকাবে।বার বার প্রশ্ন পত্র দেখে।এটা ভুল গেলেও ত এ+ শীয়র।এরপর থেকে বিলাসের অবস্থা ছিল দেখার মত।জুব্বা টুপি পরে একদম হুজুর হুজুর লাগছে।বন্ধুরাও তাকে হুজুর হুজুর বলে ডাকতে লাগলো।
রেজাল্টের দিন: সবাই নোটিশবোর্ড এ বির করেছে।ইন্টারনেটে যে দেখবে সার্ভার ডাউন।নো চাঞ্জ।একি আমার নামের পাশে F লেখা কেন?তাহলে কি আমি ফেল করেছি।আকাশ ভাঙ্গা চিৎকার দিল বিলাস।হটাৎ করে তার ঘুম ভেঙে যায়।ওওওও স্বপ্ন দেখছিলাম।আরে রেজাল্টের তো আরো ৩ দিন আছে।ধুর!

Related Posts