শাশুড়ির মন জয় করার সিক্রেট টিপস

বিয়ে,,,,,
শব্দটি শুনলেই একটা অন্যরকম ফিলিং কাজ করে। বিয়ে হচ্ছে একটি ধর্মিয় ও সামাজিক রীতি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়ে বিয়ের মাধ্যমে সংসার জিবনে পা রাখে এবং তাদের দাম্পত্য জীবন শুরু করে। কথায় আছে, ভালো কিছু পেতে হলে কষ্ট করতে হয়। তেমনি সংসার জিবনেও অনেক বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করতে হয়। বর্তমান সময়ে বউ-শাশুড়ির ভিতর দ্বন্দ্ব প্রায় সব ফেমিলিতেই দেখা যায়।

একটা মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেলে অনেক সময়্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর যদি শাশুড়ীর সাথে বনিবনা ভালো না হয়, তাহলে তো কথাই নেই। তাই প্রতিটা মেয়ের উচিত স্বামীর পড়ে শাশুড়ির মন রক্ষা করে চলা। শুধু যে বউরাই শাশুড়ীর মন রক্ষা করে চলবে,এরকমটা একদমই না। তবে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো কিভাবে শাশুড়ীর মন জয় করা যায়।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক:

১। শাশুড়ীকে আপন করে নেয়ার চেষ্টা। শাশুড়ী যেমনই হোক না কেন, তাকে আপনার মায়ের স্থান দিন। তার সাথে হাসিখুশি ব্যবহার করুন।

২। মা ডাকার অভ্যাস করুন। শাশুড়ীকে আম্মা না বলে মা বলে ডাকুন। যদি আপনার শাশুড়ী ওভার স্মার্ট হয়ে থাকে, তাহলে তাকে আম্মু /মামুনি/মাম্মাম বলে ডাকতে পারেন। এতে করে সে খুশি হবে।

৩। দায়িত্বের বাইরেও তার এক্সট্রা কেয়ার নিন। যেমন; তার চুল আচরিয়ে দিন,চুল বেধে দিন,চুলে তেল দিয়ে দিন। এসব কাজে সে অনেক বেশি আনন্দিত হবে।

৪। তাকে নিয়ে ঘুরতে যান। আপনি নিজ থেকেই তাকে বলুন ঘুরতে যাওয়ার কথা। যদি সে ওরকম মেন্টালিটির হয়।

৫। তার ছোটবেলা সম্পর্কে জানতে চান। তাকে তার ছোটবেলার বিভিন্ন মজার স্মৃতি গুলো শেয়ার করতে বলুন। দেখবেন একবার শুরু করতে পারলে আর শেষ হবেনা। আপনি ধৈর্য সহকারে তার সবকথা গুলো শুনুন এবং মাঝে মাঝে তাকে কিছু প্রশ্ন করুন।

৬। তার সামনে কখনোই নিজের বাবার বাড়ির প্রশংসা করবেন না। বরং আপনার শ্বশুর বাড়ির সবার প্রশংসা করুন। বিশেষ করে তার মেয়েদের প্রশংসা করবেন। শাশুড়ীরা তার মেয়েদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করেন।

৭। তার পচ্ছন্দের জিনিস গুলো জানার চেষ্টা করুন। সে যদি হাদিস বই পড়তে পচ্ছন্দ করে তাহলে তাকে হাদিস বই পড়ে শুনান। তাকে বিভিন্ন ওয়াজ ডাউনলোড করে দিন। যাতে সে তার ইচ্ছানুযায়ি শুনতে পারে।

৮। তাকে বিভিন্ন সময় ছোট খাটো উপহার দিন। কেননা উপহার পেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। কেউ উপহার দিলেও খুব খুশি লাগে। তাকে শাড়ি, চুরি বা পচ্ছন্দের কোনো জিনিস উপহার দিতে পারেন। হাদিস বইও গিফট করতে পারেন।

৯। তার পচ্ছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়ান। মাঝে মাঝে তাকে সারপ্রাইজ দিন। দেখবেন সে খুব খুশি হবে।

১০। যে কোন কাজ করার আগে তার অনুমতি নিন। তাহলে সে ভাববে আপনি তাকে অনেক বেশি ইমপর্টেন্স দিচ্ছেন। এতে করে সে আনন্দ অনুভব করবে।

১১। বাবার বাড়ি বেড়াতে আসলে ঘন ঘন তাদের খোঁজ খবর নিন। আসার সময় শ্বশুর বাড়ির জন্য স্পেশাল কোনো খাবার রান্না করে নিয়ে যান।

১২। তার সামনে আপনার হাজবেন্ডের কেয়ার কম নেয়ার চেষ্টা করুন। কেননা মেক্সিমাম মা-ই এসব পছন্দ করেন না। তাদের সামনে ছেলে বউ বেশি কেয়ার দেখালে তারা ভাবে তাদের ছেলেকে বুঝি বউ আঁচলে বেধে নিয়েছে। তাই ভূলেও এ কাজ করতে যাবেন না।

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন