সি প্রোগ্রামিং ভাষা টিউটোরিয়াল পার্ট(২)

প্রোগ্রামের ধারনা:কোন   সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে কতগুলো কমান্ড বা নির্দেশ এর সমষ্টিকে প্রোগ্রাম বলা হয়। প্রোগ্রাম লেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাষা ব্যবহৃত হয়।প্রগ্রামে লিখিত নির্দেশ সমূহ সোর্স প্রোগ্রাম ফাইলে সারিবদ্ধ ভাবে লেখা হয়। কম্পিউটার এ নির্দেশসমূহ পর্যায়ক্রমিকভাবে পালনের মাধ্যমে নিদৃষ্ট সমস্যার সমাধান করে। প্রোগ্রামের নির্দেশসমূহ সোর্সকোড নামে পরিচিত। ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের কন্যা লেডি এডা লাভলেসকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক মনে করা হয়

প্রোগ্রামের ভাষা:কম্পিউটার সিষ্টেমে প্রোগ্রাম রচনার জন্য ব্যাবহৃত শব্দ, বর্ণ, অঙ্ক, সংকেত এবং এগুলোর বিন্যাসের নিয়মগুলোকে একত্রে বলা হয় প্রোগ্রামের ভাষা।বিভিন্ন  ধরনের প্রোগ্রাম রচনার জন্য বিভিন  ধরনের প্রোগ্রাম ভাষা ব্যবহৃত হয়।প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে জটিল সমস্যা অল্প সমেয় সহজে সমাধান করা যায়৷প্রোগ্রাম রচনার জন্য উপযুক্ত প্রোগ্রামিং ভাষা প্রয়োজন৷প্রতিটি প্রোগ্রামিং ভাষারই বিশেষ কিছু সিনটেক্স রয়েছে এবং সিনটেক্স অনুসারেই ঐ ভাষার প্রোগ্রাম লিখতে হয়।বর্তমানে অনেক ধরনের প্রোগ্রামিং ভাষা রয়েছে। যেমন সি, সি++,জাবা,এল গল,পাইতন, রোবি ইত্যাদি ৷ আমরা এখানে সি ভাষা নিয়ে আলোচনা করব৷

সি ভাষার ইতিহাস: ১৯৭০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেল ল্যাবরেটরিতে ডেনিস রিচি সি ভাষার উদ্ভাবন করেন।বর্তমানে অত্যান্ত শক্তি শালি এবং জনপ্রিয় উচ্চতর ভাষা হিসেবে সি পরিচিত ।ভাষাটি তৈরির  প্রথম উদ্দেশ্য ছিল ইউনিক্স অপারেটিং সিষ্টেম এর কোড লেখায় এর ব্যাবহার ৷কিন্ত অচিরেই এটি একাটি বহুল ব্যবহৃত ভাষায় পরিণত হয়।বিভিন্ন ধরনের কমিপউটারে এবং বিভিন্ন অপারে টিং সেস্টেমে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।সি ভাষায়  উচ্চতর ভাষার প্রোগ্রামিং কৌশলের সমন্বয় সাধন করা যায় অর্থাৎ ভাষায় বিট বাইট মেমোরি অ্যাড্রেস নিয়ে কাজ করা যায় ।আবার উচ্চতর ভাষার মতো কাজ করা যায় বলে এটি মধ্যমস্তরের  ভাষা হিসেবে পরিচিত।সি ভাষায় সহজেই অত্যন্ত জটিল সমস্যা সমাধান করা যায়। ইউনিক্স, লিনাক্স, ম্যাক ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে সি ভাষা দিয়ে। কম জায়গা ও রিসোর্স নিয়ে কাজ করা সফটওয়্যার তৈরিতে বেশি উপযোগী সি ভাষা।

[পরবর্তি পোষ্ট পাড়ার জন্য আমন্ত্রন রইল।ততক্ষন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন,সুস্ত থাকুন, নিরাপদে থাকুন, ঘরে থাকুন।]

Related Posts