মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি, এটি কোনও নতুন তথ্য নয়। সবাই জানে যে চীন এগিয়ে চলেছে। তবে নতুন তথ্য হ’ল প্রথমবারের মতো ভারত যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সকে ছাড়িয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এই তথ্য দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে বিশ্ব অর্থনীতির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ৯১.৯৮ ট্রিলিয়ন ডলার।বিশ্ব অর্থনীতির আরেকটি নতুন তথ্য হ’ল ১৬ টি দেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। মনে রাখবেন, ১ হাজার বিলিয়নে ১ ট্রিলিয়ন।
১. যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৪৯ বছর ধরে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতি হয়ে আছে। দেশটির অর্থনীতির আকার এখন ২১.৪৪ ট্রিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে এটি ২২.২০ ট্রিলিয়নের কিছুটা বেশি। ৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হ’ল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা।
২. চীন
চীনের অর্থনীতির আকার এখন ১৪.১৪ ট্রিলিয়ন ডলার। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ ২৩ ট্রিলিয়ন ডলার। ১৯৮৯ থেকে ২০১৯ সাল অবধি, চীনের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৯.৫২ শতাংশে যা ছিল অত্যন্ত উচ্চ হারে। অর্জিত ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার গত ২৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। করোনাভাইরাস এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধের পরে দেখা দিয়েছে । এটি শেষ পর্যন্ত অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে তা দেখার বিষয় রয়েছে।
৩. জাপান
দেশটির অর্থনীতির আকার ৫.১৫ ট্রিলিয়ন ডলার। বিশ্বের তৃতীয় বড় অর্থনীতির এই দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প খাত হচ্ছে ইলেকট্রনিক পণ্য। এক্ষেত্রে জাপান বিশ্বে এক নম্বরে রয়েছে। দেশটি ২০০৮ সালের মন্দার প্রভাব থেকে এখনও সেরে উঠেনি। তবে সবার আশা, ২০২০ সালের অলিম্পিক জাপানের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে।
৪. জার্মানি
বিশ্বের চতুর্থ বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানি। দেশটির অর্থনীতির আকার ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে যাচ্ছে এমন অর্থনীতির মধ্যে জার্মানি সবচেয়ে এগিয়ে। গাড়ি, ভারী যন্ত্রপাতি, গৃহসামগ্রী আর রাসায়নিক পণ্য উৎপাদনে জার্মানি সেরা।
৫. ভারত
ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। তাদের অর্থনীতির আকার ২.৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার। দেশটির লক্ষ্য ছিল এই বছর জিডিপিতে ৩ ট্রিলিয়ন এবং ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। যদি তা হয় তবে ভারত জার্মানিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভারতের পরিষেবা খাত এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল খাত। পরিষেবা খাতটি অর্থনীতিতে ৮০ শতাংশ এবং মোট কর্মসংস্থানের ২৮ শতাংশ অবদান রাখে। তবে সবকিছুই যে ঠিকঠাক আছে, তা নয়। গত বছর দেশটির অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়েছে।